Birbhum News: ধারের টাকা ফেরত চাওয়ায় চড়াও, মুম্বইয়ে আক্রান্ত পরিযায়ী শ্রমিক
Birbhum News Update: কেটে নেওয়া হয় ২টি কান। গুরুতর জখম অবস্থায় কয়েকদিন হাসপাতালে ভর্তি থাকার পর বাড়ি ফিরে আসেন ওই পরিযায়ী শ্রমিক। নলহাটি থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে।

ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বীরভূম: মুম্বইয়ে আক্রান্ত পরিযায়ী শ্রমিক। ধারের টাকা ফেরত চাওয়ায় বীরভূমের নলহাটির ওই শ্রমিকের ২টি কানই কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠল ঠিকাদারের বিরুদ্ধে। ভয়াবহ অভিজ্ঞতা নিয়ে বাড়ি ফিরে এসেছেন ২৫ বছরের রাহুল সিংহ। ৮ মাস আগে মুম্বইয়ের মালাডে রাজমিস্ত্রির কাজ করতে যান নলহাটির যুবক। তাঁর অভিযোগ, ঠিকাদারকে ১০ হাজার টাকা ধার দিয়েছিলেন। বাড়ি আসার সময় সেই টাকা ফেরত চাইতেই তাঁর ওপর ব্লেড নিয়ে হামলা চালান ঠিকাদার ও তাঁর সঙ্গীরা। কেটে নেওয়া হয় ২টি কান। গুরুতর জখম অবস্থায় কয়েকদিন হাসপাতালে ভর্তি থাকার পর বাড়ি ফিরে আসেন ওই পরিযায়ী শ্রমিক। নলহাটি থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
অভিযোগ, পাওনা টাকা চেয়েছিলেন ঠিকাদারের কাছে। এটাই ছিল তাঁর ‘অপরাধ’। তা নিয়ে গোলমালের জেরে বীরভূমের এক পরিযায়ী শ্রমিকের উপরে ব্লেড দিয়ে হামলা হয়েছে। কেটে নেওয়া হয়েছে ওই যুবকের দু'টি কানই! মুম্বইয়ে যে ঠিকাদারের অধীনে তিনি কাজ করেন, তাঁর দলবলই হামলা চালিয়েছে বলে রাহুল সিংহ নামে ওই পরিযায়ী শ্রমিকের অভিযোগ। আতঙ্কের স্মৃতি নিয়ে সোমবার নিজের বাড়ি, নলহাটিতে ফিরে এসেছেন বছর পঁচিশের রাহুল। রাহুলের বাড়ি নলহাটির ৫ নম্বর ওয়ার্ডে। বাড়িতে মা, বাবা ও বোন আছেন। বাবা শারীরিক অক্ষমতার কারণে তেমন কাজ করতে পারেন না। মা পরিচারিকার কাজ করেন। আর্থিক অনটনে সংসারে কিছুটা সুরাহা করতে সাত-আট মাস আগে রাহুল মুম্বইয়ে যান রাজমিস্ত্রির কাজ করতে।
রাহুল বলেন, “অনেক দিন বাড়ি ফিরিনি। তাই বাড়ি আসার আগে মালিকের কাছ থেকে পাওনা টাকা চাইতে যাই। মালিক টাকা দেননি, উল্টে বাড়ি আসাও যাবে না বলে হুমকি দিয়েছিলেন।” রাহুলের দাবি, পাওনা টাকা না পেয়ে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। রাহুলের অভিযোগ, সে কথা জানতে পেরেই ঠিকাদারের লোকজন মারধর করার পাশাপাশি ব্লেড দিয়ে হামলা চালায়। স্থানীয় একটি হাসপাতালে ওই যুবক চিকিৎসা করান। অস্ত্রোপচার করে রাহুলের দু'টি কানেরই বাইরের দিকের অংশ বাদ গিয়েছে। রাহুলের পরিবার হামলাকারীদের কঠোর শাস্তির দাবি করেছেন। যুবকের মা দীপা সিংহ বলেন, “সংসারে অনটন। ছেলে পেটের দায়ে মুম্বইয়ে কাজ করতে গিয়েছিল। তার পরেই এমন নৃশংস ঘটনা। আমার ছেলের সঙ্গে যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদের চরম শাস্তি চাই।” পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে নলহাটি থানার পুলিশ।






















