Rampurhat Violence : একাধিক রাজনৈতিক নেতা ও আধিকারিকের নাম, সিবিআইয়ের নজরে ভাদুর ৩ ডায়েরি
Rampurhat Violence : তৃণমূলের উপপ্রধান ভাদু শেখকে খুনের, হাড় হিম করা সিসিটিভি ফুটেজ ইতিমধ্যেই সামনে এসেছে। কিন্তু, এই খুনের নেপথ্যে কারা?
প্রকাশ সিন্হা ও পার্থপ্রতিম ঘোষ, রামপুরহাট : রামপুরহাটকাণ্ডের (Rampurhat Violence) তদন্তে এবার সিবিআইয়ের (CBI) নজরে নিহত ভাদু শেখের তিনটে ডায়েরি। রবিবার রাতে ভাদু শেখের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে তিনটে ডায়েরি উদ্ধার করেন গোয়েন্দারা। সিবিআই সূত্রে দাবি, এই ডায়েরিগুলোতে ভাদু শেখ টাকা পয়সার লেনদেনের তথ্য লিখে রাখতেন। এর থেকে খুনের কারণ সম্পর্কে সূত্র মিলতে পারে।
তৃণমূলের উপপ্রধান ভাদু শেখকে খুনের, হাড় হিম করা সিসিটিভি ফুটেজ ইতিমধ্যেই সামনে এসেছে। কিন্তু, এই খুনের নেপথ্যে কারা? খুনের কারণ কী? সেবিষয়ে সূত্র পেতে, সিবিআইয়ের নজর এখন ভাদুর তিনটে ডায়েরির দিকে। যা উদ্ধার হয়েছে তাঁর বাড়ির গুদাম থেকে।
ভাদু শেখের খুনের তদন্তে রবিবার রাতে তাঁর বাড়িতে তিন ঘণ্টা ধরে তল্লাশি চালান সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা। সিবিআই সূত্রে দাবি, ভাদু শেখের বাড়ির গুদাম থেকে তিনটে ডায়েরি পাওয়া গেছে। এর মধ্যে দু’টো বড় ডায়েরি এবং একটা পকেট ডায়েরি। সবুজ, কালো এবং বাদামি রঙের এই তিনটে ডায়েরিতে ভাদু সমস্ত টাকা পয়সার হিসেব লিখে রাখতেন। অর্থাৎ তিনি কাকে কবে কত টাকা দিয়েছেন, সেই সব তথ্য এই তিনটে ডায়েরিতে ছিল।
সিবিআই সূত্রে দাবি, এই ডায়েরিতে একাধিক রাজনৈতিক নেতা ও আধিকারিকের নাম আছে। ভাদুর অনেক সহযোগীর নামও ডায়েরিতে রয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে দাবি। তদন্তকারীরা মনে করছেন, সম্প্রতি কারও সঙ্গে ভাদুর বড় অঙ্কের টাকা লেনদেন হয়েছিল কিনা, কিংবা ভাদুর খুনের নেপথ্যে আর্থিক বিবাদ রয়েছে কিনা সে বিষয়ে ডায়েরি থেকে সূত্র মিলতে পারে।
সিবিআই সূত্রে দাবি, ভাদু শেখের ডায়েরিতে নাম আছে, এমন ১৭ জনকে আপাতত চিহ্নিত করা হয়েছে। ডায়েরি থেকে তথ্য সংগ্রহের জন্য বিশেষ টিম তৈরি করেছে CBI।
এর আগে সারদাকাণ্ডের তদন্তের সময়ও, সিবিআই সূত্র মারফত একটি ডায়েরির উদ্ধারের দাবি করা হয়। সাহারাকাণ্ড সামনে আসার পর, সংসদের বাইরে ডায়েরি হাতে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদরা।
তাঁরা দাবি করেন, একটি লাল ডায়েরিতে নাকি বিভিন্ন লোককে টাকা দেওয়ার কথা উল্লেখ করেছিলেন সাহারা কর্তা সুব্রত রায়। এবার রামপুরহাটে তৃণমূলের উপপ্রধান খুনেও উঠে এল ডায়েরির কথা। কিন্তু, শেষমেশ এই ডায়েরি থেকে কি কোনও সূত্র মিলবে? সেই উত্তর দেবে সময়।