Justice Abhijit Gangopadhyay : WBCS অফিসার হিসেবে শুরু, তারপর কীভাবে এগিয়েছে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের কেরিয়ার
একদিকে DA। অন্যদিকে SSC। এই দুই মামলাতেই, শুক্রবার কড়া নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। আর তাকে কেন্দ্র করেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছে এক বিচারপতি এবং এক অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নাম।
কলকাতা : SSC এবং DA মামলার রায়কে কেন্দ্র করে, চর্চায় উঠে এসেছে দু’টো নাম। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এবং অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রঞ্জিৎকুমার বাগ। দুই মামলার সঙ্গে কীভাবে জড়িয়ে রয়েছেন তাঁরা । একদিকে DA। অন্যদিকে SSC।
এই দুই মামলাতেই, শুক্রবার কড়া নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। আর তাকে কেন্দ্র করেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছে এক বিচারপতি এবং এক অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নাম।
একজন, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay )। আরেকজন কলকাতা হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রঞ্জিৎকুমার বাগ ( Ranjit Kumar Bag ) ।
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় একসময়ে স্কুল সার্ভিস কমিশনেরই আইনজীবী ছিলেন। তিনি অবশ্য কেরিয়ার শুরু করেছিলেন WBCS অফিসার হিসেবে। তারপর চাকরি ছেড়ে আইন নিয়ে পড়াশোনা করেন। ২০১৮-র ২ মে কলকাতা হাই কোর্টে অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত হন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ২০২০-র ৩০ জুলাই হাইকোর্টের স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে কাজ শুরু করেন তিনি। এখন SSC-মামলায় তাঁর রায়ে আশার আলো দেখছে বহু চাকরিপ্রার্থী।
অন্যদিকে, কলকাতা হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রঞ্জিৎকুমার বাগ।
শুক্রবার DA মামলাতে, কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ, রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে, স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনালের রায় মেনে, রাজ্য সরকারী কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ মেটানোর জন্য।স্যাটে এই রায়ও দিয়েছিলেন বিচারপতি রঞ্জিৎকুমার বাগ। অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রঞ্জিৎকুমার বাগ ভাষাতত্ত্বে স্নাতকোত্তর। তারপর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে স্নাতক। ১৯৮৩ সালে যোগ দেন বিচারবিভাগে। আলিপুরে NDPS কোর্টের বিচারক কলকাতা নগর দায়রা আদালতের মুখ্য বিচারক কলকাতা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল ছিলেন। ২০১৩ সালের অক্টোবরে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে যোগ দেন। ২০১৭ সালের ৭ নভম্বর অবসর নেন। সম্প্রতি SSC’র গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি কর্মী নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে তিনি চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট দেন কলকাতা হাইকোর্টে। তার ভিত্তিতেই সিঙ্গল বেঞ্চের সিবিআই তদন্তের নির্দেশ বহাল রাখার নির্দেশ দেয় ডিভিশন বেঞ্চ। সিঙ্গল বেঞ্চের তরফে এই নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর নির্দেশেই সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে হয়েছে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে।