Visva Bharati NAAC Report: ৬ বছরে বাড়ল না মান, NAAC-এর রিপোর্ট ঘিরে ফের বিতর্কে বিশ্বভারতী
Visva Bharati Update: ‘নাক’ (NAAC) এর মার্কশিটে ২০১৫-র নম্বর ২০২১-এও। ৬ বছরেও বাড়ল না বিশ্বভারতীর (Visva Bharati) পঠনপাঠনের মান। ফের বিতর্কের মুখে বিশ্বভারতী। এবারের বিতর্ক পঠনপাঠনের মান নিয়ে।
গোপাল চট্টোপাধ্যায় ও আবির ইসলাম, শান্তিনিকেতন: ২০১৫-তে যে গ্রেড ছিল, ২০২১-এও তাই। ন্যাশনাল অ্যাসেসমেন্ট অ্যান্ড অ্যাক্রিডেশন কাউন্সিল (National Assessment and Accreditation Council) বা নাক (NAAC) এর রিপোর্টে বিশ্বভারতীকে (Visva Bharati) বি প্লাস গ্রেড দেওয়া হয়েছে। এই রিপোর্ট সামনে আসতেই বিশ্বভারতীর মানের অবনতির জন্য উপাচার্যকে (Vice-Chancellor) দায়ী করে সরব হয়েছেন অনেকে। যদিও বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
‘নাক’ (NAAC) এর মার্কশিটে ২০১৫-র নম্বর ২০২১-এও। ৫ বছরেও বাড়ল না বিশ্বভারতীর (Visva Bharati) পঠনপাঠনের মান। ফের বিতর্কের মুখে বিশ্বভারতী। এবারের বিতর্ক পঠনপাঠনের মান নিয়ে। নতুন এই বিতর্কের সূত্রপাত ন্যাশনাল অ্যাসেসমেন্ট অ্যান্ড অ্যাক্রিডেশন কাউন্সিল বা নাক এর রিপোর্ট ঘিরে। দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মূল্যায়ন করে রিপোর্ট দেয় নাক। এর জন্য গত ২৪ থেকে ২৬ নভেম্বর বিশ্বভারতী পরিদর্শন করে ‘নাক’ এর প্রতিনিধি দল।
বিশ্বভারতী সূত্রে খবর, ২০১৫-তে নাক এর রিপোর্টে বিশ্বভারতী বি প্লাস পেয়েছিল। এবারও নাক এর রিপোর্টে একই গ্রেড পেয়েছে বিশ্বভারতী। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাসপেন্ডেড অধ্যাপক সুদীপ্ত ভট্টাচার্য বলেন, “বিশ্বভারতীর উপাচার্য এর জন্য দায়ী। কারণ পঠনপাঠনের পরিবেশের মান পড়েছে। আমাকেও সাসপেন্ড করা হয়েছিল বিনা কারণে।’’
এর আগে National Institutional ranking Framework এর র্যাঙ্কিং এ ৫০ থেকে বিশ্বভারতীর র্যাঙ্কিং হয় ৯৭। এবার নাকের রিপোর্ট নিয়ে ফের সরগরম বিশ্বভারতী। বিশ্বভারতীর ছাত্র ঋতম কর বলেন, “আমাদের হস্টেল নেই, দাবি মানা হয় না। বিভিন্ন দাবিদাওয়া বিশ্বভারতী কর্তপক্ষ দেখে না। এই সব কারণেই মান কমেছে।’’ নাকের মূল্যয়ন রিপোর্টে বিশ্বভারতীর গ্রেড না বাড়ায় ক্ষুব্ধ আশ্রমিকরাও। আশ্রমিক অপর্ণা দাস মহাপাত্রের কথায়, “কর্তৃপক্ষ দায়ী। কোথাও খামতি থেকে যাচ্ছে, তাই মান নেমে যাচ্ছে।’’
এ বিষয়ে উপাচার্য বা কর্তৃপক্ষের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। বিশ্বভারতীর রেজিস্ট্রারকে ফোন করা হলেও তিনি তা ধরেননি। তবে নাক এর প্রতিনিধিরা আসার আগে বিশ্বভারতী ফ্যাকাল্টি অ্যাসোসিয়েশন একটি ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হয়েছে। যেখানে উপাচার্যকে বলতে শোনা গেছে, তিনি সব বুঝে নেবেন। যদিও ভিডিওর সত্যতা এবিপি আনন্দ যাচাই করেনি।
আরও পড়ুন: Visva-Bharati Reopen: কোভিড বিধি মেনে বিশ্বভারতীর দরজা খুলল পড়ুয়াদের জন্য