Bankura News: রাস্তার ধারে বসে বাসন ধোওয়ার সময় গাড়ির ধাক্কা, বাঁকুড়ায় গুরুতর জখম ২ গৃহবধূ !
Accident: কিছু দূর যাওয়ার পর গাড়ি থামিয়ে চালক সহ আরোহীরা গাড়ি থেকে নেমে এলাকা ছেড়ে চম্পট দেন।
পূর্ণেন্দু সিংহ, বাঁকুড়া : গ্রামের রাস্তার ধারে বসে বাসন ধোওয়ার সময় দুর্ঘটনার মুখে পড়লেন স্থানীয় দুই গৃহবধূ। আচমকাই একটি চারচাকা গাড়ি এসে একজনকে ধাক্কা মারে। অন্যজনকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যায় বেশ কিছুটা দূর। পরে গাড়ি ফেলে এলাকা ছেড়ে চম্পট দেন চালক-সহ গাড়ির আরোহীরা। গতকাল রাতে বাঁকুড়ার কেঞ্জাকুড়ার এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে যায় এলাকায়। আহত দুই গৃহবধূকে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনাটা কী ?
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল রাতে বাড়িতে খাওয়া দাওয়ার পর কেঞ্জাকুড়ার কাইতি পাড়ার বাসিন্দা পুতুল লোহার ও বিউটি লোহার নামের দুই গৃহবধূ রাস্তার ধারে এঁটো বাসন ধুচ্ছিলেন। সেই সময় দ্রুত গতিতে আসা একটি চারচাকা গাড়ি একজনকে ধাক্কা মেরে রাস্তার ধারের ড্রেনে ছিটকে ফেলে। অন্যজনকে গাড়িটি হিঁচড়ে নিয়ে যায় বেশ কিছুটা। কিছু দূর যাওয়ার পর গাড়ি থামিয়ে চালক সহ আরোহীরা গাড়ি থেকে নেমে এলাকা ছেড়ে চম্পট দেন।
এদিকে দুর্ঘটনার পর স্থানীয় বাসিন্দারা আহত দুই গৃহবধূকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে (Bankura Sammilani Medical College and Hospital) নিয়ে যান। স্থানীয়দের দাবি, গাড়ির চালক মদ্যপ অবস্থায় থাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। চালককে অবিলম্বে চিহ্নিত করে শাস্তির দাবি জানান স্থানীয়রা।
গত নভেম্বর মাসে বাঁকুড়ার (Bankura Accident) ওন্দায় যাত্রীবাহী বাস ও পণ্যবাহী পিকআপ ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ঘটনায় বাস ও পিকআপ ভ্যানের চালক-সহ ২০ জন আহত হন। সকাল ৭টা নাগাদ ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের ওপর দুর্ঘটনা ঘটে। বাঁকুড়া থেকে বিষ্ণুপুর যাচ্ছিল বেসরকারি বাসটি। উল্টোদিক আসা বাদামবাহী পিকআপ ভ্যান বাসে ধাক্কা মারে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, পিকআপ ভ্যানের পিছনের ডানদিকের চাকা ফেটে যাওয়াতেই এই বিপত্তি। ঘটনায় বিকট শব্দে ছুটে আসে স্থানীয় মানুষ ও ওন্দা পুলিশ। পিকআপ ভ্যানের ড্রাইভারকে বের করা হয়। পরে বাস ড্রাইভার ও বাসযাত্রীদের উদ্ধার করা হয়। আহতদের নিয়ে ভর্তি করা হয় ওন্দা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। প্রসঙ্গত, রাজ্যে বেপরোয়া গতির বলির উদাহরণ ভুরিভুরি (Accident)। সচেতনতা বাড়িয়ে দিতে, সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ নিয়ে উদ্যোগের শেষ নেই রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনের। প্রায়শই অভিযোগ ওঠে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালিয়ে, নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মর্মান্তিক দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন রাজ্যের সাধারণ মানুষ। কখনও কখনও মদ্যপ অবস্থাতেও গাড়ি চালানোর অভিযোগ উঠেছে।