Anubrata Mondal : অনুব্রত ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীদের কর্মচারীদের অ্যাকাউন্টেও বিপুল পরিমাণ হিসেব-বহির্ভূত টাকা ! তালিকা করল CBI
Cow Smuggling Case : কারও মাসিক বেতন ১০ হাজার টাকা। কিন্তু তাঁর অ্যাকাউন্টে মাঝেমধ্যেই বিপুল পরিমাণ হিসেব-বহির্ভূত টাকা !
সুকান্ত মুখোপাধ্যায়, কলকাতা : গরুপাচারকাণ্ডে ( Cow Smuggling ) এবার সিবিআইয়ের ( CBI ) নজরে অনুব্রত মণ্ডলের ( Anubrata Mondal ) ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীদের কর্মচারীদের অ্যাকাউন্ট। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই তৃণমূল জেলা সভাপতির ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী ও তাঁদের কর্মচারীদের তালিকা তৈরি করেছে সিবিআই।
কেন ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীদের কর্মচারীদের অ্যাকাউন্টেও নজর রাখছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা?
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে দাবি, গরুপাচারের টাকা লেনদেনের ক্ষেত্রে এই অ্যাকাউন্টগুলিকে ব্যবহার করা হয়েছে। যেমন, কারও মাসিক বেতন ১০ হাজার টাকা। কিন্তু তাঁর অ্যাকাউন্টে মাঝেমধ্যেই বিপুল পরিমাণ হিসেব-বহির্ভূত টাকা ঢুকেছে এবং বেরিয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে দাবি।
কালো টাকা সাদা করতে কাজে লাগিয়েছেন বাড়ির পরিচারকদের অ্যাকাউন্টও ?
সিবিআই সূত্রে খবর, অনুব্রত ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী ও তাঁদের কর্মচারীদের নামে বীরভূমে কোনও সম্পত্তি কেনা হয়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এর আগে অনুব্রতর পরিচারকদের অ্যাকাউন্টে হিসেব-বহির্ভূত টাকার লেনদেন হয়েছে এবং প্রচুর সম্পত্তি কেনা হয়েছে বলে দাবি করে সিবিআই। তাদের দাবি, শুধু ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী বা আত্মীয়ই নয় অনুব্রত মণ্ডল কালো টাকা সাদা করতে কাজে লাগিয়েছেন বাড়ির পরিচারক পরিচারিকাদের অ্যাকাউন্টও। সেখান থেকেও বড় অঙ্কের টাকার লেনদেন হয়েছে। কালো টাকা সাদা করতে কি তবে ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীদের কর্মচারীদের অ্যাকাউন্টগুলিকেও কাজে লাগিয়েছেন অনুব্রত? এখন তা খতিয়ে দেখবে সিবিআই।
লটারি আতঙ্ক
এছাড়া, সিবিআই সূত্রে দাবি, আরও ৩টি লটারির টাকার হদিশ মিলেছে। অনুব্রত-কন্যা সুকন্যার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে দু’-দু’বার লটারির টাকা ঢুকেছে। যার পরিমাণ প্রায় ৫১ লক্ষ টাকা। এছাড়াও, ২০১৯-এ অনুব্রতর একটি অ্যাকাউন্ট লটারির ১০ লক্ষ টাকা ঢুকেছে বলে সিবিআই সূত্রে দাবি। বারবার একই পরিবার লটারি পাচ্ছে, তাহলে কী এভাবেই গরুপাচারের কালো টাকা লটারির মাধ্যমে সাদা করা হয়েছে? আরও কোনও লটারি অনুব্রতর আত্মীয় বা ঘনিষ্ঠদের নামে কেনা হয়েছিল? তদন্তে সিবিআই।
অনুব্রত ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী রাজীব ভট্টাচার্যকে তলব ইডি-র
অন্যদিকে, গরুপাচার মামলায় ফের অনুব্রত ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী রাজীব ভট্টাচার্যকে তলব ইডি-র। দিল্লিতে ইডি-র সদর দফতরে চলছে জিজ্ঞাসাবাদ। এই নিয়ে ৫ বার তলব করা হল তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্যকে। চালকলে কে বিনিয়োগ করেছিল? অনুব্রতর স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য কেন টাকা দিয়েছিলেন রাজীব? এই সব প্রশ্নের উত্তর পেতেই রাজীবকে তলব করেছে ইডি। খবর সূত্রের। পাশাপাশি, গরুপাচার মামলায় আজ অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী মলয় পিটকেও দিল্লিতে তলব করেছে ইডি। মলয় পিটের স্বাধীন ট্রাস্টের সঙ্গে অনুব্রতর আত্মীয়দের কোটি কোটি টাকার লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে।