Locket on Anubrata: 'লজ্জার কথা, রাইসমিলেও হয়তো কোটি কোটি টাকা পাওয়া যাবে', বিস্ফোরক লকেট
Locket Attacks Anubrata Bolpur Rice Mill: বৃষ্টি মাথায় করেই অনুব্রত গড়ে রাইসমিলে অভিযান চালান সিবিআই আধিকারিকরা।বোলপুরের রাইসমিলে সিবিআই হানা দিতেই বিস্ফোরক লকেট চট্টোপাধ্যায়ের।
সুকান্ত মুখোপাধ্যায় এবং ব্রতদীপ ভট্টাচার্য, বোলপুরঃ বোলপুরের রাইসমিলে সিবিআই হানা (CBI) দিতেই বিস্ফোরক মন্তব্য বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়ের। এদিন বৃষ্টি মাথায় করেই অনুব্রত গড়ে রাইসমিলে অভিযান চালান সিবিআই আধিকারিকরা। আর রাইসমিলে ( Bolpur Rice Mill) হানা দিতে বেরিয়ে পড়ল একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য। আর পরেই প্রতিক্রিয়া দিলেন লকেট (Locket Chatterjee)।
তিনি এদিন বলেন, 'রাইসমিলের মধ্যেও হয়তো কোটি কোটি টাকা পাওয়া যাবে। চালের ভিতরেও হয়তো কোটি কোটি টাকা রেখে দিয়েছেন। যে মাকড়ার জালের মতো সারা বীরভূম জুড়ে টাকার বিস্তার করেছে, আমার মনে হয় মানুষের সামনে সেগুলি আনা উচিত। খুব তাড়াতাড়ি এনার বিচার করা উচিত। লজ্জার কথা মানুষের টাকা এরা লুঠ করেছে।' প্রসঙ্গত,এদিন রাইস মিলে ঢুকতে পারছিলেন না সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা। জানানো হয় প্রথমে ভিতরে কেউ নেই। যদিও এবিপি আনন্দের ক্যামেরায় ধরা পড়ে ভিতরে রাখা বিলাসবহুল গাড়ি তো বটেই, পাশাপাশি বাইক, সাইকেলও। যদি স্টাফরা ভিতরে না থাকতেন তাহলে কোথা থেকে এল ওই সাইকেল, বাইক ? আর চাবি যদি খুঁজে না পাওয়া যায়, তাহলে তারা ঢুকলেন কীকরে ? এদিকে ততক্ষণে প্রায় ৪০ মিনিট কেটে গিয়েছে। মিলের কর্মীরা তারপর আসেন। মিলের নিরাপত্তারক্ষীদের দাবি, তাঁদের কাছে চাবি ছিল না। চাবি এনে তারপর গেট খোলা হয়। তারপর গেট দেরি কেন খোলা হল,চাবি কোথায় ছিল, কার কাছ থেকে আনা হল, এই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে ক্যামারার সামনে রীতি মত কথার হোচট খাচ্ছিলেন এক কর্মী। সবমিলিয়ে বৃষ্টির মাঝে বোলপুরের এই রাইস মিলে সিবিআই হানার পর রহস্য বাড়ল।
আরও পড়ুন, 'উনি একা পাপের সঙ্গে যুক্ত নন', পার্থ-র কাছে বাকিদের নাম জানতে চাইলেন দিলীপ
জানা গিয়েছে, ২০১১ সালের আগে এই রাইস মিলের মালিক ছিলেন হারাধন মণ্ডল। তার ছেলের অংশিদারিত্ব ছিল। আচমকাই ২০১১ সালের পর গোটা রাইস মিল তিনি বিক্রি করে দেন অনুব্রত মণ্ডলকে। ওই রাইস মিলের দুজনের মালিকানা রয়েছে। এক, অনুব্রত মণ্ডলের প্রয়াত স্ত্রী এবং মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলের নামে। একের পর সম্পত্তির হদিসের সঙ্গেই জানা গিয়েছে, খাতায় কলমে প্রতিটি সম্পত্তি মূলত তিনজনকে দেওয়া হয়েছে। এক স্ত্রী ছবি মণ্ডল, কন্যা সুকন্যা এবং বিদ্যুৎবরণ গাইনকে। বিদ্যুৎবরণ গাইন মূলত অনুব্রতকে 'বাবা'সম্বোধন করে ডাকেন।যিনি ২০১১ সালের আগে এখন খালাসি ছিলেন, এখন বোলপুর পুরসভার কর্মী। আর এখানেই সন্দেহর বীজ। তার নেপথ্যে মূলধন কার ছিল ? জানতেই এদিন বোলপুরের রাইসমিলে অভিযান সিবিআই-র প্রতিনিধি দলের।