Lalbaba College: সরস্বতী পুজোকে কেন্দ্র করে বচসা-হাতাহাতি, বেলুড়ের লালবাবা কলেজে তুলকালাম
Belur Lalbaba College: সরস্বতী পুজো নিয়ে এদিন আলোচনা শুরু হতেই হাতাহাতি বেধে যায়। একে অপরের দিকে আঙুল তুলেছে, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দুই গোষ্ঠী।
বেলুড়: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রথম দিনেই উত্তপ্ত বেলুড়ের লালবাবা কলেজ। সরস্বতী পুজোকে কেন্দ্র করে তুলকালাম। দু’পক্ষের মধ্যে বচসার জেরে হাতাহাতি। বেশ কয়েকজন আহত। আজ বেলা ১২টা টাগাদ এই ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে যায় বালি থানার পুলিশ।
মারের পাল্টা মার...এক ছাত্রীকে ঘিরে ফেলে, চলল কিল, চড়, ঘুসি!!! কোনওরকমে পরিস্থিতি সামাল দিল পুলিশ...একমাস পর বৃহস্পতিবার খুলেছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। কলেজ খোলা মাত্র এদিন, ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটে যায় বেলুড়ের লালবাবা কলেজে। কিন্তু, কেন অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠল পরিস্থিতি? স্থানীয় সূত্রে দাবি, কলেজে তৃণমূলের ছাত্র সংগঠন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দুই গোষ্ঠীর বিবাদ দীর্ঘদিনের। কলেজের প্রাক্তন কালচারাল সেক্রেটারির সঙ্গে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নতুন কমিটির সদস্যদের মধ্যে এদিন সংঘর্ষ বাধে। জানা গিয়েছে, সরস্বতী পুজো নিয়ে আলোচনার সময় সংঘর্ষ হয়। পুলিশের সামনেই হাতাহাতি মারধরের অভিযোগ উঠেছে। আক্রান্ত ছাত্রী আগমনী মণ্ডল বলেন, "কলেজে ঢোকার পর থেকে উত্যক্ত করে। বহিরাগত একজন মারধর করে। ৫০ জন এসে মারে। প্রিন্সিপাল, পুলিশের সামনে মারধর করে।"
সরস্বতী পুজো নিয়ে এদিন আলোচনা শুরু হতেই হাতাহাতি বেধে যায়। একে অপরের দিকে আঙুল তুলেছে, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দুই গোষ্ঠী। বালির যুব তৃণমূল কর্মী প্রজ্ঞা পুরকায়স্থ সাউ বলেন, "অভিজিৎ মেরে মুখ ফাটিয়ে দেয়। পঞ্চাশজনের গ্রুপ আসে। যে বাইরের ছেলেগুলো আসছে তারা বিজেপি করে। ওরা বলছে ওরা করছে মানে আমরা ছাত্র পরিষদ করছি।" এদিকে, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের আহ্বায়ক অভিজিৎ রায় বলেন, "যারা দিদি, অভিষেকদার ছবি, পোস্টার ছিঁড়ে ফুটবলের মতো খেলেছে তাদের সঙ্গে অশান্তি। দিদি-অভিষেকদা অপমান করলে ছাড়ব না। কেউ আঘাত পেয়ে হয়তো এমন করেছে।"
এদিকে, লালবাবা কলেজের অধ্যক্ষ সঞ্জয় কুমার বলেন, "ছাত্র পরিষদের দুই প্রাক্তন সদস্যের বিবাদের জন্য এই পরিস্থিতি। একপক্ষ ইউনিট করে। আমরা মান্যতা দিইনি। সরস্বতী পুজোর কথা বললে আমরা রাজি হইনি। অভিজিৎ জোর করে ঢুকেছে। থানায় জানিয়েছিলাম, কী করে ঢুকল।" কলেজ কর্তৃপক্ষের তরফে বেলুড় থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে।