BJP Subhash Sarkar : চাকরির জন্য টাকা দিয়ে থাকলে কলার ধরে টাকা আদায় করুন, 'পরামর্শ' সুভাষ সরকারের
Recruitment Scam : পঞ্চায়েত ভোটের আগে, এই নিয়োগ দুর্নীতি ইস্য়ু বিরোধীদের হাতে বড় অস্ত্র। আর তা নিয়েই এবার ময়দানে নেমে পড়েছে বিজেপি।
পূর্ণেন্দু সিংহ, বাঁকুড়া : চাকরির জন্য টাকা দিয়ে থাকলে কলার ধরে টাকা আদায় করুন। বাঁকুড়ার (Bankura) তালডাংরায় পথসভা থেকে চাকরিহারাদের এই পরামর্শই দিলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার (Subhash Sarkar)। যে বক্তব্যের পাল্টা সমালোচনা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপি সাংসদের পরামর্শ ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
চাকরি-অভিযোগ একাধিক
ফেল করেও চাকরি। সাদা খাতা জমা দিয়েও চাকরি। শূন্য় পেয়েও চাকরি। চাকরির জন্য় লাখ লাখ টাকা ঘুষ। শিক্ষক নিয়োগে এমনই সব ভয়ঙ্কর অভিযোগ উঠেছে। দু'দিন আগেই হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরি গেছে, ১ হাজার ৯১১ জন অযোগ্য় গ্রুপ ডি কর্মীর। নবম-দশমেও ৬১৮ জন শিক্ষকের চাকরি চলে যাওয়া কার্যত সময়ের অপেক্ষা। পঞ্চায়েত ভোটের আগে, এই নিয়োগ দুর্নীতি ইস্য়ু বিরোধীদের হাতে বড় অস্ত্র। আর তা নিয়েই এবার ময়দানে নেমে পড়েছে বিজেপি।
'কলার ধরে টাকা আদায়'
কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার তালডাংরার পথসভা থেকে 'পরামর্শ' দিয়েছেন, 'সবাই পাশের বাড়িতে কে টাকা দিয়েছে চাকরির জন্য় সেটাকে খুঁজে বার করুন। যার কাছে টাকা দিয়েছে, তার কলার ধরে টাকা আদায় করুন। যাদের চাকরি যাবে তাদেরও বলছি আপনাদের টাকাও গেল, চাকরিও গেল। মাইনেও ফেরত দিতে হবে। তাই এবার ওদের ছেড়ে কথা বলবেন না। নাহলে থানায় অভিযোগ করুন। অথবা আমাদের জানান। উত্তম মধ্যম দিয়ে পুলিশের কাছে নিয়ে যাবে। যাঁকে বলে পালিশ করা।' পাল্টা তালডাংরার তৃণমূল বিধায়ক অরূপ চক্রবর্তী বলেছেন, 'এইমসে কে চাকরী দিয়েছিল সে ঘটনা নিয়ে আগে বলুন সুভাষ সরকার। তারপর গ্রুপ ডি চাকরী নিয়ে ভাববেন। জেলার মানুষ গত পুরসভাতেই বিজেপির প্রতি প্রতিশোধ নিয়েছে। সুভাষ সরকারের নিজের ওয়ার্ডেই চার নম্বর স্থানে ছিল বিজেপি।' প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই সভা করে রাজ্য সরকারকে আক্রমণ শানিয়েছিলেন সুভাষ সরকার। তাঁর সভার জায়গাতেই সভা করেছিল তৃণমূল। ফের একবার সেই জায়গাতেই পথসভা করে 'পরামর্শ' দিলেন বিজেপি সাংসদ।
বাঁকুড়ার ভোট-চিত্র
গত পঞ্চায়েত ভোটে বাঁকুড়া জেলা পরিষদ, বাঁকুড়া পঞ্চায়েত সমিতির ২২টির মধ্যে সবকটিতেই জয়ী হয় তৃণমূল। মোট ১৯০টি গ্রামপঞ্চায়েতের মধ্যে তৃণমূলের দখলে যায় ১৭৪টি। বিজেপি পায় ১০টি। ২টিতে জেতে বামেরা (CPI)। বাকিগুলি পায় নির্দল। আগামী ভোটে এই সমীকরণে কতটা বদল আসে, সেটাই এখন দেখার।
আরও পড়ুন- কালো টাকা সাদা করা হয়েছে পার্থর স্ত্রীর স্কুলে, কবে, কীভাবে, আদালতে বড় দাবি ইডির