Kunal Ghosh: সদ্য বিজেপি ছেড়ে হলদিয়ায় কুণালের সঙ্গে দেখা ২ নেতার, শুভেন্দু-গড়ে ভাঙনের ইঙ্গিত?
BJP Leaders Meet Kunal:বিজেপির প্রাথমিক সদস্যপদে ইস্তফা দেওয়ার পর তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষের সঙ্গে কথা বললেন ২ নেতা।কুণাল ঘোষের সঙ্গে বৈঠক বিজেপি নেতা বটকৃষ্ণ দাস ও জয়দেব দাসের।
![Kunal Ghosh: সদ্য বিজেপি ছেড়ে হলদিয়ায় কুণালের সঙ্গে দেখা ২ নেতার, শুভেন্দু-গড়ে ভাঙনের ইঙ্গিত? BJP Leaders Held Meeting With TMC State General Secretary Kunal Ghosh At Haldia As The Latter Is Given The Organizational Responsibility Of Purba Medinipur Kunal Ghosh: সদ্য বিজেপি ছেড়ে হলদিয়ায় কুণালের সঙ্গে দেখা ২ নেতার, শুভেন্দু-গড়ে ভাঙনের ইঙ্গিত?](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2022/11/01/cf7be9d8bcd433a4a286a058e226c33a1667310731940482_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, হলদিয়া: বিজেপির (BJP) প্রাথমিক সদস্যপদে (primary membership) ইস্তফা (resignation) দেওয়ার পর তৃণমূলের (TMC) রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষের (kunal ghosh) সঙ্গে কথা বললেন ২ নেতা। কুণাল ঘোষের সঙ্গে বৈঠক বিজেপি নেতা বটকৃষ্ণ দাস ও জয়দেব দাসের। আগেই দলীয় পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন তাঁরা। হলদিয়ায় (Haldia) ওই বৈঠক ঘিরে তুমুল চর্চা রাজ্য রাজনীতিতে। শুভেন্দু-গড়ে (suvendu adhikari) কি ভাঙন ধরালেন কুণাল?
কী বলছেন ২ নেতা?
এদিন নিমতৌড়ির স্মৃতিসৌধ ভবনে কথা হয় তাঁদের। কুণাল ঘোষের পাশে বসেছিলেন সৌমেন মহাপাত্রও। অন্য দিকে দেখা যায়, বটকৃষ্ণ দাস ও জয়দেব দাসকে। বটকৃষ্ণ নন্দীগ্রাম-১ দক্ষিণ মন্ডলের প্রাক্তন সভাপতি। বিজেপির তমলুক জেলা কমিটিতে রয়েছেন জয়দেব দাস। আজ রীতিমতো ঘোষণা করে বিজেপি ছেড়েছেন দুজন। ঘটনাচক্রে, যেখানে বিজেপি-ত্যাগের খবর জানিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন তাঁরা, তার ঠিক নিচেই কুণালের সঙ্গে দেখা হয় তাঁদের। সূত্রের খবর, আগামী ৪ নভেম্বর তাঁরা তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন। সদ্যপদত্যাগী দুই নেতা অবশ্য এখনই তৃণমূল-যোগের খবরে সিলমোহর দিলেন না। এক জনের দাবি, বিজেপির সমস্ত পদ আগেই ছেড়েছিলেন। আজ, প্রাথমিক সদস্যপদ ছাড়লেন। দ্বিতীয় জন জানালেন, কুণাল ঘোষের সঙ্গে আজ যা হল, সেটা একেবারেই সৌজন্য সাক্ষাৎ। নিছক চায়ের আড্ডা, সংযোজন তাঁর। কিন্তু শুভেন্দু-গড়ে যাঁকে এবার তাস করল তৃণমূল, তিনি কী বলছেন?
কুণাল-কথা...
তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের উত্তর,'এরকম অনেক সৌজন্য-সাক্ষাতের গল্প অনেকে আমাদের শুনিয়েছেন। সেরকম সৌজন্য আমরাও কিছু শোনাব। সেগুলির জন্য যেন তৈরি থাকেন।' আগামী ৪ নভেম্বর নন্দীগ্রামের জনসভায় অনেক প্রশ্নেরই উত্তর যে পাওয়া যাবে, সে আঁচও দিয়ে রাখলেন কুণাল। তবে গোটা সময়টাই শুভেন্দু অধিকারীর জন্য আক্রমণের ঝাঁঝ ধরে রাখলেন। তাঁর কথায়, 'জয়দেব ও বটকৃষ্ণ, দুজনেই পুরনো দিনের অত্য়ন্ত দায়িত্বশীল বিজেপি কর্মী। শুভেন্দু অধিকারীর এলাকায় পা রাখার ক্ষমতা থাকত না যদি জয়দেব ও বটকৃষ্ণ পাশে না থাকতেন। বটকৃষ্ণ তো ওঁর নির্বাচনী আহ্বায়ক ছিলেন। এখন পুরনো দিনের বিজেপি কর্মীদের মনে হচ্ছে, যারা অত্যাচার করল, দুর্নীতি করল, শোষণ করল, ভাঙচুর করল, অপকীর্তি করল, তারাই বিজেপিতে মাথায় এসে বসে আছে। সেই তাদের অধীনে আজ বিজেপি করতে হবে?' তবে এদিনের বৈঠকটি যে পূর্বনির্ধারিত নয়, সেটি বোঝাতে চেয়েছেন কুণালও। সঙ্গে অবশ্য়ই জানিয়েছেন, কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। আলোচনায় যা বেরোবে তা ৪ নভেম্বরের জনসভায় জানিয়ে দেওয়া হবে।
দল সূত্রে খবর, দেওয়াল-লিখন মোটামুটি পরিষ্কার হয়েই গিয়েছে। এখন শুধু জনসভার অপেক্ষা। তবে কি পঞ্চায়েত ও হলদিয়া পুরভোটের আগে পূর্ব মেদিনীপুরের তৃণমূলের ঘর গোছানোর কাজ শুরু করে দিলেন কুণাল?
আরও পড়ুন:'হিরনের খোঁচা খেয়ে মালদ্বীপ থেকে ঘাটালে', সফরের আগে বিজেপির পোস্টার
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)