Birbhum News: সরকারি হাসপাতালে হচ্ছে না এক্স-রে, পরিষেবা বন্ধে বাড়ছে ভোগান্তি
Rampurhat Medical College: হাসপাতালে পাঁচ দিন ধরে বন্ধ এক্স-রে। চিকিৎসা করাতে এসে চরম বিপাকে পড়ছেন রোগী ও তাদের আত্মীয়-পরিজনরা।
ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, রামপুরহাট: বৃষ্টির জল জমে যাওয়ায় বীরভূমের রামপুরহাট মেডিক্য়াল কলেজ ও হাসপাতালে (Rampurhat Medical College) পাঁচ দিন ধরে বন্ধ এক্স-রে। ফলে চিকিৎসা করাতে এসে বিপাকে পড়ছেন রোগীরা। হাসপাতালে পরিষেবা না মেলায় বাইরে থেকে এক্স-রে করতে বাধ্য় হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। দ্রুত পরিষেবা স্বাভাবিক হবে বলে আশা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের।
পরিষেবা বন্ধে ভোগান্তি: বৃষ্টিতে জল জমেছে হাসপাতালের এক্স-রে রুমে। আর তাতে খারাপ হয়ে যেতে পারে ডিজিটাল এক্স-রে মেশিন। এই আশঙ্কায় বীরভূমের রামপুরহাট মেডিক্য়াল কলেজ ও হাসপাতালে গত পাঁচ দিন ধরে বন্ধ এক্স-রে। ফলে হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে এসে চরম বিপাকে পড়ছেন রোগী ও তাদের আত্মীয়-পরিজনরা। এক রোগীর কথায়, "আমরা এখানে ডাক্তার দেখানোর জন্য় এসেছি। রিপোর্ট পাচ্ছি না ঠিকভাবে। কোনও কিছু করতে গেলে ঠিক মতো পাচ্ছি না। আমরা যাব কোথায়? আমরা তো গরিব মানুষ। এখানে এসেছি সাহায্য় নিতে। আমাদেরকে বাইরে দেখাতে হবে। টাকা-পয়সার অভাব বলে তো আমরা এখানে এসেছি।'' সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়ছেন যারা আকস্মিক দুর্ঘটনা বা আপৎকালীন পরিস্থিতিতে চিকিৎসা করাতে আসছেন। এক রোগীর আত্মীয় বলেন, "আমার ছেলেটার দুর্ঘটনা হয়েছে। এখন এক্স-রে করতে এসেছি। মেশিন খারাপ। এক্স-রে হচ্ছে না। এখন ঘুরে বেড়াচ্ছি। বাইরে থেকে বলছে হবে না। এখান থেকেই করাতে হবে।''
এক্স-রে বন্ধ থাকায় রোগীদের সমস্য়ার কথা স্বীকার করে নিচ্ছেন হাসপাতালের কর্মীরাও। হাসপাতালের এক্স-রে বিভাগের কর্মী সঙ্গীতা বিশ্বাস বলেন, "বৃষ্টির কারণে পুরো নীচে জল ঢুকে যাচ্ছে। শর্ট সার্কিটের কারণে বন্ধ রেখেছি আমরা। রোগীদের অসুবিধা হচ্ছে। আমরাও কাজ করতে পারছি না। তাদেরও পরিষেবা দিতে পারছি না। জানিয়েছি। ওরা ওদের তরফ থেকে ব্য়বস্থা নিচ্ছে।'' শর্ট সার্কিটের আশঙ্কায় এক্স-রে মেশিন বন্ধ রাখা হয়েছে জানিয়ে অন্য় জায়গায় এক্স-রে পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে বলে দাবি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। রামপুরহাট মেডিক্য়াল কলেজের এমএসভিপি পলাশ দাস বলেন, "কয়েক দিন ধরে আমাদের এই পরিষেবাটা আমরা দিতে পারছি না। যেখানে এক্স-রে হয় সেখানে জল ঢুকে পড়েছে। ফলে শর্ট সার্কিট হতে পারে এই ভয়ে আমরা কাজটা বন্ধ রেখেছি। উপায় নেই বলে আরকী। বৃষ্টিটা কমে যাচ্ছে হয়তো জল চলে গেলে আবার কাজটা শুরু হয়ে যাবে এবং অন্য় জায়গা থেকে একটা পরিষেবার অংশ আমরা চালিয়ে যাচ্ছি।''
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।