Bankura News:বৃদ্ধা মা ও দাদাকে শাবল দিয়ে পিটিয়ে খুনে অভিযুক্ত ভাই, খাতরার ঘটনায় জখম ৩
Bankura Murder:বৃদ্ধা মা ও দাদাকে শাবল দিয়ে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল ভাইয়ের বিরুদ্ধে। বাধা দিতে গিয়ে জখম পরিবারের আরও তিন। বাঁকুড়ার খাতড়া থানার জলডোবরা গ্রামের ঘটনা।
পূর্ণেন্দু সিংহ, বাঁকুড়া: বৃদ্ধা মা ও দাদাকে শাবল দিয়ে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল ভাইয়ের (Bankura Murder) বিরুদ্ধে। বাধা দিতে গিয়ে জখম পরিবারের আরও তিন। বাঁকুড়ার খাতড়া থানার জলডোবরা গ্রামের ঘটনা।
কী জানা গেল?
গত কাল অর্থাৎ সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটে। অভিযোগ, গোপী বাউরি নামে ওই ব্যক্তিকে আটকাতে গিয়ে জখম হন ভাইঝি, বৌদি ও দিদি। আহতদের খাতড়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, গত কাল রাতে বাঁকুড়ার খাতড়া থানার জলডোবরা গ্রামে গোপী বাউরির বাড়িতে প্রবল চিৎকার চেঁচামেচি শুনতে পান প্রতিবেশীরা। আওয়াজ শুনে বাড়িতে গিয়ে দেখেন বছর ষাটের লক্ষ্মী বাউরি ও তাঁর বড় ছেলে, বছর চল্লিশের দেবু বাউরি মেঝেয় রক্তাক্ত ও মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। অন্য দিকে গুরুতর জখম অবস্থায় দেবু বাউরির স্ত্রী মঙ্গলা বাউরি, তাঁর মেয়ে শিখা বাউরি ও দিদি ক্ষেপি বাউরিকেও পড়ে থাকতে দেখা যায়। প্রতিবেশীরা খাতড়া থানায় খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুটি মৃতদেহ উদ্ধারের পাশাপাশি আহতদের উদ্ধার করে খাতড়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ বাড়ি থেকেই লক্ষ্মী বাউরির ছোট ছেলে গোপী বাউরিকে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক ভাবে তদন্তকারীদের ধারণা, পারিবারিক বিবাদের জেরেই গোপী বাউরি শাবলে দিয়ে পিটিয়ে নির্মম ভাবে হত্যা করেছে। অভিযুক্তের দাবিতে সরব হয়েছেন এলাকার মানুষ।
পশ্চিম বর্ধমানের ঘটনা...
গত বছর নভেম্বরে কাঁকসার একটি বাড়ির পাশাপাশি ২ টি ঘর থেকে উদ্ধার হয় দিদা ও নাতনির মৃতদেহ। বাথরুমের মধ্য়ে বাইরে থেকে দরজা বন্ধ অবস্থায় উদ্ধার হয় বৃদ্ধার নাতির রক্তাক্ত দেহ। অসমে বড় মেয়ের কাছে গিয়েছিলেন বাড়িমালিক ও তাঁর স্ত্রী। পরিবারের ৩ সদস্যের খুনের খবর পেয়ে ফিরে আসেন তাঁরা। পুলিশের সন্দেহ, তরুণী সিমরন বিশ্বকর্মাকে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়। বাড়ি মালিকের শাশুড়ি সীতাকে খুন করা হয়েছিল তাঁরই পরনে থাকা শাড়ির ফাঁস দিয়ে। আর সিমরনের মামাতো ভাই সোনু বিশ্বকর্মাকে বাথরুমে গলায় দড়ি পেঁচিয়ে খুন করা হয়েছে। পরিবার সূত্রে খবর, নিহত সিমরনের বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা চলছে। মৃতার মায়ের দাবি, এলাকারই এক যুবকের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল সিমরনের। ওই যুবক সিমরনকে বিয়েও করতে চেয়েছিল। কিন্তু বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা চলায় তাতে সায় দেয়নি সিমরনের পরিবার। সন্দেহভাজন ওই যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
আরও পড়ুন:স্বাভাবিকের থেকে ৫ ডিগ্রি বেশি তাপমাত্রা, মাঝ মাঘেই পাততাড়ি গোটাল শীত? আর ফিরবে না?