Visva-Bharati: হাইকোর্টের নির্দেশের ২৪ ঘণ্টা পরেও পদক্ষেপ নেয়নি বিশ্ববিদ্যালয়! দাবি জানিয়ে ইমেল বিশ্বভারতীর পড়ুয়াদের
এদিকে হাইকোর্ট আন্দোলন প্রত্যাহারে নির্দেশ দিলেও এখনও উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বাসভবন থেকে ৫০ মিটার দূরেই আন্দোলনকারীদের মঞ্চ।
গোপাল চট্টোপাধ্যায়, শান্তিনিকেতন: হাইকোর্টের নির্দেশের ২৪ ঘণ্টা পার। অথচ বহিস্কৃত তিন পড়ুয়াকে পঠন পাঠন সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে এখনও জানায়নি কর্তৃপক্ষ। এমনটাই দাবি পড়ুয়াদের। ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট পড়ুয়ারা বিশ্বভারতীর (Visva-Bharati) প্রোক্টরকে ইমেল মারফত জানিয়েছে। এদিকে হাইকোর্ট (Calcutta High Court) বিক্ষোভ প্রত্যাহারে নির্দেশ দিলেও এখনও উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বাসভবন থেকে ৫০ মিটার দূরেই আন্দোলনকারীদের মঞ্চ।
ইমেল মারফত ছাত্রছাত্রীরা অনুরোধ জানিয়েছেন, কোর্টের নির্দেশ মতো যেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাঁদের আগের সুষ্ঠু পঠন-পাঠন ফিরিয়ে দেওয়া হয়। বহিস্কৃত ছাত্রদের পক্ষ থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে উপাচার্য, কর্মসচিবকেও। পড়ুয়াদের বক্তব্য হাইকোর্টের নির্দেশ দিয়েছে পঠন-পাঠন শুরু করার তার অপেক্ষায় আমরা। যদিও বিশ্বভারতী কোনও বিজ্ঞপ্তি জারি করেনি। তাঁদের দাবি, বিজ্ঞপ্তি জারি করলেই আন্দোলন মঞ্চ থেকে চলে গিয়ে যোগাযোগ করা হবে।
আরও পড়ুন: স্কুল চত্বরেই মদ গাঁজার আসর, সন্ধে নামতেই পানাগড়ে অসামাজিক কাজকর্মের অভিযোগ
লঘু পাপে গুরুদণ্ড। ছাত্রদের রাজনীতি থেকে দূরে রাখুন। ওদের পড়তে দিন। এই মন্তব্য করে, বহিষ্কারের সিদ্ধান্তে অন্তর্বর্তী গতকাল স্থগিতাদেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। তুলতে বলা হয় অবস্থান-বিক্ষোভও। এই অবস্থায়, গতকাল, বুধবার বিকেলের দিকে উপাচার্যের বাড়িতে যাওয়ার পথে, বিশ্বভারতীর রেজিস্ট্রার ও উপাচার্যের আপ্ত সহায়কের গাড়ি আটকায় আন্দোলন পড়ুয়ারা। এক ছাত্র গাড়ির সামনে শুয়েও পড়েন। বিক্ষোভের মুখে ফিরে যেতে বাধ্য হন, রেজিস্ট্রার ও উপাচার্যের আপ্ত সহায়ক।
৩ পড়ুয়াকে বহিষ্কারের প্রতিবাদে, ২৭ অগাস্ট থেকে অবস্থানে বসেন বিশ্বভারতীর ছাত্র-ছাত্রীদের একাংশ। অচলাবস্থা কাটাতে হস্তক্ষেপ করে কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের নির্দেশে উপাচার্যের বাড়ির গেটের তালা ভাঙে পুলিশ। সরিয়ে দেওয়া হয় পড়ুয়াদের বিক্ষোভ মঞ্চ। অচলাবস্থা কাটে বিশ্বভারতীতে। সেই মামলার শুনানিতে বুধবার পড়ুয়াদের বহিষ্কার প্রসঙ্গে বিচারপতি রাজশেখর মান্থার বলেন, লঘু পাপে গুরুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বহিষ্কৃত ৩ পড়ুয়া বৃহস্পতিবার থেকেই ক্লাসে যোগ দিতে পারবেন। ছাত্রদের রাজনীতি থেকে দূরে রাখুন। ওদের পড়তে দিন। বিশ্বভারতীর উপাচার্যের ভূমিকাতেও ক্ষোভপ্রকাশ করেন বিচারপতি। তিনি বলেন, উপাচার্য নিজেকে আইনের থেকে বড় ভাবলে তাঁকে শিক্ষা দেবে আদালত। পাশাপাশি হাইকোর্ট এই নির্দেশও দেয়, অবিলম্বে বিশ্বভারতীর স্বাভাবিক অবস্থা ফেরাতে হবে। প্রত্যাহার করতে হবে সমস্ত অবস্থান-বিক্ষোভ। উপাচার্যকে বিরূপ মন্তব্য না করারও নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: বারাসাতে বাইপাস দ্রুত চালু করার উদ্যোগ উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের