Sukanta Majumdar : 'রাজীব কুমারের সঙ্গে প্রথমে ভাইপোর সম্পর্ক খারাপ হয়, বর্তমানে পিসির সঙ্গেও...', নিশানা সুকান্তর
Arup Biswas: ক্রীড়ামন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন অরূপ বিশ্বাস। ক্রীড়ামন্ত্রীর পদে ইস্তফা দিতে চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন তিনি।

কলকাতা : যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে বেনজির বিশৃঙ্খলা। শীর্ষ পুলিশ কর্তাদের শোকজ করার মতো বড় পদক্ষেপ নিল রাজ্য সরকার। রাজ্য পুলিশের DG রাজীব কুমারকে শোকজ করা হল। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাঁর জবাব চেয়েছে রাজ্য সরকার। বিধাননগরের পুলিশ কমিশনার মুকেশ কুমারেরও জবাব তলব করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী রাজীব কুমারকে সরকারের শোকজ। বিধাননগরের DCP অনীশ সরকারের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দায়িত্বে গাফিলতির অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিভাগীয় তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত DCP সাসপেন্ড থাকবেন। ক্রীড়া দফতরের প্রধান সচিব রাজেশ কুমার সিন্হাকেও শোকজ করা হয়েছে। যুবভারতীর দায়িত্ব থেকে সরানো হল অবসরপ্রাপ্ত আমলা দেবকুমার নন্দনকে। এই পরিস্থিতিতে ক্রীড়ামন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন অরূপ বিশ্বাস। ক্রীড়ামন্ত্রীর পদে ইস্তফা দিতে চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন তিনি। যদিও এ প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা সুকান্ত মজুমদার বলছেন, 'আমরা আগে যে জায়গায় ছিলাম, সেই জায়গাতেই আছি।'
তিনি বলেন, "আপনাদের হয়তো মনে হচ্ছে যে, এই যে তদন্ত কমিটি করেছে যুবভারতীতে যে ঘটনা ঘটেছে...মেসি Mess', তার জন্য এটা হয়েছে। আদপে ওটা নয়। বেশ কিছুদিন ধরেই ডিজিপি রাজীব কুমারের সঙ্গে ভিতরের যাঁরা রাজনীতির খবর রাখেন, তাঁরা জানেন...প্রথমে ভাইপোর সম্পর্ক খারাপ হয় এবং যেহেতু ভোটের আগে ভাইপোর হাতে সম্স্ত দায়িত্ব মুখ্যমন্ত্রী দিয়ে দেন, ভাইপোর সঙ্গে সঙ্গে বর্তমানে পিসির সঙ্গেও সম্পর্ক খারাপ। তাঁকে স্কেপগোট করা হচ্ছে। রাজীব কুমার বা পুলিশ হয়তো, হতে পারে যে সেখানে পুলিশিং দেখার ব্যবস্থা তাঁর ছিল, সেখানে তিনি অবশ্যই অসফল হয়েছেন। তাহলে প্রশ্ন উঠছে, ৩০ টাকার জলের বোতল ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল, সেটা কার দায়িত্বে ছিল ? রাজীব কুমারের দেখার দায়িত্ব ছিল ? তার কী অর্ডার আছে ? মুখ্যমন্ত্রী দিয়েছিলেন ? মুখ্যমন্ত্রী কেন ইস্তফা দেবেন না ? তিনিও তো আইন-শৃঙ্খলার দায়িত্বে আছেন। মুখ্যমন্ত্রী তো নিজে হোম মিনিস্টার। যদি রাজীব কুমার ব্যর্থ হন, তাহলে কি মুখ্যমন্ত্রী ব্যর্থ নন ?"
শনিবার ঠিক সাড়ে ১১টায় যুবভারতীর মাঠে ঢোকে ফুটবলের রাজপুত্র লিওনেল মেসির গাড়ি। মেসি-ভক্তদের ভিড়ে সে এক অন্য়রকম যুবভারতী। অনেক দিন পর কানায় কানায় ভিড় দেখল এই স্টেডিয়াম। মাঠে মুহূর্মুহু স্লোগান। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যে সেই আবেগ রূপ নেয় বিরক্তিতে। মেসিভক্তদের দাবি, নিরাপত্তারক্ষী, পুলিশ, মন্ত্রী ও VVIP-দের ভিড়ের মাঝে, গ্যালারি থেকে মেসিকে সেভাবে দেখাই যায়নি। হাজার হাজার টাকার টিকিট কেটেও, স্বপ্নের ফুটবলারকে ভালভাবে দেখতে না পেয়ে ক্ষোভ ফেটে পড়েন কেউ কেউ।
বিরক্তি ক্রমেই বিশৃঙ্খলার রূপ নেয়। এরপর মেসি মাঠ ছাড়তেই গ্য়ালারি থেকে মাঠে নেমে আসে ভক্তরা। তাণ্ডব শুরু হয়, গ্য়ালারির চেয়ার ভাঙচুর, জলের বোতল ছোড়া হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে কার্যত হিমসিম খায় পুলিশ।






















