CBI On Cattle Smuggling Case : ‘শুধু অনুব্রত নয়, টাকার ভাগ পেয়েছেন বীরভূম জেলার একাধিক প্রভাবশালী’
হাট সম্পূর্ণভাবে আইনি হলেও, অভিযোগ এই হাট থেকে কেনা গরু, বিপুল টাকার বিনিময়ে অবৈধভাবে সীমান্তপারে পাচার হত।
![CBI On Cattle Smuggling Case : ‘শুধু অনুব্রত নয়, টাকার ভাগ পেয়েছেন বীরভূম জেলার একাধিক প্রভাবশালী’ CBI On Cattle Smuggling Case , not only Anubrata Mondal, Many Heavyweight leaders enjoyed share of the money CBI On Cattle Smuggling Case : ‘শুধু অনুব্রত নয়, টাকার ভাগ পেয়েছেন বীরভূম জেলার একাধিক প্রভাবশালী’](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2022/08/17/dbc89ee7a48cd8b27e330fc87e026aa4166071978409853_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
কলকাতা : বুধবার ফের নিজাম প্যালেসে ( Nizam Palace ) অনুব্রত মণ্ডলকে ( Anubrata Mondal ) জেরা শুরু করেছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে দাবি, গরুপাচারের টাকা শুধু অনুব্রত নয়, টাকার ভাগ পেয়েছেন বীরভূম ( Birbhum ) জেলার একাধিক প্রভাবশালী।
১০-১২ জনকে চিহ্নিত
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তদন্তে জানতে পেরেছে, প্রত্যেকেই পাচারের জন্য প্রোটেকশন মানি হিসেবে টাকা নিয়েছেন। এমনটাই দাবি সূত্রের। সিবিআই ( CBI ) সূত্রে দাবি, এমন ১০-১২ জনকে চিহ্নিত করতে পেরেছে তারা। ওই প্রভাবশালীদের বিলাসবহুল বাড়ি, একাধিক জায়গায় সম্পত্তি, সবই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই নিয়েই অনুব্রত মণ্ডলকে জেরা করা হচ্ছে। খবর সূত্রের।
কোটি কোটি টাকার কারবার!
হাজার হাজার গবাদি পশুর কেনাবেচা! একেক দিনে কোটি কোটি টাকার কারবার! এবিপি আনন্দ পৌঁছে গিয়েছিল বীরভূমের গরুর হাটে। হাট সম্পূর্ণভাবে আইনি হলেও, অভিযোগ এই হাট থেকে কেনা গরু, বিপুল টাকার বিনিময়ে অবৈধভাবে সীমান্তপারে পাচার হত। আর সেই কারবারেই লালমাটির জেলায় উড়ত কোটি কোটি টাকা। সেখানে গিয়ে উঠে এল চমকপ্রদ সব তথ্য। জানা গেল, গরুর হাটের মালিকদের চাঞ্চল্যকর দাবি। যেমন তাঁরা অকপটেই জানালেন, ' টাকার খেল, বস্তা বস্তা টাকা ছিল, এই হাটে ছিল এককালে। বুঝতে পারলেন। ' ব্যবসার সঙ্গেই যুক্ত এক ব্যক্তির দাবি, বেআইনিভাবে সীমান্তের ওপারে গরু পাচারে বিপুল পরিমাণ লাভ থাকে! এই টাকা যে অনেক প্রভাবশালীর পকেটেই যেত, তার আন্দাজও পাওয়া গেল ব্যবসায়ীদের কথায়। গরু পাচার মামলা নিয়ে কেন্দ্রীয় এজেন্সির তদন্ত, হেভিওয়েটদের গ্রেফতারির প্রভাব কিছুটা হলেও পড়েছে পশু-হাটে। তবে অনুব্রতর গ্রেফতারিতে খুশি পশু-হাটের ব্যবসায়ীদের একাংশ।
গরুপাচারের টাকা কোথায়, কীভাবে পৌঁছত?
CBI এখন খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে, গরুপাচারের টাকা কোথায়, কীভাবে পৌঁছত? সূত্রের খবর, বীরভূমের মণ্ডল পরিবারের বিভিন্ন কোম্পানির ব্যালান্স শিট খতিয়ে দেখে জানা গেছে, মর্টগেজ ছাড়াই বিশাল অঙ্কের টাকা ঋণ হিসেবে বিনিয়োগ করা হয়েছে। যেমন, ANM অ্যাগ্রোকেম ফুড প্রাইভেট লিমিটেডের ক্ষেত্রে ২০১৮ সালে ঋণ দেওয়া হয়েছিল ৪ কোটি ২ লক্ষ টাকা। ব্যালান্স শিট তৈরি করা হয়েছিল কোচবিহারের চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টকে দিয়ে। সিবিআই সূত্রে দাবি, প্রভাবশালীদের কাছে গরু পাচারের টাকা নগদে পৌঁছনোর পাশাপাশি, প্রভাবশালীদের সংস্থায় ঋণ হিসেবে বিনিয়োগ করে কালো টাকা সাদা করা হয়েছে।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)