Bankura: শ্রমিকদের ই-শ্রম কার্ড করে দেওয়ার নামে বিভিন্ন নথি সংগ্রহের অভিযোগ, ছাতনায় গ্রেফতার ১০
Chatna: শ্রমিকরাই ওই দশ জনকে ঘিরে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করলে, প্রত্যেকেই অসংলগ্ন কথাবার্তা বলতে শুরু করে বলে অভিযোগ
পূর্ণেন্দু সিংহ, ছাতনা : শ্রমিকদের ই-শ্রম কার্ড করে দেওয়ার নামে বিভিন্ন নথিপত্র ও বায়োমেট্রিক সংগ্রহ করার অভিযোগ। ১০ জনকে গ্রেফতার করল ছাতনা থানার পুলিশ। গতকাল তাদের গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের বিরুদ্ধে ৪২০ নম্বর ধারায় প্রতারণা-সহ বেশ কয়েকটি ধারায় মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল বাঁকুড়ার ঝাঁটিপাহাড়ি স্টেশনের রেক পয়েন্টে যখন শ্রমিকরা রেলের রেক লোড-আনলোডের কাজ করছিলেন, সেই সময় অভিযুক্ত ১০ জন এখানে আসে। নিজেদের রেলওয়ে শ্রমিক ইউনিয়নের কর্মী হিসাবে পরিচয় দিয়ে শ্রমিকদের ই শ্রম কার্ড করে দেওয়ার প্রস্তাব দেয়। অভিযোগ, ই-শ্রম কার্ড করে দেওয়ার নামে ওই ১০ জন শ্রমিকদের কাছ থেকে আধার কার্ড, প্যান কার্ড, ভোটার কার্ড সহ বায়োমেট্রিক সংগ্রহ করেন। প্রায় দেড়শো জনের কাছ থেকে নথি ও বায়োমেট্রিক সংগ্রহের পর স্থানীয় শ্রমিকদের একাংশের মধ্যে সন্দেহ হয়। এরপর শ্রমিকরাই ওই দশ জনকে ঘিরে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করলে, প্রত্যেকেই অসংলগ্ন কথাবার্তা বলতে শুরু করে বলে অভিযোগ।
শ্রমিকরাই ছাতনা থানার পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ওই ১০ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পরে শ্রমিকদের অভিযোগের ভিত্তিতেই ওই ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের বাড়ি রাজ্যের বিভিন্ন জেলায়। তাদের প্রকৃত পরিচয় জানার চেষ্টা চালানোর পাশাপাশি শ্রমিকদের নথিপত্র ও বায়োমেট্রিক সংগ্রহের আসল উদ্দেশ্য জানার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, আধার কার্ড- বর্তমানে আমাদের সকলের জীবনেই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি জিনিস। এই আধার কার্ডের (Aadhar Card) সঙ্গে যুক্ত থাকে ইউজারের বায়োমেট্রিক (Biometric Lock) তথ্য যেমন- আঙুলের ছাপ, চোখের মণির ছবি। সম্প্রতি জানা গিয়েছে, হ্যাকাররা এইসব বায়োমেট্রিক তথ্য হাতিয়ে নিয়েও ইউজারদের প্রতারণার ফাঁদে ফেলছে। অতএব সতর্ক থাকার জন্য আধার কার্ডের এইসব বায়োমেট্রিক তথ্য লক করে রাখা প্রয়োজন। আধার কার্ডের বায়োমেট্রিক তথ্য সাময়িকভাবে লক করার সুবিধাও রয়েছে। অর্থাৎ আপনি চাইলে আবার এইসব ডেটা আনলকও করতে পারবেন। মূলত ডিজিটাল স্ক্যাম থেকে বাঁচার জন্যই আধার কার্ডের বায়োমেট্রিক ডেটা লক করার কথা বারংবার বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
আধার কার্ডের বায়োমেট্রিক তথ্য লক করলে এই তালিকায় আপনার আঙুলের ছাপ, চোখের মণির ছবি, মুখের ছবি - এইসব তথ্য সুরক্ষিত থাকবে। একবার এইসব বায়োমেট্রিক ডেটা লক হয়ে গেলে এগুলি ব্যবহার করে আর আধার কার্ডের অথেনটিফিকেশন করা সম্ভব না। আবার আপনি এইসব বায়োমেট্রিক ডেটা আনলক করলে আপনি উল্লিখিত তথ্যের সাহায্যে আধার কার্ডের অথেনটিফিকেশন করতে পারবেন। UIDAI জানিয়েছে, ইউজারের ব্যক্তিগত তথ্য গোপনে সুরক্ষিত রাখার জন্যই আধার কার্ডের বায়োমেট্রিক তথ্য লক করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।