Dengue: ডেঙ্গি লাফিয়ে বাড়ল বাঁকুড়ায়, আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়াল ১০০
Dengue in Bankura: ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্ত অব্যাহত বাঁকুড়া শহরে। আজ সকালে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ওই ওয়ার্ডে যান বাঁকুড়া সদরের মহকুমা শাসক।

পূর্ণেন্দু সিংহ, বাঁকুড়া: ডেঙ্গির (Dengue) বাড়বাড়ন্ত অব্যাহত বাঁকুড়া শহরে। শহরে আক্রান্তের সংখ্যা ইতিমধ্যেই একশো ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে সর্বাধিক আক্রান্তের সংখ্যা শহরের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কেঠারডাঙ্গা এলাকায়। আজ সকালে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ওই ওয়ার্ডে যান বাঁকুড়া সদরের মহকুমা শাসক। উপস্থিত ছিলেন বাঁকুড়া পুরসভার পদাধিকারীরা।
সপ্তাহ দুই আগে থেকেই বাঁকুড়া শহরে থাবা বসাতে শুরু করে ডেঙ্গি। গতকাল আক্রান্তের সংখ্যা ১২৩ পৌঁছে গিয়েছে। এর মধ্যে শুধুমাত্র ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কেঠারডাঙ্গা এলাকায় আক্রান্তের সংখ্যা ৯৮ জন। এছাড়াও শহরের লোকপুর ও ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন জায়গায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে। কেঠারডাঙ্গা এলাকায় দ্রুত ডেঙ্গি ছড়িয়ে পড়া রোধে একযোগে হাত লাগিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর ও বাঁকুড়া পুরসভা। এলাকা নিয়মিত সাফাই করার পাশাপাশি বাড়ি বাড়ি ঘুরে সমীক্ষা চালানো হচ্ছে। এলাকায় নিয়মিত স্প্রে করা হচ্ছে মশানাশক। এলাকার কেউ জ্বরে আক্রান্ত হলেই তাঁর রক্ত পরীক্ষা করা হচ্ছে। আজ সকালে এলাকায় যান বাঁকুড়া সদরের মহকুমা শাসক সুশান্ত কুমার ভক্ত। পুর কর্মীদের সাফাই কাজ ও স্বাস্থ্য দফতরের কাজকর্ম খতিয়ে দেখেন তিনি। উপস্থিত ছিলেন এলাকার কাউন্সিলর শেখ আজিজুল সহ পুরসভার পদাধিকারীরা। এলাকা খতিয়ে দেখার পর মহকুমা শাসকের দাবি, ডেঙ্গির সংক্রমণ ক্রমশ কমে এলেও পুরসভা ও স্বাস্থ্য দফতর লাগাম কোনওভাবেই হালকা করছে না। পুরসভার দাবি পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
আরও পড়ুন, 'যে চোর, সে চোর', দুর্নীতি নিয়ে ফের বিস্ফোরক শোভনদেব
এই পরিস্থিতিতে প্রায় প্রতিদিনই বৈঠক করছেন স্বাস্থ্য কর্তারা। শনিবারও স্বাস্থ্যভবনে বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষেদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক হয়। সূত্রের খবর, সেই বৈঠকে যে সব নির্দেশ বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে অনুসরণ করতে বলা হয়েছে, তাতে স্পষ্ট, ডেঙ্গি প্রতিরোধে বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছে স্বাস্থ্যভবন।স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে বলা হয়েছে, ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়া আক্রান্ত কেউ হাসপাতালে ভর্তি হলেই তা বাধ্যতামূলকভাবে জানাতে হবে স্বাস্থ্যভবনকে। স্বাস্থ্যভবনের ওয়েবসাইটে প্রতিদিন আক্রান্তের সংখ্যা ও তথ্য আপলোড করতে হবে। ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়ার উপসর্গ নিয়ে যে রোগীই হাসপাতালে আসবেন, তাঁর বাধ্যতামূলক এলাইজা পদ্ধতিতে NS-1 টেস্ট করাতে হবে। ডেঙ্গি আক্রান্তের চিকিত্সা করতে হবে স্বাস্থ্য দফতরের প্রোটোকল মেনে।তবে মর্মান্তিক খবর আসে মঙ্গলবার শহর কলকাতায়। মঙ্গলবার শহরের এক হাসপাতালে কলকাতার আরও এক ডেঙ্গি আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের নাম সুব্রত সরকার। বয়স ৬১। তিনি বাঁশদ্রোণীর, বিধানপল্লির ১১৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, দিন তিনেক ধরে জ্বরে ভুগছিলেন সুব্রত সরকার। সোমবার রাতে বাড়িতে আচমকাই জ্ঞান হারান। তড়িঘড়ি উডল্যান্ডস হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয় তাঁকে। মঙ্গলবার সকালে পরীক্ষায় ডেঙ্গি NS1 অ্যন্টিজেন পজিটিভ ধরা পড়ে। কার্ডিয়াক অ্যারেস্টও হয় ,বিকেলেই হাসপাতালে মৃত্যু হয় সুব্রতর।






















