Suvendu Adhikari: 'পশ্চিমবঙ্গে শতচ্ছিদ্র সীমান্ত, মুখ্যমন্ত্রীর ইশারার বাইরে...', জঙ্গি-বাড়বাড়ন্তে মারাত্মক আশঙ্কা প্রকাশ শুভেন্দুর
Militants Arrest: গ্রেফতার হওয়া ১২ জঙ্গির মধ্যে ২ জনকে এরাজ্য়ের মুর্শিদাবাদ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
কলকাতা : কাল বছরের শেষ দিন। উৎসবের আমেজে মজেছে রাজ্য-সহ গোটা দেশ। এই পরিস্থিতিতে সর্বত্র জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা । কিন্তু, তার মধ্যেও আশঙ্কা যাচ্ছে কোথায় ? কারণ, মাত্র দুই সপ্তাহের মধ্য়েই বিভিন্ন জায়গা থেকে ধৃত জঙ্গির সংখ্য়া বাড়তে বাড়তে পৌঁছে গেছে ১২-তে ! অসম STF-এর অপারেশনে গ্রেফতার হওয়া ১২ জঙ্গির মধ্যে ২ জনকে এরাজ্য়ের মুর্শিদাবাদ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অসম ও কেরল থেকে ধৃত আরও দু'জনের সঙ্গেও বাংলার যোগ মিলেছে। এই আবহে প্রশ্ন উঠছে, আরও কত জঙ্গি কোথায় গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে ? কী ছক তাদের ? উৎসবের মরসুমে তা নিয়ে উদ্বেগ ক্রমশ বাড়ছে। আর এরই মধ্যে এই ইস্যুতে সুর চড়ালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। রাজ্য সরকার ও মুখ্যমন্ত্রীকে একহাত নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী তোপ দাগেন, "রাজ্যে ভোট জেহাদ চলছে। তার ফলে কাশ্মীরের পুলিশ আসছে, ক্যানিং থেকে তুলে নিয়ে যাচ্ছে। অসম পুলিশ আসছে মুর্শিদাবাদের মাদ্রাসা থেকে তুলে নিয়ে যাচ্ছে। আমরা বিচলিত, আতঙ্কিত।"
শুভেন্দু বলেন, "জমি অধিগ্রহণ আইন সম্পূর্ণরূপে রাজ্যের হাতে। ১৮৯৪ সালে ব্রিটিশের আইন। জমি অধিগ্রহণ করেন কালেক্টরেট। সেই আইন ভারতের স্বাধীনতার পরেও চলছে। পরিবর্তন করা হয়নি। মাঝখানে যে কৃষি বিল এসেছিল তিনটি, তাতে এই আইনের বদল ছিল। কিন্তু, যে কারণেই হোক ভারত সরকার এই বিল তিনটিকে বাতিল করে। তার ফলে জমি অধিগ্রহণ আইন ১৮৯৪ সাল অনুযায়ী এখন ডিএমদের হাতে থেকে যায়। তাই ভারত সরকার সরাসরি সীমান্তে কাঁটাতার দেওয়া বা এইমস তৈরি করার জমি, বিমানবন্দর-জাতীয় সড়কের বা রেললাইনের জমি...কোনও জমি সরাসরি অধিগ্রহণ করতে পারে না। জেলাশাসকের মাধ্যমে করতে হয়। এখানকার ডিএমরা যাঁরা পঞ্চায়েত নির্বাচনে বাক্স বদল করেন, যাঁরা লোকসভা নির্বাচনে তাঁবেদারি করেন, সেই ডিএমরা মুখ্যমন্ত্রীর ইশারা বা নির্দেশের বাইরে এক ছটাক জমিও অধিগ্রহণ করে দিতে পারবেন না, মুখ্যমন্ত্রী যদি না চান। এই মুখ্যমন্ত্রী যিনি ২০২১ সালের ১৬ নভেম্বর বিধানসভায় বিএসএফের বিরুদ্ধে রেজ্যুলিউশন আনেন, সেই মুখ্যমন্ত্রী বিএসএফকে কাঁটাতার দেওয়ার জন্য জমি দিতে পারেন না। এটা একেবারে অন রেকর্ড সত্যি। তাই পশ্চিমবঙ্গে শতচ্ছিদ্র সীমান্ত। আজ সেই সীমান্ত দিয়ে প্রত্যেকদিন এরা ঢুকেছে, ঢুকছে।ভবিষ্যতেও ঢুকবে। গোটা ভারতে জঙ্গি, জেহাদি, মৌলবাদী, রোহিঙ্গা মুসলমান সাপ্লাই করার জন্য করিডর হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ। সাপ্লাই করার এজেন্সি নিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ সরকার, তার মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর লোকেরা রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেট দিচ্ছেন, আধার কার্ড বানিয়ে দিচ্ছেন। বাংলাদেশের জঙ্গি দু'বার তৃণমূলকে দুবার ভোটও দিয়ে গিয়েছেন। তার ভোটার কার্ডও তৈরি হয়ে গেছে। রাজ্য সরকার কেন্দ্রীয় সংস্থা এবং বিএসএফের সঙ্গে অসহযোগিতা করছে।"