Bandh Postpone: মমতার বার্তাতেই কাজ হল! কাল বনধ হচ্ছে না পাহাড়ে, জানিয়ে দিলেন বিনয় তামাংরা
Binay Tamang: বৃহস্পতিবার পাহাড়ের বনধ স্থগিত।
উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়, দার্জিলিং: বৃহস্পতিবার পাহাড়ের বনধ স্থগিত। আগামী কাল বনধ স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত বিনয় তামাংদের (Binay Tamang)। কাল থেকে শুরু হচ্ছে মাধ্যমিক পরীক্ষা (Madhyamik Exams)। পরীক্ষার্থী এবং সাধারণ মানুষের সুবিধা-অসুবিধার কথা মাথায় রেখেই এমন সিদ্ধান্ত বলে জানানো হয়েছে। যদিও শিলিগুড়িতে দাঁড়িয়ে একদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) জানিয়েছিলেন যে, বনধ ডাকার সংস্কৃতিকে একেবারেই সমর্থন করেন না তিনি। কোনও ভাবেই বনধ করতে দেওয়া হবে না। এর পরই বুধবার বনধ স্থগিত রাখার কথা জানানো হল।
শিলিগুড়িতে দাঁড়িয়ে একদিন আগেই কড়া বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী
আগামী কাল থেকে রাজ্যে মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। তাই কঠোর হাতে বনধ প্রতিহত করতে হবে বলে কড়া নির্দেশ দিয়েছিলেন মমতা। কোনও ভাবে পরিস্থিতি শিথিল হতে দেওয়া যাবে না বলে জানিয়েছিলেন। তার পরই এ দিন সাংবাদিক বৈঠক করেন বিনয় তামাংরা। জানিয়ে দেন, কাল থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। তাই সাধারণ মানুষের কথা মাথায় রেখেই সিদ্ধান্ত থেকে সরেছেন তাঁরা। আপাতত বনধ করছেন না।
একদিন আগে মমতাকে বলতে শোনা যায়, "আমি পরিষ্কার বলে দিয়ে যাচ্ছি। কোনও বনধ হবে না। বনধ করলে আমরা সমর্থন করব না। শুনেছি পাহাড়ে কেউ কেউ মাঝে মাঝে জাগে। উন্নয়নের জন্য নয়, কী করে অশান্তি পাকাতে হয়, তার জন্য জাগে। পরিষ্কার নির্দেশ দিচ্ছি, ২৩ তারিখ থেকে পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। বঙ্গভঙ্গ আন্দোলন করতে গেলে, আন্দোলনের অধিকার সকলের, কিন্তু আইন মেনে চলতে হবে। আইন না মানলে কাউকে রেয়াত করবে না সরকার। বনধ সমর্থন করি না আমরা। ১১ বছরে বুঝিয়ে দিয়েছি। আমরা বঙ্গভঙ্গ করতে দেব না। উত্তরবঙ্গ-দক্ষিণবঙ্গের মধ্যে কোনও তফাত নেই। আমরা সবাই এই বাংলার মানুষ। বাংলা একটাই থাকবে। যাঁরা ভাঙার চেষ্টা করবেন, তাঁদের মোহভঙ্গ হবে।"
উল্লেখ্য, পাহাড়ে বনধের কথা জানতে পেরেই কড়া বার্তা দেন মমতা। তিনি কতটা ক্ষুব্ধ, তা শিলিগুড়িতে গোপন করেননি তিনি। জানিয়ে দেন, আন্দোলন সকলে করতে পারেন। কিন্তু বনধ রেয়াত করবেন না তিনি। তাঁর এই বার্তার পরই পাহাড়ে সক্রিয় হয়ে যায় পুলিশ। বিনয় তামাংয়ের যে সমর্থকরা ধর্নায় বসেছিলেন, এসডিপিও গিয়ে তাঁদের সরিয়ে দেন। বনধ প্রতিহত করার প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায় রাত থেকেই।
দরকারে ধরপাকড় করা হবে বলেও সিদ্ধান্ত নেয় স্থানীয় প্রশাসন
দরকারে ধরপাকড় করা হবে বলেও সিদ্ধান্ত নেয় স্থানীয় প্রশাসন। শেষ মেশ মাধ্যমিক পরীক্ষাকে সামনে রেখে বনধ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। কিন্তু বনধ থেকে পিছিয়ে এলেও, তামাংদের রাজনৈতিক গতিবিধিতে অশনি সঙ্কেত দেখছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। কারণ টানা ১১০ দিন টানা বনধের সাক্ষী থেকেছে পাহাড়। সে বারও ১২ ঘণ্টার বনধ দিয়েই সূচনা ঘটে। তাই পাহাড়ে ফের বনধের রাজনীতি মাথা তুলে দাঁড়াতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকেই।