Anubrata Mandal: 'একটা পাগল লোক', বিশ্বভারতীর উপাচার্যের ভাইরাল ভিডিও নিয়ে মন্তব্য অনুব্রতের
Anubrata Mandal comments on Viral Video: " নাচতে না জানলে উঠোন বাঁকাই হয়। যা করেছে উনি করেছে। রাজ্য সরকার, বোলপুরবাসীর কোনও দোষ নেই।"
আবীর ইসলাম, বীরভূম: ফের বিতর্কে বিশ্বভারতীর উপাচার্য। তাঁর মন্তব্য নিয়ে একটি ভিডিও সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে,. যার সত্যতা এবিপি আনন্দ যাচাই করেনি। ওই ভাইরাল ভিডিওয় উপাচার্য বিদ্যুত্ চক্রবর্তী বলেছেন, বিশ্বভারতী আজ পশ্চিমবঙ্গ ভারতী বা বোলপুর ভারতী হয়ে গেছে। এটা হতে দেওয়া হবে না। এই মন্তব্যে নাম না করে রাজ্য সরকারকেই কটাক্ষ করেছেন উপাচার্য, এই অভিযোগ শাসকদলের একাংশের।
এদিকে এই ভিডিও নিয়ে সুর চড়িয়েছেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মন্ডল। তিনি বলেন, " নাচতে না জানলে উঠোন বাঁকাই হয়। যা করেছে উনি করেছে। রাজ্য সরকার, বোলপুরবাসীর কোনও দোষ নেই। নিজে আসলে নাচতে পারছেন না, তাই উঠোন খারাপ বলছেন। বিশ্বভারতী সম্পর্কে এমন কথা কোনও শিক্ষিত, ভদ্রলোক বলতে পারে না কি। একটা পাগল লোক বলে একথা বলছে। কেন যে ওঁকে এখনও রেখেছে বুঝতেই পারছি না। কবে বিদায় নেবে সেটা গোটা ভারতবর্ষের মানুষ চাইছে।"
রাজ্যের মন্ত্রী ও বোলপুরের তৃণমূল বিধায়ক চন্দ্রনাথ সিনহার পাল্টা অভিযোগ, বিশ্বভারতী চালাতে ব্যর্থ হয়ে উপাচার্য এই সব বলছেন।
উত্তরাখণ্ডের রামগড়ে বিশ্বভারতীর দ্বিতীয় ক্যাম্পাস তৈরি হচ্ছে। উপাচার্য ইঙ্গিত দেন, অধ্যাপকদের শান্তিনিকেতন থেকে গিয়ে রামগড়ের ক্যাম্পাসকে দাঁড় করানোর দায়িত্ব নিতে হবে।
‘বিশ্বভারতী’কে ‘পশ্চিমবঙ্গভারতী’ বা ‘বোলপুরভারতী’ বলা উপাচার্যের ভিডিও ভাইরাল। আর উপচার্যের এই মন্তব্য ঘিরে নতুন করে শুরু হয়েছে তরজা। বোলপুরের পর উত্তরাখণ্ডের রামগড়ে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। তারজন্য ১৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রক। ভাইরাল ভিডিওয় সেই প্রসঙ্গে বলতে গিয়েই ‘বিশ্বভারতী’ ‘পশ্চিমবঙ্গভারতী’ বা ‘বোলপুরভারতী’ হয়ে গিয়েছে বলে মন্তব্য করেন উপচার্য। এমনকি বোলপুর থেকে শিক্ষক-অধ্যাপকদের উত্তরাখণ্ডের রামগড়ে গিয়ে শিক্ষকতা করতে হবে বলেও জানান তিনি।
এই পরিস্থিতিতে উপাচার্যের মন্তব্যের সমালোচনায় সরব হয়েছেন কবিগুরুর সাধের বিশ্বভারতীর ছাত্র ও আশ্রমিকদের একাংশ। পড়ুয়া শুভ নাথ বলেন, "ছাত্র বিরোধী, আশ্রম প্রাঙ্গণের ঐতিহ্যকে নষ্ট করে দিচ্ছে। বিশ্বভারতীর উপাচার্য যে মন্তব্য করেছে জঘন্য।" আরেক আশ্রমিক সুপ্রিয় ঠাকুর বলেন, "তিনি কী করেছেন? অন্যকিছু করেছেন? তাঁর মুখে এসব কথা একেবারেই সাজে না।"
শান্তিনিকেতনে উপসনাগৃহের সামনের রাস্তা রাজ্য সরকারের ফের নিয়ে নেওয়া নিয়েও, ভাইরাল ভিডিওয় মুখ খোলেন বিদ্যুত্ চক্রবর্তী। পাল্টা উত্তর দেয় শাসকশিবিরও।