Transport Agitation: পুজোর মুখে পরিবহণ সঙ্কট অব্যাহত, মন্ত্রীর আশ্বাসের পরেও জারি কর্মবিরতি
Bus Strike Continue: রাজ্যে পরিবহণ সঙ্কট অব্যাহত। মন্ত্রীর আশ্বাস সত্ত্বেও কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তে অনড় দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার অস্থায়ী বাস কর্মীরা।
বীরভূম: রাজ্যে পরিবহণ সঙ্কট অব্যাহত। একসপ্তাহ পার। মন্ত্রীর আশ্বাস সত্ত্বেও কর্মবিরতি (Bus Strike) চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তে অনড় দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার ( SBSTC) অস্থায়ী বাস কর্মীরা। জেলায় জেলায় দুর্ভোগের শিকার যাত্রীরা। পুজোর মুখে বেড়েছে হয়রানি।
দুর্গাপুরে SBSTC-র ডিপোয় সার সার বাস দাঁড়িয়ে। স্থায়ী কর্মীদের দিয়ে কলকাতাগামী কয়েকটি বাস চালানো হলেও, তা পর্যাপ্ত নয়। ফলে বহু মানুষ আটকে পড়েছেন। হয়রানির ছবি বীরভূমেও। সপ্তাহ পার। আজও সিউড়ি ও রামপুরহাটে সরকারি ডিপো থেকে কোনও বাস ছাড়েনি। সিউড়ি থেকে প্রতিদিন ২২টি রুট বাস চলাচল করত। ফলে চরম দুর্ভোগে যাত্রীরা। অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার কয়েকটি বাস চললেও, তাতে ঠাসা ভিড়। প্রসঙ্গত, মহালায় পেরিয়ে গেলেও দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার অস্থায়ী কর্মীদের কর্মবিরতি অব্যাহত। এই নিয়ে দুর্ভোগের সপ্তাহ পেরোল। বেশ কিছু জেলায় সরকারি বাস পরিষেবা কার্যত বন্ধের মুখে। যাত্রীদের ভোগান্তি চরমে। বীরভূমের রামপুরহাট ও সিউড়ি, দুটি ডিপো থেকেই বন্ধ বাস চলাচল। ক্ষুব্ধ যাত্রীদের প্রশ্ন, পুজোর মুখে কেন দিনের পর দিন বাস চলাচল বন্ধ। যাত্রীরা জানাচ্ছেন, ব্যবসার কাজে হোক বা পুজোর সময় বাড়ি ফেরা, লাগাতার বাস বন্ধের জেরে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন তাঁরা।পুরুলিয়ার সরকারি বাস ডিপোতেও অচলাবস্থা। বেরোয়নি বাস। অনেক যাত্রীকে বাস ডিপোতে এসে ফিরতে হয়েছে। সমকাজে সমবেতন, মাসে ২৬ দিন কাজ, স্থায়ীকরণ সহ একাধিক দাবিতে কর্মবিরতিতে নেমেছেন দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার অস্থায়ী কর্মীরা।
আরও পড়ুন, তৃণমূল সরকার চাকরি দেবে না, দিলে আদালত দেবে : দিলীপ ঘোষ
যদিও ইতিমধ্যেই বড় ঘোষণা করেছেন পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। অস্থায়ী কর্মীদের দাবি মেনে মাসে ২৬ দিন কাজের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। যদিও পরিবহণমন্ত্রীর আশ্বাস সত্ত্বেও কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তে অনড় দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার অস্থায়ী বাস কর্মীরা। গতকাল দিঘা ডিপোর কর্মীরা জানিয়েছেন, মন্ত্রী তাঁদের ফোন করে দাবি পূরণের আশ্বাস দিয়েছেন। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এই প্রসঙ্গে কটাক্ষ করে বলেন, নিজেদের মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্ব চলছে। এই সরকার পরিবহণ কর্মীদের টাকা দিতে পারবে না।মূলত কর্মবিরতির ফলে চরমে যাত্রী ভোগান্তি। দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার অস্থায়ী কর্মীদের কর্মবিরতির জেরে, ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষার পরেও মিলছে না বাস। গত চারদিন পরেও ছবিটা বদলাল না।আন্দোলনকারীদের দাবি, স্থায়ীকরণ, সম কাজে সম বেতন, সবেতন ছুটি মঞ্জুর, মাসে অন্তত ২৬ দিনের কাজ। আর এই লাগাতার কর্মবিরতির জেরে চরমে উঠেছে যাত্রী হয়রানি। গতসপ্তাহেই আন্দোলনকারীরা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, দাবি না মানলে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটে নামা হবে।