Birbhum News:বাড়ছে ব্রাহ্মণীর জলস্তর, বন্যার আশঙ্কা নলহাটির ২ নম্বর ব্লকের শীতল গ্রাম পঞ্চায়েতের কয়েকটি গ্রামে
Flood Fear:বন্যার আশঙ্কা নলহাটির ২ নম্বর ব্লকের শীতল গ্রাম পঞ্চায়েতের বেশ কয়েকটি গ্রামে। স্থানীয়দের বক্তব্য, ব্রাহ্মনী নদীর জলস্তর বেড়েই চলেছে।
ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বীরভূম: বন্যার আশঙ্কা (Flood Fear) নলহাটির ২ নম্বর ব্লকের শীতল গ্রাম পঞ্চায়েতের বেশ কয়েকটি গ্রামে। স্থানীয়দের বক্তব্য, ব্রাহ্মনী নদীর জলস্তর বেড়েই চলেছে। এই ধারা বজায় থাকলে বাঁধ ভাঙার আশঙ্কাও তৈরি হবে, মনে করছেন গ্রামবাসীরা। (Brahmani River)
পরিস্থিতি কী?
এর মধ্যে প্রসাদপুর, বেড়া, শিমুল ইত্যাদি গ্রামে ব্রাহ্মণী নদীর জল ঢুকতে শুরু করেছে বলে জানাচ্ছেন স্থানীয়রা। পরিস্থিতি মোকাবিলায় বীরভূম জেলা প্রশাসনের তরফে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর এবং পিএইচই দফতরের কর্মীদের শীতল গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন গ্রামে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, রাত আটটা নাগাদ ব্রাহ্মনী নদীর জলস্তর বৃদ্ধির গতি বেড়ে যাওয়ার প্রসাদপুর, বেড়া, শিমুল গ্রামে নদীর জল ঢুকতে শুরু করে। প্রশাসনের তরফে গ্রামের বাসিন্দাদের নিরাপত্তার জন্য সরকারি স্কুলে থাকার ব্যবস্থাও করা হয় বলে খবর। ব্লক অফিসে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। এর আগে, গত বছর সেপ্টেম্বর মাসেই দু'দিনের টানা বৃষ্টিতে বন্ধ হয়ে যায় বীরভূমের নলহাটির দেবগ্রামঘাটের কজওয়ে। তুুমুল বর্ষণে ব্রাহ্মণী নদীরজল বাড়ছিল। তখনই প্রমাদ গোনেন স্থানীয়রা। পরে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে যাতায়াতের রাস্তা বাঁশ দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়।
গত বছর বিপদ ডাকে ব্রাহ্মণী...
নলহাটি থেকে মোড়গ্রাম জাতীয় সড়কের অবস্থা খারাপ হওয়ায় ওই রাস্তা দিয়ে ভাল যান চলাচল হয়, বলে জানিয়েছিল স্থানীয়রা। অন্ততপক্ষে ২৫ থেকে ৩০ টি গ্রামের মানুষজন ওই কজওয়ে ব্যবহার করে থাকেন। তাঁদের বিপদের কথা ভেবেই, দুর্ঘটনা এড়াতে গত বছর, টানা দুদিনের বৃষ্টির পর প্রশাসনের তরফ থেকে সেটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। গত বছরর আগের বছরও একটি মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী ছিল নলহাটি। সে বার ফুলেফেঁপে ওঠা ব্রাহ্মণী নদীর জলের তোড়ে তলিয়ে যান এক যুবক। স্থানীয়রা জানিয়েছিলেন, নদীর জলস্তর বেড়ে গিয়ে অস্থায়ী রাস্তা দিয়ে তা বইতে শুরু করে। তারই তোড়ে তলিয়ে গিয়েছিলেন যুবক। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছিল, রাতে কাজ সেরে রামপুরহাট থেকে ফেরার পথে সাইকেল নিয়ে ব্রাক্ষণীর উপর অস্থায়ী রাস্তা পেরোচ্ছিলেন তিনি। সাইকেল-সহই তলিয়ে যান। পর দিন সকাল থেকে ডুবুরি নামিয়ে নদীতে তল্লাশি চালাতে হয় প্রশাসনকে। কিন্তু প্রশ্ন ছিল, যেখানে যে রাস্তা দিয়ে এত মানুষের চলাচল তাকে আরও একটু ব্যবহারযোগ্য করা যায় নাকি?
এবার ফের বিপদের আশঙ্কা করতে শুরু করছেন নলহাটির অন্য কয়েকটি পঞ্চায়েতের বাসিন্দারা।