Bengal SIR Row : 'নথি যাচাই বাধ্যতামূলক..', ভোটার তালিকা সংশোধনে কড়া নির্দেশ নির্বাচন কমিশনের
EC On SIR: ভোটার তালিকা সংশোধনে কড়া নির্দেশ নির্বাচন কমিশনের।

কলকাতা: নথি যাচাই বাধ্যতামূলক, ভোটার তালিকা সংশোধনে কড়া নির্দেশ নির্বাচন কমিশনের। 'ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার নোটিস পাঠালে, প্রমাণের জন্য নির্ধারিত নথি জমা দিতে হবে। ভোটারদের জমা দেওয়া সমস্ত নথি BLO অ্যাপের মাধ্যমে আপলোড করতে হবে। ECINet-এ তা পাওয়ার ৫ দিনের মধ্যেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে যাচাই করে নিতে হবে। যদি নথি একই রাজ্যের অন্য কোনও জেলার কর্তৃপক্ষ দ্বারা ইস্যু করা হয়......তাহলে ECINet-এর মাধ্যমে সেই জেলার DEO-র কাছে যাচাইয়ের জন্য পাঠানো হবে। নথি রাজ্যের বাইরের কোনও কর্তৃপক্ষ ইস্যু করলে, CEO-র মাধ্যমে যাচাইয়ের অনুরোধ পাঠানো হবে', নির্দেশাবলী জেলা নির্বাচন আধিকারিক, ERO, রোল অবজার্ভারদের কঠোরভাবে মানতে হবে, জানাল কমিশন।
আরও পড়ুন, ওড়িশায় রাজমিস্ত্রির কাজ করতে গিয়ে বঙ্গসন্তানের মৃত্যু ! বিস্ফোরক অভিযোগ তুলল তৃণমূল
SIR-এর খসড়া ভোটার তালিকায় সামনে এসেছে বহু অসঙ্গতি।এবার ২৭ তারিখ অর্থাৎ শনিবার থেকে শুরু হচ্ছে SIR-এর শুনানি।তার আগে বুধবার কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়েছে, ২০১০ সালের মার্চ মাসের পর দেওয়া OBC সার্টিফিকেট SIR-এর শুনানিতে গ্রহণযোগ্য কিনা, সেই সিদ্ধান্ত নিক জাতীয় নির্বাচন কমিশন। গত বছর কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, ২০১০ সালের পর এরাজ্য়ে দেওয়া সমস্ত OBC সার্টিফিকেট অবৈধ। এদিকে, SIR-এর শুনানিতে নিয়ে যাওয়ার জন্য় নির্বাচন কমিশন যে ১১টি নথির তালিকা দিয়েছে, সেই তালিকায় জাতি শংসাপত্র অর্থাৎ কাস্ট সার্টিফিকেট রয়েছে। এবিষয়ে জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য চিঠি পাঠান এক আইনজীবী। হাইকোর্টে দায়ের হয় মামলা। বুধবার বিচারপতি কৃষ্ণা রাও নির্দেশ দেন,আগামী ৭ দিনের মধ্যে উপযুক্ত কারণ দেখিয়ে সিদ্ধান্ত জানাক কমিশন।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর,শুনানিতে নজরদারি করার জন্য নিয়োগ করা হয়েছে ৪ হাজার ৬০০ কেন্দ্রীয় সরকারি আধিকারিককে।বুধবার, নজরুল মঞ্চে তাঁদের সঙ্গে বৈঠক করেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজকুমার আগরওয়াল।মুখ্যা নির্বাচনী আধিকারিক মনোজ আগরওয়াল বলেন,মাইক্রো অবজার্ভার হিসেবে যাঁদেরকে নিয়োগ করা হয়েছে, যাঁরা ERO এবং AERO-দের সঙ্গে থাকবেন, তাঁদের একটা ট্রেনিং ছিল। ECI- এর যে নির্দেশ আছে, মাইক্রো অবজার্ভাররা কী কী কাজ করবেন, ওটাই আজকে বলা হয়েছে। BLO-দের একাংশের অভিযোগ, ২৭ তারিখ থেকে শুনানি শুরুর কথা বলা হলেও তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হচ্ছে।
BLO ও ভোটকর্মী ঐক্য মঞ্চ সাধারণ সম্পাদাক স্বপন মণ্ডল বলেন, গত সপ্তাহে BLO-দের কাছে একটা তালিকা পাঠানো হয়েছিল সেই তালিকাতে মূলত তাঁদের নাম ছিল, যাঁদের ২০০২ সালের ভোটার লিস্টে নাম আছে অথচ অনলাইনে দেখা যাচ্ছে না। ভার্চুয়াল মিটিং-এর মাধ্যমে ERO এবং AERO-রা নির্দেশ দিয়েছিলেন যে, এঁদের আলাদা করে হিয়ারিং করার দরকার নেই। কিন্তু আজকে বিভিন্ন জায়গা থেকে আমরা শুনতে পাচ্ছি, এঁদেরকেও হিয়ারিং করাতে হবে এবং সেই নোটিসও বিভিন্ন জায়গায় ইস্যু হয়েছে। কিন্তু কেন্দ্রীয়ভাবে কোনও নির্দেশ থাকবে না কেন? BLO-দের মধ্যেযেমন বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে ঠিক একইভাবে সাধারণ ভোটারদের মধ্যেও বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে।






















