Anubrata Mondal Update : দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের সঙ্গে যৌথ সম্পত্তি অনুব্রতর, সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে দাবি CBI-এর
CBI's Supplementary Charge Sheet : চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রায় ১৮০০ অস্ট্রেলিয়ান গরু পাচার করেছেন এনামুল হক। বিষয়টি জানতেন অনুব্রত মণ্ডল।
কলকাতা : দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের (Saigal Hossain) সঙ্গে যৌথ সম্পত্তি রয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal)। সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে এমনই দাবি করেছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় এজেন্সির ৮০ পাতার চার্জশিট দিয়েছে। তাতে উল্লেখ করা হয়েছে, মোট ৪৫টি সম্পত্তির নথি মিলেছে অনুব্রত, তাঁর পরিবার ও সায়গল হোসেনের নামে। কোনওটি সায়গলের সঙ্গে অনুব্রতর যৌথ সম্পত্তি, কোনওটি অনুব্রতর একার নামে, আবার কোনও সম্পত্তি তৃণমূল জেলা সভাপতির পরিবারের সদস্যদের নামে।
সিবিআই সূত্রে খবর, চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রায় ১৮০০ অস্ট্রেলিয়ান গরু পাচার করেছেন এনামুল হক। বিষয়টি জানতেন অনুব্রত মণ্ডল।
অনুব্রত-কন্যাকে জিজ্ঞাসাবাদের সম্ভাবনা-
এই পরিস্থিতিতে আগামী সপ্তাহে বোলপুরে গিয়ে অনুব্রত মণ্ডলের মেয়েকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন তদন্তকারীরা, এমনই খবর সিবিআই সূত্রের। জানা গেছে, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ও নামে-বেনামি সম্পত্তি নিয়ে অনুব্রত মণ্ডলকে জেরা করা হয়। মূলত, গরুপাচারের টাকায় কারা কারা লাভবান হয়েছে ? কীভাবে সেই টাকা ব্যবহার করা হয়েছে ? তা নিয়ে প্রশ্ন করা হয় বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতাকে। CBI সূত্রে দাবি, প্রথম দিকে তেমন সহযোগিতা না করলেও, শনিবার রাতে গোয়েন্দাদের প্রশ্নে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন অনুব্রত। সেই তথ্য খতিয়ে দেখে, অনুব্রত-ঘনিষ্ঠদের একটি তালিকাও করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন ; এবার বোলপুরে গিয়ে অনুব্রতর-মেয়েকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় সিবিআই
গরুপাচারের কত টাকা অনুব্রত মণ্ডলের কাছে এসেছিল এবং সেই টাকা কোথায় কোথায় রয়েছে বা বিনিয়োগ করা হয়েছে, এখন সেই তথ্যের হদিশ পেতেই মরিয়া তদন্তকারীরা। অনুব্রত ঘনিষ্ঠদের পাশাপাশি তদন্তকারীদের আতসকাচের তলায় বীরভূম জেলার একাধিক থানায় অফিসাররা। CBI সূত্রে দাবি, গরুপাচার মামলায় প্রায় ১ হাজার ৮০০ গরু বাংলাদেশে পাচার করেন ধৃত মূল অভিযুক্ত এনামূল হক। অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে জেরা করে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, পাচারের আগে প্রভাবশালীদের থেকে নির্দেশ আসত। সেইমতো গরুপাচারের জন্য সেফ প্যাসেজ করে দেওয়া হত। সায়গলকে জিজ্ঞাসাবাদ ও তাঁর ফোনের কল ডিটেলস থেকে বীরভূমের একাধিক থানার অফিসারদের নম্বর পাওয়া গেছে। সেইসব অফিসারের একটি তালিকাও তৈরি করা হয়েছে।
CBI সূত্রের খবর, অনুব্রত মণ্ডলকে জিজ্ঞাসা করা হয়, গরুপাচারের জন্য সেফ প্যাসেজ তৈরির জন্য নির্দেশ কি তিনি দিতেন ? না, তাঁর কাছেও এধরনের নির্দেশ আসতো ? এ নিয়ে তথ্য পেতে ওইসব পুলিশ অফিসারকেও জিজ্ঞাসাবাদ করে বয়ান রেকর্ড করতে পারে CBI।