Extortion : কল্যাণীর সেতুতে গাড়ি থেকে টাকা আদায়ের অভিযোগ সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে ! সিআইডি তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

Kalyani Bridge Extortion : মামলার শুনানি শেষে বিচারপতি তাঁর নির্দেশে স্পষ্ট জানিয়ে দেন যে, জেলা পুলিশের রিপোর্টে আদালত সন্তুষ্ট নয়।

কলকাতা হাইকোর্ট

কল্যাণী : কল্যাণীর ঈশ্বর গুপ্ত সেতুতে সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে গাড়ি থেকে টাকা আদায়ের অভিযোগ। কল্যাণী পুরসভার এক তৃণমূল কাউন্সিলরের দায়ের করা পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার মামলায় অবিলম্বে সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা।

মামলার শুনানি শেষে বিচারপতি তাঁর নির্দেশে স্পষ্ট জানিয়ে দেন যে, জেলা পুলিশের রিপোর্টে আদালত সন্তুষ্ট নয়। যেহেতু অভিযোগের তির কল্যাণী থানার আইসি এবং একজন সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে, তাই, নিরপেক্ষ এজেন্সি হিসাবে সিআইডিকে অবিলম্বে এফআইআর রেজিস্টার করে মামলা করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।

মামলাকারীর আবেদনের ভিত্তিতে এই মামলায় সিবিআইও অংশ নেয়। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা জানিয়েছেন, আগামী ১৩ এপ্রিল সিআইডি রিপোর্ট দেবে। সেদিনই হবে পরবর্তী শুনানি।

প্রসঙ্গত, আইন শৃঙ্খলাজনিত কোনও দায়িত্বপূর্ণ কাজ সিভিক ভলান্টিয়ারকে (Civic Volunteer) দেওয়া যাবে না। দিনকয়েক আগে সার্কুলার দিয়ে স্পষ্ট জানায় রাজ্য পুলিশ (West Bengal Police)। কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta Highcourt) নির্দেশ মেনে জারি করা হয় সার্কুলার (Circular)। এই সরকারি নির্দেশিকার মধ্যেই 'তোলাবাজ' সিভিক ভলান্টিয়ার গ্রেফতার করা হয়।

অভিযোগ, বালির ট্রাক আটকে তোলাবাজি করছিলেন ২ সিভিক ভলান্টিয়ার গ্রেফতার। শুধু তাই নয়, তোলাবাজির পাশাপাশি হুমকিও দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই রাজকুমার মান্না, আশিকুল রহমান নামে ২ অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার গ্রেফতার করা হয়। তোলা চেয়ে হুমকি, না দেওয়ায় টাকাও ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগও উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। 

এদিকে, হাওড়ার আনিস খানের মৃত্যু থেকে গল্ফগ্রিনে মারধরের জেরে যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ, কখনও পিকআপ ভ্যানের চালককে মারধর করে ছিনতাইয়ের অভিযোগ বিভিন্ন সময়, সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে নানা ধরনের এক্তিয়ার বর্হিভূত কাজ, দাদাগিরি, জুলুমবাজির অভিযোগ উঠেছে। এই প্রেক্ষাপটে সার্কুলার জারি করে কোন কোন কাজে সিভিক ভলান্টিয়ারকে ব্যবহার করা যাবে, তা নিয়ে স্পষ্ট জানিয়ে দিল রাজ্য পুলিশ।

সার্কুলারে বলা হয়েছে, ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে পুলিশকে সহযোগিতা করবেন সিভিক ভলান্টিয়াররা। বিভিন্ন উৎসবে ভিড় সামলাতে, বেআইনি পার্কিং রুখতে, মানুষের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে সিভিক ভলান্টিয়াররা পুলিশের সাহায্যকারীর ভূমিকায় থাকবেন। তবে আইন শৃঙ্খলাজনিত কোনও দায়িত্বপূর্ণ কাজ সিভিক ভলান্টিয়ারকে দেওয়া যাবে না। 

প্রাইমারি স্কুলের পড়ুয়াদের পড়াবেন সিভিক ভলান্টিয়াররা। সম্প্রতি বাঁকুড়া পুলিশের এই সিদ্ধান্ত ঘিরে তোলপাড় হয় রাজ্য।