TET Agitation: পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি বিজেপি-র, অধীরের নেতৃত্বে পথে অধীর, চাকরিপ্রার্থীদের তুলে দেওয়ায় পথে বিরোধীরা
BJP-Congress: ৮৪ ঘণ্টার আন্দোলন, খালি পেটে, নির্জলা থেকে আন্দোলন, স্লোগানে-গানে প্রতিবাদ...আর এই আন্দোলনই বৃহস্পতিবার রাতে মাত্র ১৫ মিনিটের মধ্যে তুলে দেয় পুলিশ।
দীপক ঘোষ, সমীরণ পাল ও উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়, কলকাতা: মধ্যরাতে টেট চাকরিপ্রার্থীদের (TET Agitation) টেনে হিঁচড়ে তুলে দেওয়ার প্রতিবাদে পথে নামল কংগ্রেস-বিজেপিও (Congress/BJP)। ধর্মতলায় পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়ান বিজেপি কর্মীরা। পাঁজাকোলা করে বিজেপি কর্মীদের তোলা হয় পুলিশের গাড়িতে। অন্য দিকে, বিধানভবন থেকে মেয়ো রেড পর্যন্ত অধীর চৌধুরীর নেতৃত্বে মিছিল করে কংগ্রেস। (Kolkata News)
চাকরিপ্রার্থীদের অনশন-আন্দোলন তুলে দেওয়ায় তরজা
৮৪ ঘণ্টার আন্দোলন, খালি পেটে, নির্জলা থেকে আন্দোলন, স্লোগানে-গানে প্রতিবাদ...আর এই আন্দোলনই বৃহস্পতিবার রাতে মাত্র ১৫ মিনিটের মধ্যে তুলে দেয় পুলিশ। আর এর প্রতিবাদেই শুক্রবার প্রতিবাদের ঝড় আছড়ে পড়ল জায়গায় জায়গায়। সিপিএম-এর মতোই রাস্তায় নামল বিজেপি এবং কংগ্রেসও।
শুক্রবার ধর্মতলায় পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় ধস্তাধস্তিতে জড়ালেন বিজেপি কর্মীরা। দুপুর পৌনে ৩টে নাগাদ, বিজেপির রাজ্য সদর দফতরের সামনে থেকে অগ্নিমিত্রা পালের নেতৃত্বে শুরু হয় মিছিল। মেয়ো রোডে মাতঙ্গিনী মূর্তির পাদদেশে গিয়ে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে দেখা করার কথা ছিল বিজেপি-র। কিন্তু ধর্মতলা চত্বরে আটকে দেয় পুলিশ। সেখানেই বসে পড়েন অগ্নিমিত্রা পাল, ইন্দ্রনীল খাঁ-রা।
সেখান থেকে আসানসোল দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল বলেন, "শান্তিপ্রিয় মিছিল। কিন্তু তারা মুখ বন্ধ করবে। গণতন্ত্রকে শেষ করে দেবে। শেষ করে দিয়েছে। সব ওনার অনুপ্রেরণা। সব মমতা ব্যানার্জির জন্য। আমরা এখানেই বসে থাকব।"
এর কিছু ক্ষণ বাদেই শুরু হয় ধস্তাধস্তি। টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের তুলে দেওয়ার প্রতিবাদে এদিন বিধানভবন থেকে মেয়ো রেড পর্যন্ত অধীর চৌধুরীর নেতৃত্বে মিছিল করে কংগ্রেস। কালো কাপড় নিয়ে মিছিলে যোগ দেন কংগ্রেস কর্মীরা। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী বলেন, "মুখ্যমন্ত্রীর আদেশ ছাড়া এরকম বর্বরোচিত ঘটনা ঘটতে পারে না। তিনি নাকি আন্দোলন করে বড় হয়েছেন বলেন, তাহলে তিনি কেন....৪ দিন খায়নি। জল পান করেনি। তাদের ওপর মধ্যযুগীয় বর্বরতা দেখে বাংলার মানুষ স্তম্ভিত। এটা কি মা মাটি মানুষের চেহারা? হায়নার মতো দাত নখ বের করে আক্রমণ করেছে পুলিশ।"
কলকাতা ছাড়াও জেলায় জেলায় বিক্ষোভ বিরোধীদের
এ নিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, "তৃণমূলকে একা আটকাতে পারবে না। তাই বাম-বিজেপি-কংগ্রেস একসাথে এসেছে। কিন্তু বাংলার মানুষ বলছে বাম-বিজেপি-কংগ্রেস।" গভীর রাতে অনশনকারীদের ওপর পুলিশি অভিযানের প্রতিবাদে জেলায় জেলায়ও বিক্ষোভ দেখায় বিরোধীরা।