Babri Masjid Demolition Day: বাবরি মসজিদ ধ্বংসের দিন 'শৌর্য দিবস' পালন BJP-র, একযোগে সমালোচনায় TMC, CPM
BJP vs CPM: ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর ধ্বংস হয়েছিল বাবরি মসজিদ।
শিবাশিস মৌলিক, উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়, কৃষ্ণেন্দু অধিকারী: বাবরি মসজিদ ধ্বংসের দিনে করসেবকদের শ্রদ্ধা জানিয়ে 'শৌর্য দিবস' পালন করল বিজেপি। পাশাপাশি, বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের প্রতিবাদেও হল মিছিল। বাংলাদেশ ইস্যুতে পথে একই দিনে পথে নামল সিপিএম-ও। অন্য দিকে, বাবরি মসজিদ ধ্বংসের দিনে বিজেপির শৌর্য দিবস পালন করা নিয়ে নিশানা করল তৃণমূল। একই সুরে সমালোচনায় সরব হল সিপিএম-ও। (Babri Masjid Demolition Day)
১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর ধ্বংস হয়েছিল বাবরি মসজিদ। ৩২ বছর পর সেই দিনে করসেবকদের শ্রদ্ধা জানিয়ে 'শৌর্য দিবস' পালন করল বিজেপি। বাংলাদেশে যখন হিন্দুদের ওপর অত্যাচার চলছে, তখন করসেবকদের শ্রদ্ধা জানাতে শ্যামবাজার পাঁচমাথার মোড় থেকে সিঁথি পর্যন্ত মিছিল করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। (Suvendu Adhikari)
১৯৯০ সালে করসেবা করতে অযোধ্যায় গিয়েছিলেন, বড়বাজারের দুই ভাই রামকুমার কোঠারি এবং শরদ কোঠারি। পুলিশের গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে গিয়েছিলেন কোঠারি ভাইয়েরা। শুক্রবার তাঁদের শ্রদ্ধা জানাল বিজেপি। সেখানে শুভেন্দু বলেন, "রাম কোঠারি, শরদ কোঠারি, তাঁরা রাম জন্মভূমি পালনের জন্য আত্মবলিদান দিয়েছিলেন। আজকে রাম কোঠারি, শরদ কোঠারিকে স্মরণ করে শ্রদ্ধার মিছিল, শৌর্যের মিছিল, সাথে সাথে চিন্ময়কৃষ্ণ প্রভুর মুক্তি-সহ বাংলাদেশের হিন্দুদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মিছিল।"
বিজেপি-র মিছিল নিয়ে কটাক্ষ ছুড়ে দেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তাঁর বক্তব্য, "বাবরি মসজিদ ধ্বংস দুঃখজনক বিষয়। তার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সংহতি দিবস পালন করছেন। এরা এত অসভ্য-বর্বর যে এটাকে শৌর্য দিবস হিসেবে পালন করছে।" দলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষকেও বলতে শোনা যায়, "এরকম একটা দিনে শৌর্য দিবস পালন করা হচ্ছে। এরা ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করতে চায়।"
দুই বাংলার সংখ্যালঘুদের জীবন-জীবিকার ওপর আক্রমণ বন্ধের দাবি জানিয়ে বৃহস্পতিবার পথে নামে সিপিএম। দলের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমও বিজেপি-কে তীব্র আক্রমণ করেন। বলেন, "আমরা মনে করি সংখ্যাগুরুরা যখন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের চেষ্টা করে, আর সরকার যখন তাকে মদত দেয়, সেটা ভয়ঙ্কর হয়। বাংলাদেশ উদাহরণ। জ্যোতি বসু বলতেন, সরকার না চাইলে দাঙ্গা হয় না। সংখ্যালঘুদের মসজিদ ভেঙেছিল বলে ওরা শৌর্য দিবস পালন করছে। তাহলে আজ যেভাবে বাংলাদেশে হিন্দুদের মসজিদ ভাঙা হচ্ছে, বাংলাদেশের সংখ্যাগুরুরাও তো এটাকে শৌর্য দিবস বলবে?" এদিন ধর্মতলা থেকে পার্ক সার্কাস পর্যন্ত মিছিলে হাঁটেন মহম্মদ সেলিম-সহ সিপিএম নেতারা।