Bowbazar Metro Disaster: বিপর্যয়ে বিপর্যস্ত বউবাজার, কবে শেষ হবে মেট্রোর কাজ? বিকল্প ভাবনা KMRCL কর্তৃপক্ষের
East West Metro Update: কীভাবে বউবাজারে শেষ হবে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রের কাজ? বর্তমান পরিস্থিতিতে তাই বিকল্প উপায় ভাবছে KOLKATA METRO RAIL CORPORATION বা KMRCL কর্তৃপক্ষ।
অরিত্রিক ভট্টাচার্য, কলকাতা: বিপর্যয় যেন পিছু ছাড়ছে না বউবাজারের (Bowbazar Disaster)। ক্রস প্যাসেজ বানানোর সময়, ফের ফাটল ধরল একাধিক বাড়িতে। এই অবস্থায়, বিকল্প হিসেবে, ভেন্টিলেশন Shaft-এর কথা ভাবছে, KMRCL কর্তৃপক্ষ। এনিয়ে পরামর্শের জন্য, দিল্লি থেকে আসছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিকল্প উপায় ভাবছে KMRCL: কখনও সুড়ঙ্গপথে হু হু করে ঢুকছে জল। কখনও আলগা হয়ে যাচ্ছে মাটি। আর তার জেরেই একাধিক বাড়িতে ফাটল। ফের আশ্রয় হারা অসংখ্য পরিবার। এরকম চলতে থাকলে কীভাবে বউবাজারে শেষ হবে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রের কাজ? বর্তমান পরিস্থিতিতে তাই বিকল্প উপায় ভাবছে KOLKATA METRO RAIL CORPORATION বা KMRCL কর্তৃপক্ষ। KMRCL সূত্রে খবর, বউবাজারে সুড়ঙ্গ নির্মাণ ও ট্র্যাক তৈরির কাজ অনেকটাই হয়ে গেছে। এখন তৈরি হচ্ছিল ক্রস প্যাসেজ। যে ক্রস প্যাসেজ বানাতে গিয়ে, তৃতীয়বার বিপর্যয়ের মুখে পড়ে বউবাজারের এই অংশ।
KMRCL সূত্রে খবর, বউবাজার চত্বরেই রয়েছে ৩টি ক্রস প্যাসেজ। একটি ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া মোড়ের কাছে। একটি বউবাজার মোড়ে, আরেকটি মদন দত্ত লেনে। প্রত্যেকটির মাঝের দূরত্ব ২৫০ মিটার করে। এই মদন দত্ত লেনেই ক্রস প্যাসেজ নির্মাণের সময় একাধিক বাড়িতে ফাটল ধরে। তড়িঘড়ি, জল ঢোকা বন্ধ করতে, আরেকটা লেয়ার দিয়ে, প্যাসেজ সিল করে দেওয়া হয়। বউবাজারে একটি ক্রস প্যাসেজ বানাতেই বিপত্তি। তাহলে আরও দুটো ক্রস প্যাসেজ কীভাবে বানানো হবে? এই পরিস্থিতিতে, ক্রস প্যাসজের বিকল্প হিসেবে, ভেন্টিলেশন shaft বানানোর কথা ভাবছে, KMRCL কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এক্ষেত্রেও সমস্যা রয়েছে। দুটি ভেন্টিলেশন shaft-এর মাঝে, অন্তত ৭৬২ মিটার দূরত্ব রাখতে হয়। তারজন্য অনেকটা জমি লাগে। এই বিষয়টাও ভাবাচ্ছে KMRCL কর্তৃপক্ষকে।
এনিয়ে পরামর্শের জন্য, দিল্লি থেকে আসছেন বিশেষজ্ঞরা। এবিষয়ে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, “এটা মেজর ভুল নয়। আমি প্রকল্প তাড়াতাড়ি হওয়ার পক্ষে। মেট্রোর ভুল মেট্রোর ভুল বলে চিৎকার করলে, অফিসারদের অপমান করলে, মারধর করলে, প্রকল্প ধাক্কা খেয়ে যাবে। দুদিকে হয়ে গেছে, শুধু ৮০০ মিটার বাকি আছে। পুনর্বাসনের দিকটাও দেখতে হবে। মেট্রোর লোক ইচ্ছে করে করেনি। তাঁদের আক্রমণ করা উচিত নয়। মাটির তলা দিয়ে মেট্রো যাচ্ছে। কঠিন ব্যাপার, সেটা সবার বিচার করা উচিত।’’ এদিকে বউবাজার বিপর্যয় বহু বাসিন্দার মাথার ওপর থেকে আশ্রয় কেড়ে নিয়েছে। এখনও তাঁদের ঠিকানা সেই হোটেল। বউবাজারের এক বাসিন্দা বলেন, “হোটেলের পরিবেশে ছেলের পড়াশোনা হচ্ছে না। সারাদিন ৮-৯টা ওষুধ খাই। ওষুধ নিয় বেরতে পারিনি। টেনশন করে করেই শরীর খারাপ।’’