Birbhum News: 'তোমাদের দেখে লজ্জা লাগে,' বিশ্বভারতীর আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের ধমক অধ্যাপকের
Student Protest: একদল পড়ুয়ার দাবি, অনলাইনেই পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে। আরেকদল পড়ুয়ার দাবি, অনলাইনের কোনও প্রয়োজন নেই। অফলাইন পরীক্ষা দিতে তাদের কোনও আপত্তি নেই।
আবীর ইসলাম, বীরভূম: অনলাইনে পরীক্ষার (Online Exam) দাবিতে পড়ুয়াদের বিক্ষোভ অব্যাহত বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে (Visva-Bharati University)। বিক্ষোভকারীদের কড়া ধমক দিলেন এক অধ্যাপক। তবে গতকাল অফলাইন পরীক্ষা না হতে পারলেও, এদিন তা হয়েছে। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ (Visva-Bharati University) জানিয়েছে, অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই।
দু’পক্ষের বাদানুবাদ: একদল পড়ুয়ার দাবি, অনলাইনেই পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে। আরেকদল পড়ুয়ার দাবি, অনলাইনের কোনও প্রয়োজন নেই। অফলাইন পরীক্ষা দিতে তাদের কোনও আপত্তি নেই। বুধবার সকালে এনিয়েই দু’পক্ষের বাদানুবাদ, ধস্তাধস্তিতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর।
এই পরিস্থিতির মধ্যেই পল্লি শিক্ষাভবনের গেটের তালা ভেঙে ফেলেন অফলাইনে পরীক্ষা দিতে ইচ্ছুক এক পড়ুয়া। শুধু পল্লি শিক্ষাভবনেই নয়। উত্তেজনা ছড়ায় শিক্ষাভবনের সামনেও। এখানে বিক্ষোভকারী পড়ুয়াদের কড়া ধমক দেন এক অধ্যাপক।
নারায়ণচন্দ্র মণ্ডল, উদ্ভিদবিদ্যার অধ্যাপক বলেন, 'তোমাদের অভিভাবকদের জানানো হবে। তোমাদের বাবা-মা জানুক যে, আমাদের ছেলেরা পরীক্ষা দিচ্ছে না। আমব্রেলা পার্টি তৈরি হয়েছে এখানে। বিশ্বভারতীর ছেলে এত গাধা ছেলে নয়। পরীক্ষা দিয়ে এখানে ভাল ছেলেরা আসে। আমাদের সন্দেহ আছে যে, তোমরা তা করেছ। লজ্জা লাগে আমাদের।'
এ দিন বিশ্বভারতীর স্নাতক ও স্নাতকোত্তর স্তরে ভুটানি ভাষা ও পদার্থবিদ্যার চূড়ান্ত বর্ষের পরীক্ষা ছিল।তার আগে এভাবেই উত্তপ্ত হয় শিক্ষাঙ্গন। অনলাইন পরীক্ষার দাবিতে বিক্ষোভকারী পড়ুয়াদের ধমক দেওয়ার পরই, একদল পড়ুয়াকে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে ঢোকেন ওই অধ্যাপক। এরপরই নিরাপত্তারক্ষীদের সাহায্যে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢোকেন একদল পড়ুয়া।
সোমবার থেকে অফলাইন পরীক্ষা শুরু হয়েছে বিশ্বভারতীতে। আর সেদিন থেকেই অনলাইনের দাবিতে চলছে পড়ুয়াদের একাংশের বিক্ষোভ। যার জেরে মঙ্গলবার কোনও পরীক্ষা না হলেও, এদিন তা অবশ্য হয়। এদিকে নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড় থেকে বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক ফের জানিয়েছেন,
ছুটি বাতিল করে ক্লাস করার সময় দেওয়া হয়েছিল। তাই সমস্ত পরীক্ষাই অফলাইনেই হবে। যাঁরা অফলাইনে পরীক্ষা দেবেন না, তাঁদের অকৃতকার্য হিসেবে দেখানো হবে।