Birbhum News: অনুব্রতর গ্রেফতারির পর ফের বীরভূমে সক্রিয় সিবিআই, ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে তল্লাশি, জিজ্ঞাসাবাদ, আটক ৩
Post Poll Violence Case: শান্তিনিকেতনে সিবিআই-এর অস্থায়ী শিবিরে আটক করা তিন জনকে নিয়ে পৌঁছেছে সিবিআই।
আবির দত্ত, বোলপুর: গরুপাচার মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal)। তা নিয়ে টানাপোড়েনের মধ্যেই এ বার ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস মামলা সক্রিয় (Post Poll Violence Case) হল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (CBI)। বীরভূম (Birbhum) জুড়ে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছেন সিবিআই গোয়েন্দারা। কঙ্কালীতলা থেকে তিন জনকে আটকও করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য় ডেকে পাঠানো হয়েছে আরও তিন জনকে।
ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় বীরভূম জুড়ে তল্লাশি সিবিআই-এর, আটক ৩
ভোট পরবর্তী হিংসা মামলার তদন্তভার রয়েছে সিবিআই-এর হাতে। দীর্ঘ দিন ধরে তদন্ত করছিলেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। শনিবার আচমকাই তাঁদের একটি দল বীরভূম জুড়ে তল্লাশি অভিযান শুরু করে। কঙ্কালীতলা-সহ বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে মানুষ জনকে ধরে ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এর পর তিন জনকে আটক করা হয়। তলব করা হয় আরও তিন জনকে।
শান্তিনিকেতনে সিবিআই-এর অস্থায়ী শিবিরে আটক করা তিন জনকে নিয়ে পৌঁছেছে সিবিআই। তাঁরা সরাসরি হিংসায় যুক্ত ছিলেন বলে অভিযোগ। এ ছাড়াও, যে তিন জনকে ডেকে পাঠানো হয়, তাঁরাও শিবিরে পৌঁছেছেন বলে খবর।
সিবিআই সূত্রে জানা যাচ্ছে, এঁরা প্রত্যেকেই ভোট পরবর্তী হিংসায় যুক্ত ছিলেন। সকলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাঁরা সকলেই তৃণমূল কর্মী বলে জানা যাচ্ছে। তবে সিবিআই-এর তরফে এ নিয়ে কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি।
২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল বিপুল ভোটে জয়ী হওয়ার পর বিভিন্ন জেলায় বিজেপি কর্মীদের উপর হিংসা চালানো হয় বলে দাবি করে গেরুয়া শিবির। মারধর, খুন, মহিলাদের শ্লীলতাহানি করা হয় বলে অভিযোগ করে তারা। এমনকি ভয়ে বহু বিজেপি কর্মী বাড়ি ছাড়া বলেও দাবি করে। এর পর মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টের ভিত্তিতে সিবিআই-এর হাতে গুরুতর অভিযোগগুলি খতিয়ে দেখার দায়িত্ব তুলে দেয় আদালত।
সিবিআই-এর ভূমিকায় অসন্তুষ্ট সুকান্ত মজুমদার
কিন্তু শনিবার বীরভূমে সিবিআই তল্লাশি চালালেও, তাদের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন রাজ্য বিজেপি-র সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর বক্তব্য়, "ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস-মামলায় সিবিআই-এর আরও দ্রুত তদন্ত করা উচিত ছিল। সিবিআই দ্রুত তদন্ত করলে আরও বেশি গ্রেফতার হতো।" এর আগে সিবিআই-এর দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন বিজেপি-র সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষও।