Amit Shah on Corruption : 'গুজরাত থেকে আসি, কোনও নেতার ঘর থেকে এত টাকা উদ্ধার হতে দেখিনি' : শাহ
TMC : ধর্মতলার মঞ্চ থেকে তুললেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, অনুব্রত মণ্ডলদের গ্রেফতারির প্রসঙ্গ
কলকাতা : প্রত্যাশা মতোই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে দুর্নীতির অভিযোগে বিঁধলেন অমিত শাহ। ধর্মতলার মঞ্চ থেকে তুললেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, অনুব্রত মণ্ডলদের গ্রেফতারির প্রসঙ্গ। শুধু তা-ই নয়, সাম্প্রতিক সময়ে একাধিক নেতা-মন্ত্রীর বাড়ি থেকে টাকা উদ্ধারের ঘটনা তুলে শাহ বললেন, 'গুজরাতে কোনও নেতার বাড়ি থেকে এত টাকা উদ্ধার হতে দেখিনি'
শাহ বলেন, "কাটমানি নিয়ে পুরো বাংলার মানুষ ব্যতিব্যস্ত হয়ে উঠেছেন। সিন্ডিকেট নিয়েও একই অবস্থা। যে পশ্চিমবঙ্গে সকালে রবীন্দ্র সংগীত শোনা যেত, এখন সেখানে বোমার আওয়াজ শোনা যায়। পুরো দেশে গরিব কমছে। কিন্তু, এখানে দারিদ্র কমছেই না। কারণ, দুর্নীতি যে এখানে চরম সীমায় পৌঁছে গেছে। আমি গুজরাত থেকে আসি। আমার জীবনে কোনও নেতার ঘর থেকে এত নোটের বান্ডিল উদ্ধার হতে দেখিনি, কেউ দেখেননি।"
নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) থেকে শুরু করে গরু পাচার মামলা (Cow Smuggling Case) হয়ে সাম্প্রতিককালে রেশন বণ্টনে দুর্নীতির অভিযোগ। একের পর এক অভিযোগে আজ জেলে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের একাধিক হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রী। পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে অনুব্রত মণ্ডল, মানিক ভট্টাচার্য, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকদের মতো মন্ত্রী-বিধায়ক-নেতারা এখন বন্দি। এই অবস্থায় তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে প্রায় দিনই মিটিং মিছিল থেকে সরব হচ্ছেন বিভিন্ন বিরোধী নেতারা। বিশেষ করে বিজেপি লোকসভা ভোটের আগে এই ইস্যুতে যে তৃণমূল সরকারকে আগাগোড়া বিঁধবে, একথা বলাইবাহুল্য। তাই এদিনের সভার সুরও আগেই বাঁধা হয়ে গেছিল। সেইমতোই এদিন ধর্মতলার সভামঞ্চ থেকে আগাগোড়া দুর্নীতির অভিযোগে সরব হলেন শাহ। একহাত নিলেন মমতা সরকারকে।
শাহ বলেন, "দিদি বাংলাকে বরবাদ করে রেখে দিয়েছেন। দুর্নীতির কারণে গোটা দেশে বাংলাকে বদনাম করার কাজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার করেছে। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, অনুব্রত মণ্ডল, পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়রা...বাংলার মানুষের কোটি কোটি টাকা খেয়েছেন। যদি ক্ষমতা থাকে এঁদের তৃণমূল থেকে সাসপেন্ড করে দেখান।" শাহের বক্তব্যে উঠে আসে বিভিন্ন ভোট-পর্বে হিংসার কথাও। তিনি বলেন, "এখানে কী হচ্ছে ? প্রায় ২১২ বিজেপি কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। দিদিকে বলছি, আমরা বিজেপি করি। আমাদের কার্যকর্তারা আমাদের ভাইয়ের থেকেও বড়। দেশ তথা গোটা বাংলার মানুষ এর বদলা নিতে তৈরি। ২০২৬ এলে বুঝতে পারবেন, কীভাবে ভোট দিয়ে রাজনৈতিক হত্যার বদলা নিতে হয়।"
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।