Birbhum News: রামপুরহাট মেডিক্যালের ভিতরে জল, বন্ধ এক্স-রে, ভোগান্তিতে জরুরি বিভাগের রোগীরা !
Water Logging In Rampurhat Medical : রামপুরহাট মেডিক্যালের ভিতরে জল, বন্ধ এক্স-রে, ফের প্রশ্নের মুখে নিকাশি ..
ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বীরভূম: ঘূর্ণিঝড় চলে গেলও ভোগাচ্ছে বৃষ্টির জমা জল। রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের একাধিক বিভাগে জল ঢুকে গিয়েছে। যার দরুন এক্স-রে, স্ক্যান বন্ধ। জল ঢুকেছে ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকানেও।
রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। এবার এবার টানা বৃষ্টিতে জল ঢুকল হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগে। হাসপাতালের পুরনো ভবনের ভিতরে থাকা পিপিপি মডেলের এক্স-রে রুমে জল ঢুকে যাওয়ায় জরুরি বিভাগের রোগীদের এক্স-রে পরিষেবা দেওয়াই বন্ধ হয়ে গেল শুক্রবার থেকে। একইভাবে এক্স-রে ঘরে এমনকি যেখান থেকে ওষুধ দেওয়া হয় সেই দোকানগুলিতেও জল ঢুকে গিয়েছে।
এর ফলে রোগীদের বাইরে থেকে বেশি অর্থের বিনিময়ে এক্স রে করাতে হচ্ছে। জল ঢুকে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে হাসপাতালের ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকানেও। সেখানে সকাল থেকে পা ডুবে যাওয়া জলে দাঁড়িয়ে থেকে ওষুধের দোকানের কর্মচারীদের কাজ করতে হয়েছে। হাসপাতালের বক্ষরোগ বিভাগেও জল ঢুকে চিকিৎসাধীন রোগীদের অসুবিধায় পড়তে হয়েছে বলে অভিযোগ। হাসপাতাল ভবনের বাইরের চত্বরও জল থইথই। সেই জল পেরিয়েই যাতায়াত করতে হয়েছে সকলকে।
নিকাশি ব্যবস্থার ত্রুটিতে সামান্য বৃষ্টিতেও রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল চত্বরে জল জমে যাওয়ার সমস্যা দীর্ঘদিনের। বিশেষ করে বছর ছয়েক আগে মেডিক্যাল কলেজের বিভিন্ন ভবন তৈরি হওয়ার সময় থেকে এই সমস্যা আরও বেশি করে দেখা দিয়েছে। সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল ভবনের সামনে জমা জল সরাতে পাম্প বসিয়েও সুরাহা হচ্ছে না। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, হাসপাতালের প্রধান প্রধান নিকাশি নালার সঙ্গে জাতীয় সড়কের ধারে নিকাশি নালার সংযোগ আছে। জাতীয় সড়কের ধারে নালা পরিষ্কার না-থাকার জন্যই হাসপাতালের জল বেরোতে পারছে না।
আরও পড়ুন, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু এবার মুর্শিদাবাদে ! 'গাফিলতির' অভিযোগ ওড়াল বিদ্যুৎ নিগম
এ দিন সকালে এক্স-রে ঘরে গিয়ে দেখা যায় ঘরের ভিতর থেকে জল কর্মীরা বের করার চেষ্টা করছেন। কর্মীরা জানান, জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে জল ঢুকে এক্স-রে যন্ত্রের বোর্ড ও নেটওয়ার্ক কেবল খারাপ হয়ে গিয়েছিল। প্রায় ৬ লক্ষ টাকা খরচ করে ৫ দিন পরে পরিষেবা চালু করা হয়। এই অবস্থায় আবারও জল ঢুকে বোর্ড খারাপ হওয়ার আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে। ফলে পরিষেবাও বন্ধ রাখতে হয়েছে। জরুরি বিভাগের রোগীরা এক্স-রে পরিষেবা না-পেয়ে এ দিন ফিরে যাচ্ছেন।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।