Burdwan Murder News: বকেয়া বিদ্যুৎ বিল নিয়ে তাগাদার জের, বিরক্ত হয়ে বাড়িওয়ালিকেই মুগুর মেরে খুন করল ভাড়াটিয়া
স্থানীয় একটি চটকলে কাজ করার সুবাদে নীলাদ্রি সরকারের বাড়ি ভাড়া নেয় অমিত বাগদি। চটকলেই পরিচয় হয় রবির সঙ্গে।

কমলকৃষ্ণ দে, পূর্ব বর্ধমান: বেশ কিছুদিন ধরেই বকেয়া ছিল বিদ্যুতের বিল। ভাড়াটিয়ার কাছে বারংবার চেয়েও বিমুখ হতে হচ্ছিল বাড়িওয়ালাকে। শেষে বিরক্তি চরমে পৌঁছতেই বাড়িওয়ালাকেই খুন করার সিদ্ধান্ত নিল ভাড়াটিয়া।
জামালপুর থানার আবুজহাটি একাকার ঘটনা। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে,বিদ্যুতের বিল বাবদ বকেয়া ২৪০০ টাকা ভাড়াটিয়ার কাছে চাইছিলেন বাড়িওয়ালা। স্থানীয় সূত্রে খবর, গত সাত দিন আগে বাড়ি ভাড়ার টাকা মিটিয়ে বাড়ি ছেড়ে দেয় অমিত বাগদি। বাড়ি ভাড়া ছেড়ে দিলেও বিদ্যুতের বিল বাবদ ২৪০০ টাকা দাবী করেন বাড়ির মালিক নীলাদ্রী সরকার। এমনকি বকেয়া বিদ্যুৎ বিলের জন্যে বারে বারে ফোনও করছিলেন নীলাদ্রি সরকার।
স্থানীয় একটি চটকলে কাজ করার সুবাদে নীলাদ্রি সরকারের বাড়ি ভাড়া নেয় অমিত বাগদি। চটকলেই পরিচয় হয় রবির সঙ্গে। স্থানীয় সূত্রে খবর, রবি-ই নীলাদ্রি বাবুর বাড়ি ঠিক করে দেয় অমিতের ভাড়া থাকার জন্য। বারংবার তাগাদাই বিরক্ত হয়ে বাড়িওয়ালাকে খুনের পরিকল্পনা করে বীরভূমের মল্লারপুরের বাসিন্দা ভাড়াটিয়া অমিত বাগদি।
সেই মতো গতকাল রাতেই মল্লারপুর থেকে ট্রেনে করে জৌগ্রাম স্টেশনে আসে অমিত। জৌগ্রাম স্টেশনেই অপেক্ষা করতে থাকে অমিত এবং রবি। ভাড়াটিয়া হিসাবে থাকার জন্য অমিত জানতো নীলাদ্রি বাবু প্রতিদিন রাত ৩-৩.৩০ নাগাদ বাড়ির বাইরে বেড়োতেন বাথরুমে যাওয়ার জন্য। রাত ৩.০০ টা নাগাদ রবি-কে সঙ্গে নিয়ে নীলাদ্রি বাবুর বাড়িতে পৌঁছয় অমিত।
পাঁচিল টপকে বাড়িতে ঢুকে নীলাদ্রি সরকারের বাড়ির বাইরে তার বের হওয়ার অপেক্ষা করতে থাকে তারা। রাত ৩.৩০ নাগাদ নীলাদ্রি সরকার বাইরে বের হলে তাকে ধাক্কা দিলে নীলাদ্রি বাবু অচৈতন্য হয়ে পরে যান। মীরা দেবী স্বামীর এরকম অবস্থা দেখে চেঁচামেচি করতে থাকলে তাঁকে মুগুর দিয়ে মাথায় বেশ কয়েকবার আঘাত করে অমিত ও রবি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর।
এরপরই বৃদ্ধের বয়ান অনুযায়ী মল্লারপুর থেকে অমিত-কে এবং অমিতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জামালপুর থানা এলাকা থেকে রবিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গতকালই আবুজহাটি এলাকায় ঘরের ভিতর থেকে মীরা সরকারের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ এবং জখম অবস্থায় তাঁর স্বামী নীলাদ্রি সরকারকে উদ্ধার করে প্রথমে জামালপুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও পরে বর্ধমান মেডিকেলে স্থানান্তর করা হয়।
এরপরই নীলাদ্রি সরকারের অভিযোগের পরিপেক্ষিতে খুনের মামলা রুজু করে তদন্তে নেমে রবি ও অমিতকে গ্রেপ্তার করে জামালপুর থানার পুলিশ।






















