SSC Case: 'রাজ্য সরকারের উচিত...', বিকাশভবনে বৈঠকের মধ্যেই মিরর ইমেজ নিয়ে বড় দাবি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের
Abhijit Gangopadhyay : তিনি যখন বক্তব্য রাখছেন সেই সময় আচমকাই 'গো ব্যাক' স্লোগান উঠতে থাকে। এই স্লোগানের মধ্যেই তাঁকে এলাকা ছাড়তে হয় ।

সন্দীপ সরকার, কলকাতা : একদিকে বৈঠক, আরেকদিকে ধর্না-মিছিল-অনশনে চাকরিহারারা। এদিন বিকাশভবনে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ও এসএসসি-র চেয়ারম্য়ানের সঙ্গে আড়াই ঘণ্টার বেশি সময় ধরে বৈঠক করে নিজেদের দাবিদাওয়ার কথা জানিয়ে এসেছেন চাকরিহারাদের প্রতিনিধিরা। এদিকে এদিনই চাকরিহারাদের মঞ্চে যান বিজেপি সাংসদ ও প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। কিন্তু, সেখানে তাঁকে একাংশ 'গো ব্যাক' স্লোগান দেন। তিনি যখন বক্তব্য রাখছেন সেই সময় আচমকাই 'গো ব্যাক' স্লোগান উঠতে থাকে। এই স্লোগানের মধ্যেই তাঁকে এলাকা ছাড়তে হয়। একপ্রকার নিরাপত্তকর্মীরা তাঁকে বের করে নিয়ে আসেন। সেইসময় বিধাননগর পুলিশের সহযোগিতাও দেখা যায়। তবে, যাবতীয় বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা ওএমআর শিটের মিরর ইমেজ নিয়ে নিজের মতামত স্পষ্ট ব্যক্ত করলেন প্রাক্তন বিচারপতি।
এই মিরর ইমেজ কি রাজ্য সরকার চাইলে দুই ঘণ্টার মধ্যে বের করে দেওয়া সম্ভব ?
এই প্রশ্নের উত্তরে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, "দুই ঘণ্টার মধ্যে নির্দেশটা দেওয়া সম্ভব। সেকশন ১৮ অফ স্কুল সার্ভিস কমিশন অ্য়াক্ট ১৯৯৭ ...আমি আজ পড়ে শুনিয়েছি। সেখানে পরিষ্কার বলা আছে যে, রাজ্য সরকার যে কোনও আইনসম্মত নির্দেশ স্কুল সার্ভিস কমিশনকে দিতে পারে এবং স্কুল সার্ভিস কমিশন সেটা মানতে বাধ্য। স্কুল সার্ভিস কমিশন এই মিরর ইমেজ নিজে পাবলিশ করেনি আজ পর্যন্ত। তাহলে রাজ্য সরকারের উচিত এই নির্দেশ দেওয়া। যাতে মিরর ইমেজ এখনই পাবলিশ হয়। যেখান থেকে আরও ২-৩টি স্টেপ নিতে হবে। যেখান থেকে বোঝা যাবে যে কে যোগ্য, আর কে অযোগ্য। এইটা বের করতে চাইছে না রাজ্য সরকার। এখন আমার মনে হচ্ছে। তারা নির্দেশটা দিক দেখি কতটা স্বচ্ছ হতে চায় তারা। আদৌ স্বচ্ছ নয়। তারা এখনও অযোগ্যদের বাঁচানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে। "
আপনি কি এই কথাগুলো বলার জন্যই আজ এখানে এসেছিলেন ?
তিনি বলেন, "অবশ্যই.। এই কথা এবং অন্য যে কোনও প্রশ্ন যদি তাদের থাকে, সেটার উত্তর দেওয়ার জন্য। কিন্তু ওই নকশালদের দালাল, এসইউসি-র দালাল, সিপিএমের দালাল ...ওদের কোনও প্রশ্নের উত্তর আমি দেব না। প্রশ্ন শুনলেই আমি বুঝতে পারছি যে কে কার দালালি করে প্রশ্নটা করছে। ওদের মনে রাখা উচিত, আমি বহুদিন হাইকোর্টে প্র্যাক্টিস করেছি। হাইকোর্টের বিচারপতি হিসাবে কাজ করেছি। ওদের আমি পিঁপড়ের চেয়ে বেশি গুরুত্ব দিই না।"






















