Bankura News: শ্বাসনালিতে চকোলেট আটকে মৃত্যুর মুখে মা, বিশেষ কৌশলে প্রাণ বাঁচালেন দুই মেয়ে
Heimlich Maneuver: শনিবার মৌসুমী মুখোপাধ্যায় নামে এক গৃহবধূর গলায় আটকে যায় চকলেট। বন্ধ হয়ে যায় তাঁর শ্বাস। বন্ধ হয়ে যায় কথাবার্তাও। পাশেই ছিল কলেজ পড়ুয়া দুই মেয়ে বৃষ্টি ও চতুর্থী।
তুহিন অধিকারী, বাঁকুড়া: হাইমলিখে (Heimlich Maneuver) ফের প্রাণ রক্ষা। হাইমলিখ কৌশল প্রয়োগ করে মৃত্যুর হাত থেকে মাকে বাঁচালেন দুই মেয়ে। ঘটনা বাঁকুড়ার সোনামুখীর পাথরমোড়া গ্রামের। শ্বাসনালিতে আটকে গিয়েছিল চকোলেট। হাইমলিখ কৌশলের মাধ্যমে সেই চকলেট বের করে মায়ের জীবন রক্ষা করলেন দুই মেয়ে। দুই মেয়ের কথায়, এই শিক্ষা সবার দরকার। অনেকের প্রাণ রক্ষা করা যাবে।
হাইমলিখ কৌশল প্রয়োগে বাঁচল প্রাণ: বাঁকুড়ার সোনামুখী থানার পাথরমোড়া গ্রামে মায়ের জীবন রক্ষা করলেন দুই মেয়ে। শনিবার মৌসুমী মুখোপাধ্যায় নামে এক গৃহবধূর গলায় আটকে যায় চকলেট। বন্ধ হয়ে যায় তাঁর শ্বাস। বন্ধ হয়ে যায় কথাবার্তাও। পাশেই ছিল কলেজ পড়ুয়া দুই মেয়ে বৃষ্টি ও চতুর্থী। মায়ের এমন কাণ্ড দেখেই তাঁরা টের পেয়ে যান মায়ের গলায় কিছু আটকে যাওয়ার কারণেই এই অবস্থা হয়েছে। ভেঙে না পড়ে শিখে রাখা হাইমলিক কৌশল অবলম্বন করতে শুরু করে দেয় দুই মেয়ে। হাইমলিকের প্রয়োগের পরে শ্বাসনালি থেকে বেরিয়ে আসে চকলেটের টুকরো। স্বাভাবিক ছন্দে ফিরে আসেন মৌসুমী দেবী।
এই হাইমলিক কৌশল জানা না থাকলে এই ধরনের ঘটনা থেকে প্রাণ বাঁচানো সম্ভব হতো না। বৃষ্টি ভারতীয় বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী সমিতির ক্যাম্প থেকে এই হাইমলিকের প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। আর সেই শিক্ষায় তাঁর মায়ের জীবন রক্ষা করতে পেরেছেন। দুই কন্যার এই কীর্তি ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন প্রান্তে। রবিবার ওই এলাকায় স্কুল পড়ুয়া ও গ্রামের মানুষের সামনে হাইমলিক কৌশল প্রয়োগ কীভাবে করা হয় কোন ক্ষেত্রে করা হয় তা তুলে ধরা হয়। মায়ের জীবন বাঁচিয়ে সবার সামনে তাঁদের দাবি হাইমলিক সবার শিখে রাখা উচিত। তাতে অনেকের প্রাণ রক্ষা করা যাবে। ভারতীয় বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী সমিতির দাবি বাঁকুড়া জেলায় এই হাইমলিক অনেকের প্রাণ বাঁচিয়েছে। তাই এটা সকলের শিখে নেওয়া উচিত।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: Suvendu Adhikari:'সব কা সাথ, সব কা বিকাশ' বন্ধ করুন' স্লোগান বদলের ডাক শুভেন্দুর