(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Recruitment Scam : নিয়োগ দুর্নীতি মামলার 'গুরুত্ব বুঝতে ব্যর্থ' হয়েছেন মুখ্যসচিব, কেন এমন মন্তব্য় আদালতের ?
Recruitment Scam : ভোটপর্বের মধ্যে আদালতের রায় নিয়ে রাজ্যে যখন তোলপাড় চলছে, তখন নিয়োগ দুর্নীতি মামলায়, মুখ্যসচিব বি পি গোপালিকার ভূমিকা নিয়ে ফের ক্ষোভপ্রকাশ করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী।
সৌভিক মজুমদার, কলকাতা : SSC নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সোমবারই কলকাতা হাইকোর্টে বড় ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য সরকার। ২০১৬ সালের SSC-র পুরো প্যানেলই বাতিল করে দিয়েছে বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ। হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চের রায়ে চাকরি বাতিল হয়েছে ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের। ভোটপর্বের মধ্যে আদালতের রায় নিয়ে রাজ্যে যখন তোলপাড় চলছে, তখন নিয়োগ দুর্নীতি মামলায়, মুখ্যসচিব বি পি গোপালিকার ভূমিকা নিয়ে ফের ক্ষোভপ্রকাশ করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী।
এই মামলায় অভিযুক্ত সরকারি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে বিচারপ্রক্রিয়া শুরুর অনুমোদন নিয়ে রাজ্যের অবস্থান জানানোর জন্য চতুর্থবার সময় দিল হাইকোর্ট। নির্দেশে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী বলেছেন, ২ মে-র মধ্যে অনুমোদন নিয়ে নিজের অবস্থান জানাতে হবে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে। এরপরও মুখ্যসচিব নিজের অবস্থান না জানালে, আদালত অবমাননার রুল জারি হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিচারপতি।
নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, SSC’র প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য, প্রাক্তন সচিব অশোককুমার সাহা-সহ একাধিক সরকারি আধিকারিককে গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এবার এঁদের বিরুদ্ধে বিচার শুরু করতে গেলে রাজ্য সরকারের অনুমোদন প্রয়োজন হয়। কিন্তু এই অনুমোদন নিয়েই চলছে দীর্ঘ টালবাহানা।
২০২২ সালের নভেম্বর মাসে মুখ্যসচিবের থেকে সেই সংক্রান্ত অনুমোদন চায় CBI। সেই থেকে আজ পর্যন্ত এই নিয়ে কিছুই জানায়নি রাজ্য। বরং আদালত তাদের সময় দিয়েই চলেছে। আর রাজ্যও সেই রিপোর্ট দিচ্ছে না। এখনও সেই রিপোর্ট না আসায় ক্ষুব্ধ হন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী।
এর আগে মুখ্যসচিব হাইকোর্টে যে রিপোর্ট দেন, তাতে বলা হয় লোকসভা নির্বাচনের পর রাজ্যের অবস্থান জানানো হবে। এদিন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী বলেন, 'মুখ্যসচিবের রিপোর্টে আদালত মোটেই সন্তুষ্ট নয়। নির্বাচনের সঙ্গে মুখ্যসচিবের এই সিদ্ধান্ত গ্রহণের কোনও সম্পর্ক নেই। তিনি অযথা এবিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে দেরি করছেন। মুখ্যসচিব এই মামলার গুরুত্ব বুঝতে ব্যর্থ হয়েছেন, বিধিবদ্ধ দায়িত্ব পালন করতে পারেননি। তাঁকে মাথায় রাখতে হবে, দুর্নীতির শিকড় গভীরে, অনেক উচ্চপদস্থ কর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে।' বিচার শুরুর সিদ্ধান্ত নিতে মুখ্যসচিবকে প্রভাবমুক্ত থাকতে হবে বলেও মন্তব্য করেছেন বিচারপতি।
আরও পড়ুন:SSC নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় স্কুলে ২৫ হাজার ৭৫৩জনের চাকরি বাতিল করল হাইকোর্ট
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।