BJP MLA Attack: কোচবিহারে আক্রান্ত বিজেপি বিধায়ক, সহকারীকে মারধরের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে
Coochbehar News: এদিন ঘোকসাডাঙা স্টেশনে আসেন মাথাভাঙার বিজেপি বিধায়ক সুশীল বর্মন। সুশীল বর্মনকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল কর্মীরা।

শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার: মোদির সফরের দিনই কোচবিহারে আক্রান্ত বিজেপি বিধায়ক। ঘোকসাডাঙায় বিজেপি বিধায়কের সহকারীকে মারধরের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। গাড়ির কাচও ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ।
রাজ্যের একপ্রান্তে যখন প্রধাবনমন্ত্রী আসার প্রস্তুতি, তখন আরেকপ্রান্তে ঘটে গেল তৃণমূল- বিজেপি সংঘর্ষ। স্থানীয় সূত্রে খবর, ধর্মতলায় ২১-শে জুলাইয়ের সমাবেশে যোগ দিতে, শুক্রবার ঘোকসাডাঙা স্টেশনে ট্রেন ধরার জন্য় এসে পৌঁছন কোচবিহারের তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের একাংশ। ঠিক সেই সময়, একই স্টেশনে ট্রেন ধরার জন্য় আসেন মাথাভাঙার বিজেপি বিধায়ক সুশীল বর্মন। অভিযোগ, আচমকা তাঁর গাড়ি ঘিরে ধরে শুরু হয় তৃণমূল নেতা-কর্মীদের বিক্ষোভ। বিধায়কের গা়ড়ির কাচ ভেঙে দেওয়া হয়। অভিযোগ, হেনস্থা করা হয় বিজেপি বিধায়কের নিরাপত্তারক্ষীকেও। বিজেপি বিধায়ক সুশীল বর্মন বলেন, "স্টেশনের মধ্য়ে ওরা ১০-১২ জন মিলে বিক্ষোভ দেখানো শুরু করল। বিক্ষোভ দেখানোর সঙ্গে সঙ্গেই ওরা আমার গাড়িটা ঘিরে বাগ্-বিতণ্ডা করা শুরু করল। আমি বললাম, আমাকে যেতে দাও। আমার নিরাপত্তারক্ষী সামনে ছিল, নিরাপত্তারক্ষীর ওপরে ওরা মারা শুরু করল। পিছন থেকে তৃণমূলের ছেলেরাই ঢিল মারে। আগামী ২৬-এ হারবে, তার আতঙ্ক। সেই আতঙ্কে ওরা যেখানে যাকে পারছে, সুযোগ বুঝে এরকম আক্রমণ করছে।''
বিক্ষোভের মধ্য়েই, গাড়ি ঘুরিয়ে সোজা ঘোকসাডাঙা থানায় চলে যান সুশীল বর্মন। সেখানেও, থানার সামনে শুরু হয় তৃণমূলের বিক্ষোভ। বিধায়কের গত ৪ বছরের কাজের হিসেব চান তাঁরা। তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কমলেশ অধিকারী বলেন, ৪ বছর পার হয়ে গেল, আপনার বিধায়কের মেয়াদ প্রায় শেষের দিকে। আপনি মাথাভাঙার মানুষের জন্য় কী করলেন? এই কথা বলতে গিয়েই উনি চটে গেলেন। তার যে নিরাপত্তারক্ষীরা আমার তৃণমূল কংগ্রেসের এই এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য়, তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সাধারণ সম্পাদক তার ওপর আক্রমণ করে। আপনারা দেখেন, ওর হাত রক্তাক্ত। এই অঞ্চলের সহ সভাপতি, ঘোকসাডাঙা অঞ্চলের, তার ওপরও হামলা হয়।'' পাল্টা জেলা বিজেপির সভাপতি অভিজিৎ বর্মণ বলেন, "কোচবিহার জেলা জুড়ে তৃণমূল কংগ্রেসের একটাই কাজ। MLA-দের আটকানো। MLA-দের গাড়ি ভাঙচুর করা। এটা এরা আতঙ্কে করছে। কারণ, কোচবিহারে তৃণমূলের পায়ের তলা থেকে মাটি সরে গেছে। আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করার জন্য় চক্রান্ত করছে।''





















