Bankura News: 'রেশনের আটায় বালি' ! দলীয় কর্মসূচীতে গিয়ে অভিযোগের মুখে মন্ত্রী
WB Govt Food Controversy in Bankura: 'রেশনে পাওয়া আটা খাবার অযোগ্য', খাদ্য দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রীকে কাছে পেয়ে ক্ষোভের কথা জানালেন এলাকার রেশন গ্রাহকরা, বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস মন্ত্রীর।
পূর্ণেন্দু সিংহ, বাঁকুড়া: 'রেশনে পাওয়া আটা খাবার অযোগ্য',দুয়ারে একদিন কর্মসূচীতে গিয়ে রেশনে নিম্নমানের আটা সরবরাহের অভিযোগ শুনতে হল রাজ্যের খাদ্য দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যোৎস্না মান্ডিকে (Jyotsna Mandi)। এদিন বাঁকুড়ার (Bankura) সিমলাপাল ব্লকের লায়েকপাড়া গ্রামে দলীয় কর্মসূচী চলাকালীন স্থানীয় গ্রামবাসীরা মন্ত্রীর কাছে এই অভিযোগ তুলে ধরেন। অভিযোগ (Allegation) পেয়ে আটার নমুনা চেখে দেখার পাশাপাশি বিষয়টি নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের আশ্বাস দেন মন্ত্রী। বিজেপি (BJP) এক্ষেত্রেও কাটমানির (Cut Money) অভিযোগও সামনে এনেছে।
'রেশনে পাওয়া আটা খাবার অযোগ্য'
রেশনের মাধ্যমে সরবরাহ করা আটার মান অত্যন্ত খারাপ। আটার মধ্যে বালি যেমন থাকে, তেমনই আটার স্বাদ তেঁতো হয়ে যাওয়ায় তা খাওয়ার অযোগ্য হয়ে পড়ে। ফলে রেশন থেকে পাওয়া আটা বাড়িতে ব্যবহার না করে এলাকার মানুষকে ফেলে দিতে হয়। মাঝেমধ্যেই রেশনের মাধ্যমে এমন নিম্নমানের আটা সরবরাহের অভিযোগে বাঁকুড়ার সিমলাপাল ব্লকের লায়েকপাড়া এলাকার মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছিল। আজ ওই এলাকায় তৃণমূলের অঞ্চলে একদিন কর্মসূচীতে যান রানীবাঁধের বিধায়ক তথা রাজ্যের খাদ্য দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যোৎস্না মান্ডি। মন্ত্রীকে কাছে পেয়ে ঘটনার কথা জানান এলাকার রেশন গ্রাহকরা। মন্ত্রীকে রেশনে সরবরাহ করা আটার প্যাকেটের নমুনাও দেখান এলাকাবাসী। মন্ত্রী নিজে সেই প্যাকেট থেকে আটা নিয়ে চেখে দেখেন। পরে ওই প্যাকেটটি নমুনা হিসাবে রেখে দেন।
'জেলা খাদ্য দফতরে জানানো হয়েছে'
এলাকাবাসীর এই অভিযোগের সত্যতা কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন স্থানীয় রেশন ডিলার। তাঁর দাবী বিষয়টি জেলা খাদ্য দফতরে জানানো হয়েছে। এলাকার মানুষের ক্ষোভের কথা জানতে পেরে মন্ত্রীর আস্বাস দ্রুত এব্যাপারে পদক্ষেপ করা হবে। বিজেপির কটাক্ষ, 'মন্ত্রী জানেন কাটমানি কোথায় খাওয়া হয়, কেনই বা রেশনে এমন নিম্ন মানের আটা সরবরাহ করা হয়। তাই এব্যাপারে মন্ত্রী ভালো বলতে পারবেন।' প্রসঙ্গত, রাজ্যে রেশন উপভোক্তাদের বিভিন্ন রকমের রেশন কার্ড রয়েছে। এক একটি কার্ডে সরকারের তরফে এক এক রকমের সুবিধা পাওয়া যায়। প্রতিটি রেশন কার্ডের ক্ষেত্রে খাদ্যশস্যের পরিমাণেরও বিস্তর ফারাক রয়েছে। তবে সেটা দেখার আগে একবার দেখে নেওয়া যেতে পারে রাজ্যে কত রকমের রেশন কার্ড রয়েছে।
রেশন কার্ড:
অন্ত্যোদয় অন্নযোজনা রেশনকার্ড (AAY)
বিশেষ অগ্রাধিকার প্রাপ্ত রেশনকার্ড (SPHH)
অগ্রাধিকার প্রাপ্ত রেশনকার্ড (PHH)
RKSY1 রেশনকার্ড
RKSY2 রেশনকার্ড
আরও পড়ুন, 'বগটুইগ্রামে বিজেপির কোনও ভোট নেই', কেন বললেন শুভেন্দু ?
সাধারণত আর্থিক পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে রেশন কার্ড আলাদা আলাদা দেওয়া হয়ে থাকে। এক একটি রেশন কার্ডে এক একরকম পরিমাণে রেশনসামগ্রী মেলে। এবার সবসময় একইরকম পরিমাণে খাদ্যশস্য পাওয়া যায় না। সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের খাদ্য দফতর (Department of Food and Supplies, Government of WB) একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে, সেটি ট্যুইটও করেছে। সেখানে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে চলতি বছরে কোন রেশন কার্ডে কতটা পরিমাণ খাদ্যশস্য মিলবে।