(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Bowbazar Incident:বর্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত কাজ বন্ধ থাকুক, সুপারিশ বিশেষজ্ঞদের
JU Reports:বউবাজারে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা নিয়ে পুরসভাকে প্রাথমিক রিপোর্ট দিলেন বিশেষজ্ঞরা। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপকরা সমীক্ষা করেছেন।
কলকাতা: বউবাজারে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা নিয়ে পুরসভাকে প্রাথমিক রিপোর্ট (Report) দিলেন বিশেষজ্ঞরা। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপকরা সমীক্ষা করেছেন। সেই নিয়েই রিপোর্ট জমা দিয়েছেন তাঁরা।
কী বলা হয়েছে রিপোর্টে:
সূত্রের খবর, বিশেষজ্ঞদের রিপোর্টে বলা হয়েছে দুর্গা পিতুরি লেনের মাটি অত্যন্ত দুর্বল। মাটি দুর্বল থাকায় এখন মেট্রোর (Metro) কাজ শুরু করলে আরও বিপদ বাড়তে পারে। মাটি দুর্বল থাকায় কাজ চললে আরও বাড়ি ধসে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। মাটি পরীক্ষা করা হবে এবং এলাকার মানচিত্র খতিয়ে দেখে তারপর চূড়ান্ত রিপোর্ট দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। মেট্রোর জন্য ধর্মতলা ও শিয়ালদা সুড়ঙ্গে এখনও ৯ মিটার কাজ বাকি রয়েছে। সেই অংশের সুড়ঙ্গের উপরের বাড়িগুলির স্বাস্থ্য পরীক্ষার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় বর্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত কাজ বন্ধের সুপারিশ দেওয়া হয়েছে বিশেষজ্ঞদের তরফে।
সম্প্রতি বউবাজারের দুর্গা পিতুরি লেনে বেশ কিছু বাড়িতে ফাটল হয়েছিল। তার জেরে রাতেই বাড়ি ছাড়তে হয়েছিল সেখানকার বাসিন্দাদের। পুনর্বাসন নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে বারবার KMRCL-এর বৈঠক হয়েছিল। সেই সময় কলকাতা পুরসভা সিদ্ধান্ত নেয় ওই এলাকায় মাটির পরিস্থিতি ঠিক কীরকম তা খতিয়ে দেখা হবে। তার জন্য যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ দল এবং আইআইটি রুরকির দলকে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছিল।
কী ঘটেছিল:
চলতি বছরে ১১ মে সন্ধ্যায় ২০১৯-এর অগাস্ট মাসের সেই দুঃসহ স্মৃতি ফিরল বউবাজারে। এ বারও ঘটনাস্থল সেই দুর্গাপিতুরি লেন। মেট্রোর কাজ চলাকালীন সেই সময় কমপক্ষে ৪০টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ভেঙে দিতে হয় বেশ কয়েকটি বাড়িও। তাতে দলবলে বাড়ি ছেড়ে অস্থায়ী ঠিকানায় মাথা গোঁজেন স্থানীয়রা। এবারও সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয়েছে বলে খবর। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মেট্রোর কাজ চলাকালীন কমপক্ষে ১০টি বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে। শুধু বাড়িই নয়, রাস্তাতেও ফাটল ধরেছে। পরে দুটি বাড়ি ভাঙার কাজও শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: রক্ষাকবচ পেলেন না পার্থ, প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর আবেদন খারিজ ডিভিশন বেঞ্চে