Calcutta High Court: ভারতীয় সেনায় পাকিস্তানি নাগরিক? CBI-কে কী নির্দেশ হাইকোর্টের
Indian Army: বিচারপতি সেনগুপ্ত এদিন আরও বলেন, অন্য রাজ্যেও তদন্তের প্রয়োজন থাকতে পারে।
সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: ভারতীয় সেনাবাহিনীতে পাকিস্তানি নাগরিকদের নিয়োগের অভিযোগ সংক্রান্ত মামলায় CBI-কে FIR দায়ের করার নির্দেশ দিলেন, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত।
এর পাশাপাশি, বিচারপতি সেনগুপ্ত এদিন আরও বলেন, অন্য রাজ্যেও তদন্তের প্রয়োজন থাকতে পারে। ইন্টারপোলেরও সাহায্য প্রয়োজন হতে পারে। এর জন্য CBI প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবে।
দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে এখনই FIR দায়ের করুক CBI. ভারতীয় সেনাবাহিনীতে পাকিস্তানি নাগরিকদের নিয়োগের অভিযোগ সংক্রান্ত মামলায়, বুধবার এই নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। এর পাশাপাশি, বিচারপতি সেনগুপ্ত এদিন আরও বলেন, অন্য রাজ্যেও তদন্তের প্রয়োজন থাকতে পারে। ইন্টারপোলেরও সাহায্য প্রয়োজন হতে পারে। এর জন্য CBI প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবে।
বুধবারের শুনানিতে মহকুমাশাসকের ভূমিকা নিয়ে মুখ খোলেন CBI-এর আইনজীবী। তিনি বলেন, এই ঘটনার জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক প্রভাব আছে। নির্দিষ্ট একটি ডোমিসাইল সার্টিফিকেটে মহকুমাশাসক বলছেন যে সই তাঁর নয়। কিন্তু, আমরা নিশ্চিত এটা তাঁরই সই।সেই একই মহকুমাশাসক একাধিক বিতর্কিত ব্যক্তিকে OBC শংসাপত্র দিয়েছেন। এটা একটা বড় চক্র। এখনও পর্যন্ত আমরা নথি জালিয়াতির ৪টি ঘটনা জানতে পেরেছি। আমরা জাতীয় সুরক্ষা নিয়ে চিন্তিত। পাক নাগরিক-সহ বিদেশি ব্যক্তিরাও চাকরি পেয়ে থাকতে পারেন।
মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় বলেন, 'এরকম ইনফরমেশন আপনারা পেলে আমাদের জানাবেন। আমরা উপকৃত হব। আমার বাড়িতে কয়েকদিন আগে বিএসএফ, পুলিশের লোগো লাগিয়ে চলে এসেছিল।'
বুধবার শুনানিতে সিবিআইয়ের আইনজীবী আরও বলেন, মূলত CAPF বা আধা সামরিক বাহিনীর নিয়োগপ্রক্রিয়া ঘিরেই এই অভিযোগ। CBI এখনও পর্যন্ত কোনও FIR দায়ের করেনি। সীমান্তবর্তী রাজ্য হওয়ার কারণে পশ্চিমবঙ্গে নিয়োগের ক্ষেত্রে কাট অফ মার্কস কম। তাই এখান থেকে আবেদনের প্রবণতা বেশি। মাধ্যমিকের শংসাপত্র পর্যন্ত জাল করা হয়েছে। মামলাকারীকে পুলিশি নিরাপত্তা দিতে হবে। সম্প্রতি, আদালতের দ্বারস্থ হন হুগলির বাসিন্দা বিষ্ণু চৌধুরী। তিনি অভিযোগ করেন যে, ব্যারাকপুরের সেনা ছাউনিতে দুই পাকিস্তানি নাগরিক কর্মরত। ভুয়ো নথি দিয়ে তাঁরা চাকরি পেয়েছেন বলে অভিযোগ করা হয়।
অভিযোগকারী বিষ্ণু চৌধুরী বলেন, 'আগে এই মামলায় সিআইডির পাশাপাশি সিবিআইকে অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। পরে, এই মামলা যায় বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর এজলাসে। FIR দায়ের করে তদন্তের অনুমতি চায় সিবিআই। এদিন, সেই আবেদন মঞ্জুর করলেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত।'