Bula Choudhury: খোঁজ পাওয়া গেল না সাঁতারু বুলা চৌধুরীর চুরি যাওয়া পদ্মশ্রীর! চুরি যাওয়া ২৯৫টি পদক উদ্ধার পুলিশের
Bula Choudhury Medal: 'পদ্মশ্রী' প্রাপ্ত সাঁতারু বুলা চৌধুরী বলেন, 'পুলিশ ভাল কাজ করেছে। কিন্তু পদ্মশ্রী এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি। আশা করি ওটাও পেয়ে যাবে।'

কলকাতা: জীবনে সাঁতারের সরণি বেয়ে বারবার এসেছে সাফল্য। স্বীকৃতি, সম্মান জমতে জমতে ভরে উঠেছে আস্ত আলমারি। খনি বললেও বোধহয় কম বলা হবে। সেই আলমারি ভেঙেই চুরি হয় শয়ে শয়ে পদক। সাঁতারু বুলা চৌধুরীর হিন্দমোটরের বাড়ি থেকে চুরি যাওয়া ২৯৫ টি পদকই উদ্ধার করল পুলিশ। যার মধ্যে রয়েছে ১ টি সোনার মেডেলও। যদিও এখনও খোঁজ পাওয়া যায়নি বুলা চৌধুরীর পদ্মশ্রী স্মারক, ও সাফ গেমসের ৫ টি সোনার মেডেল। ঘটনায় গ্রেফতার করা হল ১ জনকে।
'পদ্মশ্রী' প্রাপ্ত সাঁতারু বুলা চৌধুরী বলেন, 'পুলিশ ভাল কাজ করেছে। কিন্তু পদ্মশ্রী এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি। আশা করি ওটাও পেয়ে যাবে।' গত ১৫ অগাস্ট, বুলা চৌধুরীর হিন্দমোটরের বাড়ি থেকে চুরি যায় তাঁর সমস্ত পদক। বাড়ির পিছনের দরজা ভেঙে চুরি করে নিয়ে যাওয়া হয় সাঁতারুর সমস্ত পুরস্কার। সেইসময় হিন্দমোটরের বাড়িতে ছিলেন না তিনি।
শুক্রবার সকালে স্থানীয়দের একাংশ তাঁকে ফোন করে জানান যে, তাঁর বাড়ির পিছনের দরজা ভাঙা রয়েছে। তারপরই জানাজানি হয় চুরির ঘটনা। কান্নায় ভেঙে পড়েন সাঁতারু। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তাঁর চুরি হওয়া পুরস্কার উদ্ধার করল পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে কৃষ্ণা চৌধুরী নামে রিষড়ার বাসিন্দা ১৯ বছরের এক যুবককে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত যুবক পেশায় ফেরিওয়ালা। পুরনো জিনিস কেনাবেচার কাজ করে। সেই সূত্রে এলাকায় তার আসাযাওয়া ছিল। বেশ কিছুদিন বুলা চৌধুরীর বাড়িতে কেউ না থাকায়, ভাল করে রেকি করে ওই যুবক। তারপর সিসি ক্যামেরা ঢাকা দিয়ে, ১২ ও ১৪ তারিখ চুরি করে। এই নিয়ে তৃতীয়বার বুলা চৌধুরীর বাড়িতে ঘটল চুরির ঘটনা। এর আগে ২০১৪ সালে তাঁর বাড়িতে ২ বার চুরি হয়।
পুলিশের তরফে বলা হয়েছে, পদ্মশ্রী' সাঁতারু বুলা চৌধুরীর বাড়িতে চুরি ৩০০ মেডেল, চোরাই মাল উদ্ধার ৪৮ ঘন্টার মধ্যে। পদ্মশ্রী বুলা চৌধুরী, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সাঁতারু, দেশ এবং রাজ্যের অহঙ্কার। অনেকেই জানেন, তাঁর আদি বাড়ি উত্তরপাড়ার হিন্দমোটর এলাকায়, যদিও নিয়মিত থাকেন না সেখানে আর। ১৫ অগস্ট স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে বাড়ি গিয়ে দেখেন, শোকেসে রাখা সমস্ত মেডেল উধাও, পদ্মশ্রীর পদক পর্যন্ত। মেডেলের সংখ্যা ৩০০-র বেশি। স্রেফ অর্থের নিরিখে সেগুলির মূল্যায়ন অসম্ভব। দ্রুত পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন বুলা দেবী। তাঁর বাড়িতে পৌঁছে আমরা আবিষ্কার করি, বাড়ির সিসিটিভি কাজ করছে না, এবং আরও কিছু ছোটখাটো জিনিস চুরি হয়েছে, যেমন বাথরুমের কল, কিছু ধাতুর মূর্তি ইত্যাদি। এমন জিনিস, যা থেকে আর্থিক লাভের সম্ভাবনা খুব বেশি নয়। আমাদের অভিজ্ঞতা বলে, এই ধরনের মামলায় অপরাধীরা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই হয় চোর অথবা মাদকাসক্ত ব্যক্তি, যারা চোরাই মাল বেচে দেয় স্থানীয় 'স্ক্র্যাপ ডিলার' অর্থাৎ রদ্দির কারবারিদের কাছে।
সেইমতো স্থানীয় কারবারিদের সম্পর্কে খোঁজখবর করতেই আমাদের নজরে পড়েন মহঃ চাঁদ (৪৫), যাঁর কাছ থেকে উদ্ধার হয় সমস্ত চোরাই মাল। তিনি জানান, বিক্রেতারা শ্রীরামপুরের দুই বাসিন্দা কৃষ্ণ চৌধুরী (১৯) এবং শেখ শামিম (২০)। মহঃ চাঁদ এবং কৃষ্ণকে গ্রেফতার করা হয়, জানা যায় যে বাড়ি খালি দেখে ১২ এবং ১৪ অগস্ট বাড়িতে চুরি করার সিদ্ধান্ত নেয় কৃষ্ণ এবং শামিম। এখনও পলাতক শামিম। ধরা পড়বে অচিরেই।






















