(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Shantanu Meets Vijayvargiya: দিল্লিতে বিজয়বর্গীয়ের সঙ্গে বৈঠক, রাজ্য নেতৃত্বের একাংশের বিরুদ্ধে নালিশ জানালেন শান্তনু?
Shantanu Thakur Meets Kailash Vijayvargiya: বিজেপি সূত্রে খবর, পাঁচ রাজ্যের ভোট নিয়ে অমিত শাহ, জে পি নাড্ডারা ব্যস্ত থাকায় কৈলাস বিজয়বর্গীয়র সঙ্গে দেখা করেছেন শান্তনু ঠাকুর।
বিজেন্দ্র সিংহ, নয়াদিল্লি: বঙ্গ বিজেপিতে অসন্তোষের আবহে দিল্লিতে কৈলাস বিজয়বর্গীয়ের সঙ্গে বৈঠক করলেন শান্তনু ঠাকুর)Shantanu Thakur Meets Kailash Vijayvargiya) । রাজ্য বিজেপির (Bengal BJP) নেতৃত্বের একাংশের বিরুদ্ধে কি নালিশ জানালেন বনগাঁর সাংসদ? তা স্পষ্ট না হলেও, কৈলাস বললেন দলে কোনও মতবিরোধ নেই।
বঙ্গ বিজেপিতে বিদ্রোহের আগুন নেভার কোনও লক্ষ্মণ নেই। উল্টে জেলায় জেলায় নবগঠিত কমিটি নিয়ে অসন্তোষ অব্যাহত। এই প্রেক্ষাপটে বাংলায় দায়িত্বপ্রাপ্ত, বিজেপির সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয়র সঙ্গে দেখা করলেন বনগাঁর সাংসদ ও কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর।
বাজেট অধিবেশন চলায় দিল্লিতে আছেন শান্তনু। মঙ্গলবার রাতে বিজেপির সদর দফতরে কৈলাস বিজয়বর্গীয়র সঙ্গে বৈঠক করেন বনগাঁর সাংসদ।
সূত্রের দাবি, এর আগেও শান্তনু ঠাকুর কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে, বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বের একাংশের বিরুদ্ধে ক্ষোভের কথা জানিয়েছিলেন। আর এবার সরাসরি দেখা করলেন।
দলের সাধারণ সম্পাদকের কাছে কি রাজ্য নেতৃত্বের একাংশের বিরুদ্ধে নালিশ জানিয়েছেন শান্তনু? এনিয়ে তিনি মুখ না খুললেও, বৈঠকে যে বঙ্গ বিজেপির বর্তমান পরিস্থিতি নিয়েই আলোচনা হয়েছে তা স্পষ্ট কৈলাস বিজয়বর্গীয়র কথায়।
পশ্চিমবঙ্গে দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা ও বিজেপির সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেছেন, দলে কোনও মতবিরোধ নেই...আমি ওনার সঙ্গে কথা বলেছি।
নতুন রাজ্য ও জেলা কমিটিতে মতুয়াদের প্রতিনিধিরা না থাকায়, বিদ্রোহের আগুনের ফুলকি দেখা গেছিল বঙ্গ বিজেপিতে। একের পর এক বিধায়ক, নেতা দলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়তে থাকেন। যাঁদের কার্যত এক ছাতার তলায় এনেছিলেন শান্তনু ঠাকুর। বিক্ষুব্ধদের নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক, পিকনিক করেন তিনি। এমনকি দিল্লি যাওয়ার আগে, তাঁর সঙ্গে দেখাও করেছিলেন সাময়িকভাবে বহিষ্কৃত জয়প্রকাশ মজুমদার ও রীতেশ তিওয়ারি।
বিজেপি সূত্রে খবর, পাঁচ রাজ্যের ভোট নিয়ে অমিত শাহ, জে পি নাড্ডারা ব্যস্ত থাকায় কৈলাস বিজয়বর্গীয়র সঙ্গে দেখা করেছেন শান্তনু ঠাকুর।
বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ এ ব্যাপারে বলেছেন, ভাল হয়েছে, কৈলাশ বিজয়বর্গীয় এখনও রাজ্যের পর্যবেক্ষক আছেন। আমি আগেই বলেছি ঠিক জায়গায় বলা উচিত, যাতে সমাধান হয়। এটা সমাধানের রাস্তা। সবাই সব বিষয়ে দেখা করবেন। এটাই হওয়া উচিত।
বিজেপি সূত্রে খবর, ৫ রাজ্যের ভোট নিয়ে দলের শীর্ষ নেতারা ব্যস্ত থাকায়, এখনই বাংলার দিকে নজর দিতে পারছেন না। তবে ভোট মিটে গেলেই বঙ্গ বিজেপির নেতাদের মধ্যে যা যা ক্ষোভ রয়েছে, তা মেটানোর চেষ্টা করা হবে। তবে ততদিন কেউ যেন প্রকাশ্যে মুখ না খোলেন, মঙ্গলবারের বৈঠকের মাধ্যমে সেই বার্তাই দেওয়া হল বলে বিজেপি সূত্রে খবর।
যদিও কোনও কিছু করেই বিজেপি ভাঙন রুখতে পারবে না বলে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছে তৃণমূল। শেষ অবধি বঙ্গ বিজেপির অন্দরের রাজনীতি কোন পথে এগোয়...সেদিকেই নজর রাজনৈতিক মহলের।