Sikkim Landslide: মজুত জল-খাবার শেষ, সিকিম বেড়াতে গিয়ে ধস নামায় আটকে ৩৪ জন ছাত্রছাত্রী-শিশু-সহ শিক্ষক
Sikkim Landslide Birbhum Students Stuck: সিকিম বেড়াতে গিয়ে ধসে আটকে বীরভূমের ৩৪ জন ছাত্রছাত্রী এবং শিক্ষক, প্রাথমিক স্কুলে আশ্রয়, এদিকে মজুত খাবার-জল শেষ..
ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বীরভূম: লাগাতার বর্ষণে গত কয়েকদিনেই খারাপ পরিস্থিতি উত্তরবঙ্গে। প্রবল বর্ষণে নেমেছে ধস। আর এবার সিকিম বেড়াতে গিয়ে ধসে আটকে রয়েছেন বীরভূমের ৩৪ জন ছাত্রছাত্রী-সহ শিক্ষক।
সিকিম বেড়াতে গিয়ে ধস নামায় আটকে ৩৪ জন
গত সপ্তাহ সিকিমে বেড়াতে যান বীরভুম এডুকেশনাল ইন্সটিটিউশনের পক্ষ থেকে ৩৪ জন। গত ৯ জুন বীরভূম থেকে সিকিমের উদ্দেশে রওনাদিয়েছিলেন তাঁরা। ১০ জুন তাঁরা সিকিমের লাচুং পৌঁছয়। সকলেই বাঁধেরশোল শিক্ষক শিক্ষণ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ছাত্রছাত্রী। এদিকে আচমকা ধস নামতেই তাঁরা আটকে পড়েছেন।
মজুত জল-খাবারও শেষ
৩৪ জনের মধ্যে ১৫ জন ছাত্রী, ১৩ জন ছাত্র, এক শিশু ও পাঁচজন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্মী আছে। তাঁরা জানিয়েছেন, আবহাওয়া ঠিক থাকায় ঘুরে এসে তারা পেগং এলাকায় হোটেলে থাকেন। ১২ তারিখ থেকে ধস নামে। দুদিন আটকে থাকার পরে ১৪ জুন তারা হোটেল ছেড়ে নিচে নেমে আসার চেষ্টা করেন। কিন্তু কিছুদূর যেতেই সেখানেও রাস্তায় ধস নামে। হোটেলে ফেরার পরিস্থিতি ছিল না। বাধ্য হয়ে তারা পেগং প্রাথমিক স্কুলে আশ্রয় নেয়। সেখানে তিনদিন থাকার পরে তাঁদের খাবার, জল, এমনকী এলাকার দোকানে মজুত খাবারও শেষ হয়ে যায়।
'সবরকম চেষ্টা করছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার'
ভ্রমনের কলেজ গাইড সাধন চৌধুরী বলেন, 'মঙ্গলবার আমাদের হেলিকপ্টারের নিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু খারাপ আবহাওয়ার জন্য সেই যাত্রা বাতিল হয়। এখন তারা হেঁটে পাহাড়ের দুর্গম পথ পেরিয়ে সমতলে আসার চেষ্টা করছি।' রাজ্যসভার সাংসদ সামিরুল ইসলাম খবর পেয়েই জেলার ছাত্রছাত্রীদের ফেরাতে উদ্যোগী হন। শতাব্দী রায়ের সঙ্গেও তিনি কথা বলেন। সামিরুল জানান, 'মঙ্গলবার সকালে সিকিমে আটকে থাকার খবর পায়। খাবার-জল দিয়ে তাদের নিরাপদে সমতলে আনার সবরকম চেষ্টা করছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার।'
আরও পড়ুন, প্রায় ৫ ঘণ্টা পর ED দফতর থেকে বেরোলেন ঋতুপর্ণা, বললেন 'দুর্নীতির সঙ্গে আমার..'
জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহে দক্ষিণ সিকিমে ধস নামে।ইয়াঙগাঙে মৃত্যু হয় একাধিক জনের।মূলত গত কয়েকদিন ধরেই পাহাড়ে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দক্ষিণ সিকিমের মাজুয়া গ্রাম। তারপর ধস নেমে ৮টি বাড়ি খাদে তলিয়ে যায়। এদিকে সিকিমের সিংথামে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কেও নামে ধস।যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে বাংলা ও সিকিমের। দক্ষিণ সিকিমে অবিরাম বৃষ্টির জেরে ফের ভোর রাতে ধস নামে সিমথাম। প্রশাসনের তরফ থেকে ধস সরানো কাজ চালানো হয়।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।