Birbhum Crime News : নিহত বিজেপি কর্মীর ছেলে ও নাতিকে খুনের হুমকি দিয়ে পোস্টার !
Family of Dead BJP Leader Allegedly Got Death Threat : এই ঘটনায়, ইতিমধ্যেই পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে CBI। ভোট পরবর্তী অশান্তির গুরুতর অভিযোগগুলির তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা
গোপাল চট্টোপাধ্যায়, বীরভূম : ভোটের পর খুন হয়েছিলেন বিজেপি কর্মী। এবার নিহত বিজেপি (BJP) কর্মীর ছেলে ও নাতিকে খুনের (Murder )হুমকি দিয়ে পড়ল পোস্টার। শুক্রবার সকালে এই পোস্টার ঘিরে শোরগোল পড়ে যায় বীরভূমের মল্লারপুরের কোট গ্রামে। গত ১৬ মে, ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের বলি হন কোট গ্রামের বিজেপি কর্মী জাকির হোসেন।
এই ঘটনায়, ইতিমধ্যেই পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে CBI। ভোট পরবর্তী অশান্তির গুরুতর অভিযোগগুলির তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (CBI)। এর মধ্যেই তাঁদের নামে হুমকি পোস্টার পড়ায় আতঙ্কে রয়েছেন নিহত বিজেপি কর্মীর পরিবার।
আরও পড়ুন :
পুরভোটে বামেদের ভরসা ৪৩ রেড ভলান্টিয়ার্স প্রার্থী, কী ভাবছে তরুণ-দল?
নিহত বিজেপি কর্মীর ছেলে মহম্মদ নাসিম শেখ জানিয়েছেন, ' আমার বাবা ভোট পরবর্তী হিংসায় খুন হন বিজেপি করার জন্য। সেই মামলা এখন সিবিআইয়ের হাতে। দুষ্কৃতীরা আমাকে ও আমার ছেলেকে মারবে বলে পোস্টার দিয়েছে।'
পোস্টারে নেপথ্যে কে বা কারা তা স্পষ্ট না হলেও, দলীয় যোগ এড়িয়েছে তৃণমূল। বীরভূম তৃণমূল কংগ্রেসের সহ সভাপতি অভিজিৎ সিংহ বলেন, ' এখানে তৃণমূলের কোনও বিষয় নেই। সাদা কাগজে কে কী লিখে কি টাঙিয়ে দিল তা পুলিশ তদন্ত করে দেখুক। এর সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই।'
জাকির হোসেনের খুনের পর থেকে গ্রামছাড়া নিহত বিজেপি কর্মীর পরিবার। পুলিশি পদক্ষেপের আর্জি জানিয়েছে তারা।
অন্যদিকে, গত ৩০ নভেম্বর বীরভূমের গোপালনগরে বিজেপি কর্মী গৌরব সরকার খুনের ঘটনায়, আদালতে আত্মসমর্পণ করেছে দু’জন। তৃণমূলই তাঁদের লুকিয়ে রেখেছিল বলে অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। পাল্টা সিবিআই তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল। আত্মসমর্পণ করার জন্য রীতিমতো ঢাক পিটিয়ে নোটিস জারি করেছিল CBI তার এক সপ্তাহের মধ্যেই আদালতে আত্মসমর্পণ করে, বীরভূমের গোপালনগরে বিজেপি কর্মী খুনে অভিযুক্ত দু’জন। ২ মে, বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার দিন বীরভূমের গোপালনগরে খুন হন বিজেপি কর্মী গৌরব সরকার। স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনায়, ইলামবাজার থানায় ২৪ জনের নামে FIR দায়ের হয়। পরে তদন্তভার নেয় CBI। সেই মামলায় এখনও পর্যন্ত ৩ জন গ্রেফতার হয়েছে। জামিনে মুক্ত রয়েছেন আরও ৬ জন। সাত জন আত্মসমপর্ণ করে। তারপরও পলাতক ছিল ৮ জন। তাঁদের মধ্যেই তৃণমূল সমর্থক হিসেবে পরিচিত দু’জন আত্মসমর্পণ করে।