Bankura News: চিকিৎসার নামে অত্যাচার, ভাতে মারার চেষ্টা রোগীদের! ভাঙচুর নেশামুক্তি কেন্দ্রে
Treatment of Substance Use: স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই নেশামুক্তি কেন্দ্রে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ জন এসে ভিড় করতেন। নেশাসক্তদের সুস্থ করিয়ে নিয়ে যাবেন বলে আশা ছিল তাঁদের।

তুহিন অধিকারী, বাঁকুড়া: নেশামুক্তি কেন্দ্রে অকথ্য অত্যাচারের অভিযোগ। এমনকি ঠিক মতো খেতে না দেওয়ারও অভিযোগ সামনে এল। এই ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল বাঁকুড়ায় (Bankura News)। নেশাসক্তদের পরিবার এবং আত্মীয়স্বজন মিলে নেশামুক্তি কেন্দ্রে (Treatment of Substance Use) ভাঙচুর চালান বলে অভিযোগ। এমনকি ওই নেশামুক্তি কেন্দ্র থেকে পরিবারের লোকজন রোগীকে নিয়ে পালিয়েও যান বলে অভিযোগ সামনে এসেছে।
নেশামুক্তি কেন্দ্র থেকে পরিবারের লোকজন রোগীকে নিয়ে পালিয়েও যান বলে অভিযোগ
বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের কবরডাঙা এলাকার ঘটনা। বেসরকারি উদ্যোগে সেখানে একটি নেশামুক্তি কেন্দ্র গড়ে ওঠে। বেশ কিছু দিন থেকেই সেটি ভাল চলছিল। দূরান্ত থেকে নেশাসক্তদের সুস্থ করে তুলতে ভিড় করেন সাধারণ মানুষ। কিন্তু রবিবার তাল কাটল। ধুন্ধুমার পরিস্থিতি ঘিরে ছড়াল উত্তেজনা। এলাকায় একরকম চাঞ্চল্যও সৃষ্টি হয়েছে বলা যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই নেশামুক্তি কেন্দ্রে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ জন এসে ভিড় করতেন। নেশাসক্তদের সুস্থ করিয়ে নিয়ে যাবেন বলে আশা ছিল তাঁদের। সেখানে রেখে চিকিৎসার জন্য পরিবারের কাছ থেকে মোটা টাকাও নেওয়া হত। কিন্তু টাকার বিনিময়ে উপযুক্ত পরিষেবা দেওয়ার পরিবর্তে রোগীদের উপর শারীরিক অত্যাচার চালানো হত বলে অভিযোগ।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ব্যাপক মারধর করা হতো নেশাসক্তদের। দু'বেলা খেতে দেওয়ার নামে নিম্নমানের খাবার পরিবেশন করা হতো। তা-ও পরিমাণে যৎসামান্য, যাতে পেট ভরা সম্ভব নয় কোনও ভাবেই। নেশা ছাড়ানোর নামে চলত নির্মম অত্যাচার। দীর্ঘ দিন ধরে এমন ঢের অভিযোগ জমা হচ্ছিল সেখানে। শেষ মেশ রবিবার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় (Crime News)।
যাবতীয় অভাব-অভিযোগকে সামনে রেখে ওই নেশামুক্তি কেন্দ্রে হাজির হন রোগীর পরিবার এবং আত্মীয়স্বজনরা
এ দিন যাবতীয় অভাব-অভিযোগকে সামনে রেখে ওই নেশামুক্তি কেন্দ্রে হাজির হন রোগীর পরিবার এবং আত্মীয়স্বজনরা। সংস্থার বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁরা। কর্মী-আধিকারিকদের সঙ্গে তুমুল বচসা বেধে যায়। তাতে উত্তেজিত মানুষ জন নেশামনুক্তি কেন্দ্রে ভাঙচুর চালান বলে অভিযোগ। এমনকি সেখান থেকে রোগীদের নিয়ে একরকম পালিয়েই যান বলে জানা গিয়েছে। এ নিয়ে ওই নেশামুক্তি কেন্দ্রের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।





















