Taslima Nasrin : 'প্রত্যাবর্তন হোক' তসলিমাকে কলকাতায় ফেরাতে রাজ্যসভায় সরব শমীক ভট্টাচার্য
এবার নিজ দেশ থেকে ‘বিতাড়িত’ সাহিত্যিককে কলকাতা শহরে ফিরিয়ে আনার আর্জি জানালেন বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য ।

নয়াদিল্লি: এবার তসলিমা নাসরিনের হয়ে সংসদে কথা বলল বিজেপি। বাংলাদেশের সাহিত্যিক তসলিমা বহু বছর আগেই নিজের দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। তারপর থেকে তাঁর ঠিকানা ভারত। হালফিলে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের ক্ষুরধার সমালোচনা করেন তসলিমা। এবার নিজ দেশ থেকে ‘বিতাড়িত’ সাহিত্যিককে কলকাতা শহরে ফিরিয়ে আনার আর্জি জানালেন বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য ।
সোমবার রাজ্যসভায় বিজেপির সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য সকলকে মনে করিয়ে দেন বাংলা ভাষায় তসলিমার অবদান কতটা। তিনি বলেন, তসলিমার কাছে কলকাতা শহর নিজের শহর, ভালবাসার শহর, প্রাণের শহর। তাই তাঁকে ফেরানো হোক কলকাতায়, দাবি করেন শমীক। তিনি বলেন, 'তসলিমার প্রত্যাবর্তন হোক। বাংলার নারী আন্দোলনের নতুন সূর্যোদয় হোক'
শমীক বলেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু-নিপীড়নের বিরুদ্ধে সরব হওয়ায় তসলিমাকে নিজের দেশ থেকে বিতাড়িত করা হয়। তারপর কলকাতায় আশ্রয় নেন তিনি। কিন্তু, পরে পরিস্থিতির চাপে তাঁকে কলকাতা থেকেও 'বিতাড়িত' করা হয় । শমীকের অভিযোগ, 'তসলিমাকে কলকাতা থেকে তাঁকে বিতাড়িত করতে তৎপর হয়েছিলেন যে কংগ্রেস নেতা, তিনি এখন তৃণমূলে'।
সোমবার রাজ্যসভার জিরো আওয়ারে সাহিত্যিককে কলকাতায় ফেরানোর দাবি করেন বিজেপি সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য।
ইসলামিক মৌলবাদীদের বরাবর শানিত ভাষায় আক্রমণ করে এসেছেন তসলিমা। ধর্মীয় মৌলবাদ, পুরুষতান্ত্রিক সমাজে নারীদের নিপীড়ন নিয়ে বরাবরই ক্ষুরধার তসলিমার কলম। এই লেখার জন্যই তিনি বাংলাদেশে ইসলামিক মৌলবাদীদের চোখের বালি হয়ে ওঠেন। ‘দ্বিখণ্ডিত’ উপন্যাস নিয়ে বিতর্কের জেরে একসময় জন্মস্থান, ভিটে-মাটি ছেড়ে আসতে হয়েছিল লেখিকা তসলিমা নাসরিনকে। সেটা ছিল শেখ হাসিনার শাসনকাল। কলকাতায় আশ্রয় নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সে সময় বামপন্থী শাসনে থাকা বঙ্গেও জায়গা হয়নি তাঁর। ১৮ বছর আগে কলকাতাও ছাড়তে হয় তাঁকে। তারপর থেকে কখনও তিনি দিল্লিতে থেকেছেন, কখনও বিদেশে। এবার তাঁকে কলকাতায় ফেরানোর আর্জি জানালেন বিজেপি সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য।
গত অগাস্টে বাংলাদেশে হাসিনা সরকার পতনের পর তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছিলেন,' ইসলামিদের খুশি করতে ১৯৯৯ সালে আমায় দেশ থেকে বার করে দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। মায়ের মৃত্যুশয্যাতেও তাঁর পাশে থাকতে পারিনি। আমায় আর কখনও দেশে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। আজ সেই ইসলামিরাই ছাত্র আন্দোলনের মধ্যে মিশে গিয়ে, হাসিনাকে দেশ ছাড়তে বাধ্য করল।'
যদিও ইউনূসের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশে যা ঘটে চলেছে, তা নিয়েও সরব হয়েছেন তিনি। হাল আমলে বাংলাদেশের একটি বই মেলায় একটি স্টলে তসলিমা নাসরিনের বই রাখা নিয়ে তুলকালাম পরিস্থিতি তৈরি হয়।





















