Birbhum News: রাতে সেরেছিলেন ডিনার, সকালে দরজা খুলতেই ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হোটেলে
Dead body rescue in Rampurhat Hotel: রাত্রে খাওয়া দাওয়া করে রুমে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেন রতন আগড়ওয়াল, সকালে হোটেলের কর্মীরা তাকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। আত্মহত্যা নাকি অন্য রহস্য ?
ভাস্কর মুখোপাধ্যায় বীরভূম: রামপুরহাট একটি বেসরকারি হোটেল থেকে এক যাত্রীর মৃতদেহ উদ্ধারকে (Deadbody) ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল। রামপুরহাট থানার পুলিশ (Police) মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের (Autopsy) জন্য পাঠিয়েছে। মৃতের নাম রতন আগড়ওয়াল। জানা গিয়েছে, মৃত্যুকালীন বয়েস হয়েছিল ৪৭ বছর। বাড়ি রামপুরহাট ১০ নং ওয়ার্ডে বাড়ি।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৪ তারিখ রতন আগড়ওয়াল রামপুরহাট ভাড়শালা মোড়ে একটি হোটেলে ঘর ভাড়া নেয়। প্রতিদিনের মত শনিবার রাত্রে খাওয়া দাওয়া করে রুমে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেয়। রবিবার সকালে হোটেলের কর্মীরা তাকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। রামপুরহাট থানার পুলিশকে খবর দেওয়া হলে পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। ময়নাতদন্তের জন্য রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, গতবছর অক্টোবারে কলকাতার হোটেলে ওড়িশার ব্যবসায়ীর মৃত্যুর কারণ ঘিরে ধোঁয়াশা দেখা গিয়েছিল। পুলিশের দাবি, হোটেলের ঘর থেকে মিলেছে প্রচুর ওষুধও মিলেছিল। আত্মহত্যা? খুন নাকি অসুস্থতা থেকেই মৃত্যু? ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছিল পুলিশ।
হোটেলে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করা হয় ওই ওড়িশার ব্যবসায়ীকে। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা। ব্যবসায়ীর মৃত্যু কি স্বাভাবিক? নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ? ঘনীভূত রহস্য। নিউ মার্কেট থানার পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত ব্যবসায়ীর নাম নিসারউদ্দিন খান (৫২)। তিনি ওড়িশার জাজপুরের বাসিন্দা। লেনিন সরণির হোটেল রিগালের ১১৭ নম্বর রুমে ছিলেন তিনি। পুলিশ সূত্রে খবর, হোটেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, কলকাতায় এলে এই হোটেলেই উঠতেন নিসারউদ্দিন খান। গত সোমবারও তিনি এই হোটেলেই ওঠেন।
আরও পড়ুন, তৃণমূল কর্মীকে 'বেধড়ক মার' তৃণমূল নেতার, গোষ্ঠীকোন্দল ডোমকলে, আটক ৭
হোটেল কর্তৃপক্ষের দাবি, সব ঠিকঠাকই চলছিল। পুলিশকে তারা জানিয়েছিল, সকালেও ব্যবসায়ীকে স্বাভাবিক অবস্থায় দেখেছিলেন হোটেলের কর্মীরা। কিন্তু, দুপুর গডা়তেই থেকে তাঁর আর সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছিল, দীর্ঘক্ষণ ডাকাডাকির পরে হোটেল কর্মীরা ভেন্টিলেটরে উঁকি মেরে দেখেন, বিছানায় অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছেন ওই ব্যবসায়ী। হোটেলের ম্যানেজার বলেছিলেন, '২৪ তারিখ এসেছিলেন। সকালের পর সাড়াশব্দ পাচ্ছিলাম না। পুলিশে খবর দিই। হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।' হোটেল থেকে ফোনে খবর পেয়ে পুলিশ পৌঁছে গিয়েছিল। দরজা ভেঙে উদ্ধার করা হয় ওই ব্যবসায়ীকে। তাঁকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হলে, মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক।