Bhangar Chaos: কীভাবে ভাঙড়ে নির্বিচারে তাণ্ডব চালানোর সুযোগ পেল দুষ্কৃতীরা? প্রশ্নে পুলিশের ভূমিকা
Bhangar Police Role: এবার আগুন জ্বলল দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ে। কলকাতার একেবারে উপকণ্ঠে। মাত্র ৩৪ কিলোমিটার দূরে।

কলকাতা: পূর্বঘোষিত কর্মসূচি। তাতেও এড়ানো গেল না হিংসা। যেখানে ফের টার্গেট করা হল সরকারি সম্পত্তি। কলকাতা পুলিশের আওতায় আসা ভাঙড়ে (Bhangar Chaos) উল্টে দেওয়া হল পুলিশের গাড়ি। আগুন লাগানো হল পুলিশের বাইকে। আর এই ঘটনার ঘিরে ফের একবার প্রশ্নের মুখে পুলিশের ভূমিকা।
ফের প্রশ্নে পুলিশের ভূমিকা: ওয়াকফ সংশোধনী আইন বিরোধী আন্দোলনে মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ, ধুলিয়ান, সুতি, জলঙ্গির পর এবার আগুন জ্বলল দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ে। কলকাতার একেবারে উপকণ্ঠে। মাত্র ৩৪ কিলোমিটার দূরে। শোনপুরে আক্রান্ত হল পুলিশ। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হল পুলিশের একের পর এক বাইকে। কলকাতা পুলিশের গাড়ি ভেঙে চুরমার করে দিল দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনার ঘিরে ফের একবার প্রশ্নের মুখে পুলিশের ভূমিকা। তার কারণ, ওয়াকফ বিরোধী আইনের প্রতিবাদ থেকে অশান্তি কোন পর্যায়ে পৌঁতে পারে তার জ্বলন্ত প্রমাণ মুর্শিদাবাদ।
তারওপর ওয়াকফ সংশোধনী আইনের বিরোধিতায় সোমবার ISF-এর সভা ছিল কলকাতায় রামলীলা পার্কে। সেখানে যাওয়ার জন্যই ভাঙড়, মিনাখাঁ থেকে বাসন্তী এক্সপ্রেসওয়ে ধরে কলকাতায় আসছিলেন কর্মী, সমর্থকরা। তখন বৈরামপুরে তাদের আটকায় পুলিশ। তখনই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে শুরু করেছিল ভাঙড়ে। কিন্তু তারপরও পুলিশ কেন আঁচ করতে পারল না যে পরে পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠতে পারে? সকালের উত্তেজনার পর কীভাবে ভাঙড়ের শোনপুর নির্বিচারে তাণ্ডব চালানোর সুযোগ পেল দুষ্কৃতীরা?
২০২৪ সালে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতির স্বার্থে ভাঙড়কে কলকাতা পুলিশের আওতায় আনেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে তারপরও ভাঙড় আছে ভাঙড়েই। ভাঙড়ে অশান্তির ছবি নতুন নয়। কখনও মুড়ি-মুড়কির মতো বোমাবাজি। আবার কখনও বন্দুকের আস্ফালন। পঞ্চায়েত ভোট হোক বা বিধানসভা এমনকী গত লোকসভা ভোটের সময়েও বারবার অশান্ত হয়েছে দক্ষিণ ভাঙড়। তাহলে এবার ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে পরিস্থিতি যে রণক্ষেত্র হয়ে উঠতে পারে তা বুঝতেই পারল না পুলিশ? মুর্শিদাবাদে আগে থেকে পাথর-ইট ছোড়ার জন্য় মজুত করে রাখা হচ্ছে, পুলিশ জানতেই পারছে না? ভাঙড়ে হাঙ্গামা হতে পারে পুলিশ বুঝতেই পারছে না! এটা কি তাহলে পুলিশি ব্য়র্থতা নয়? প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই।
সোমবার রাতে অবশ্য় কলকাতা পুলিশের তরফে সোশাল মিডিয়ার পোস্টে দাবি করা হয়, ভাঙড়ের পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কেস দায়ের করা হয়েছে এবং তাদের গ্রেফতারের জন্য় তল্লাশি অভিযান চলছে। সাধারণ মানুষকে গুজবে কান না দেওয়ার জন্য় অনুরোধ করা হচ্ছে। মিথ্য়া তথ্য় ছড়ানোর সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধেও কড়া আইনি ব্য়বস্থা নেওয়া হবে।






















