(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Jhalda Municipality : রাজ্যের বিজ্ঞপ্তি খারিজ, ঝালদা পুরসভায় চেয়ারম্যান নির্বাচনের দিনক্ষণ জানাল হাইকোর্ট
Chairman Selection : শান্তি-শৃঙ্খলা এবং নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবে পুলিশ
কলকাতা : ঝালদা পুরসভায় (Jhalda Municipality) রাজ্যের প্রশাসক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি খারিজ । রাজ্যের ২ ডিসেম্বরের বিজ্ঞপ্তি খারিজ । ঝালদা পুরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচন হবে আগামী ১৬ জানুয়ারি। এমনই নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। ১৬ জানুয়ারি জেলাশাসকের তত্ত্বাবধানে হবে চেয়ারম্যান নির্বাচন। শান্তি-শৃঙ্খলা এবং নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবে পুলিশ। আজ এমনই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অমৃতা সিন্হা।
প্রায় এক বছর ধরে পুরুলিয়ার ঝালদা পুরসভায় ডামাডোল চলছে। রাজনৈতিক সংঘাতের পাশাপাশি চলছে আইনি লড়াইও।
গত ২১ নভেম্বর ঝালদা পুরসভায় আস্থা ভোটে পরাজিত হয় তৃণমূল। ২ নির্দল কাউন্সিলরের সমর্থনে বোর্ড গড়ার তোড়জোড় শুরু করে কংগ্রেস। কিন্তু নতুন পুরবোর্ড গঠনের আগের রাতেই, ঝালদা পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলর জবা মাছোয়ারকে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর। যার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে হাইকোর্টে মামলা করে কংগ্রেস। সেই মামলার শুনানিতে গত ৫ ডিসেম্বর, রাজ্য সরকারের প্রশাসক বসানোর সিদ্ধান্তের ওপর স্থগিতাদেশ দিলেও, জেলাশাসকের হাতে পুরসভার দায়িত্ব তুলে দেয় হাইকোর্ট। সিঙ্গল বেঞ্চের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায় কংগ্রেস।
সেই মামলার শুনানি হয় বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিচারপতি অপূর্ব সিংহের ডিভিশন বেঞ্চে। কংগ্রেসের আইনজীবী অভিযোগ করেন, জেলাশাসককে পুরসভার প্রশাসক হিসেবে বসানোর ফলে পুর পরিষেবার কাজ ব্যাহত হচ্ছে। এটা পুর আইনের পরিপন্থী।
পাল্টা রাজ্য সরকারের আইনজীবী বলেন, আইনের সবদিক খতিয়ে দেখেই ঝালদা পুরসভায় প্রশাসক বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।
সব পক্ষের বক্তব্য শুনে, ডিভিশন বেঞ্চ বলে, আদালত এ বিষয়ে কোনও হস্তক্ষেপ করবে না। সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ই বহাল থাকবে। আপাতত ঝালদা পুরসভার দায়িত্ব থাকবে জেলাশাসকের ওপরেই।
এপ্রসঙ্গে তখন ঝালদা পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলর বিপ্লব কয়াল বলেন, শিলা চ্যাটার্জি যাকে আমরা চেয়ারম্যান করেছিলাম, তার একটা ডেট ছিল। কোর্ট জেলাশাসককে সামলাতে বলেছেন। ততদিন চালাক, তারপর দেখা যাবে কী হয়। হাইকোর্ট যেমন রায় দেবে তেমন হবে।
সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেছিলেন, বাম আমলে পঞ্চায়েত, পুরসভা সব নিশ্চিন্তে ৫ বছর চলেছে। দুটো ছিল, সেই দুটোও এরকম হল। তাহেরপুরে বামেরা জেতার ৬ ঘণ্টার মধ্যে ওসি বদল হয়ে গেল, ঝালদায় কংগ্রেস কাউন্সিলরকে খুন করা হল। তৃণমূলের বিরুদ্ধে কিছু থাকতে পারবে না।
হাইকোর্টের রায়কে স্বাগত জানায় তৃণমূল।