Cash Recovery:বালিগঞ্জে নগদ উদ্ধারের ঘটনায় দিল্লিতে ইডির সদর দফতরে ফের হাজিরা মনজিৎ সিংহ গ্রেওয়ালের
Businessman Comes To ED Office:দিল্লিতে ইডির সদর দফতরে ফের হাজিরা ব্যবসায়ী মনজিৎ সিংহ গ্রেওয়ালের। গতকাল ৭ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর ফের মনজিৎকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেন ইডির আধিকারিকরা।
বিজেন্দ্র সিংহ, নয়াদিল্লি: দিল্লিতে (Delhi) ইডির সদর দফতরে (ED Headquarter) ফের হাজিরা ব্যবসায়ী মনজিৎ সিংহ গ্রেওয়ালের (Businessman)। গতকাল ৭ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর ফের মনজিৎকে জিজ্ঞাসাবাদ (questionning) করলেন ইডির আধিকারিকরা। গত বুধবার, বালিগঞ্জে গজরাজ গ্রুপের (Ballygung Gajraj Group) অফিস থেকে ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়। সেই ঘটনার তদন্তেই উঠে আসে তৃণমূল নেতা ও ব্যবসায়ী মনজিতের নাম।
কী ঘটেছিল?
গত বুধবারের ঘটনায় গজরাজ গ্রুপের ডিরেক্টর বিক্রম শিকারিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদে উঠে আসে তৃণমূল নেতা ও ব্যবসায়ী মনজিতের নাম। প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্য়ক্তিত্ব কয়লার টাকা মনজিতের মাধ্যমে পাচারের চেষ্টা করেন, দাবি করেছিল ইডি। শরৎ বোস রোডে সালাসার গেস্ট হাউস কেনা নিয়েও বিতর্কে জড়ান মনজিৎ সিংহ গ্রেওয়াল। তদন্তকারীদের দাবি, সালাসার গেস্ট হাউসের বাজারদর ছিল ১২ কোটি টাকার বেশি। কিন্তু নথিতে দেখানো হয় গেস্ট হাউস কেনা হয়েছে ৩ কোটি টাকায়। বাকি ৯ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছিল নগদে, দাবি তদন্তকারীদের। সূত্রের খবর, গত কাল জিজ্ঞাসাবাদে সব প্রশ্নের সদুত্তর দিতে না পারায় আজ ফের তলব করা হয় মনজিৎকে। যা জানা যাচ্ছে তাতে ব্যবসায়ীর কাছে জানতে চাওয়া হবে, ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকার উৎস কী? এগুলি কি কয়লা পাচারকাণ্ডের টাকা? সেই টাকা দিয়ে কি আর কোনও সম্পত্তি কেনা হয়েছে?
চলে তরজা...
বালিগঞ্জের যে অফিসে তল্লাশি চালিয়ে, ইডি প্রায় দেড় কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করে, সেটি নির্মাণকারী সংস্থা গজরাজ গ্রুপের ডিরেক্টর বিক্রম সাকারিয়ার। বিজেপির অভিযোগ, যে বাড়িতে তল্লাশি হয়েছে, তার মালিক মনজিৎ সিংহ গ্রেওয়াল। ইডি বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, এক মন্ত্রীর হয়ে বেআইনি টাকার লেনদেনেও যুক্ত ছিলেন বিক্রম। আর ব্যবসায়ী মনজিতের মাধ্যমে কয়লা পাচারের চেষ্টা করছিলেন এক প্রভাবশালী রাজনীতিক। এ নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী এবং বিজেপি নেতৃত্ব তৃণমূলকে আক্রমণ করেন। ট্যুইটারে পর পর কিছু ছবি পোস্ট করেছেন, যাতে মমতার পাশে গুরুদ্বারে দেখা গিয়েছে মনজিৎকে। আবার কার্তিকের সঙ্গে পাড়ার জমায়েতেও দেখা গিয়েছে। পরে কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "আমি জিত্তাদাকে বহুদিন ধরে চিনি। বহু বার ওঁদের বাড়িতে গিয়েছি। বলা হচ্ছে, ওঁর বাড়ি থেকে টাকা উদ্ধার হয়েছে। আদৌ ওঁর বাড়ি থেকে টাকা উদ্ধার হয়নি। এটা আমি নিশ্চিত ভাবে জানি যে, যেখান থেকে টাকা উদ্ধার হয়েছে, সেটি ওঁর বাড়ি নয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গুরুদ্বারে গেলে, সেখানে কে থাকবেন, কে থাকবেন না...(এ সব কে বলে দেবে?) শিখরা ধর্মভীরু মানুষ। তাঁদের অসম্মান করার অধিকার কি কারও আছে?"
আরও পড়ুন:৫ লক্ষ পর্যন্ত ঋণ, গ্যারান্টার হবে সরকার, ভবিষ্যৎ প্রকল্পে ঘোষণা মমতার